ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুস্থ হওয়ার পর ফের আক্রান্ত হতে পারে

প্রকাশিত: ০৭:২০, ২০ এপ্রিল ২০২০

 সুস্থ হওয়ার পর ফের আক্রান্ত হতে পারে

করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পর পুনরায় এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটবে না এমন ধারণার পক্ষে এখনও কোন প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ্যান্টিবডি পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়ার প্রেক্ষাপটে হুর জ্যেষ্ঠ মহামারী বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। বিশেষজ্ঞরা জানান, কোন ব্যক্তি ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত কি না বা কত সময় এ্যান্টিবডি তাকে সুরক্ষা দেবে তা এই পরীক্ষায় পাওয়া যাবে না। তারা বলেন, ‘যাদের ইতোমধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে তারা পুনরায় সংক্রমিত হবেন না- এই ধারণার পক্ষে এখনও কোন প্রমাণ নেই।’ কোন মানুষের দেহে জীবাণু সংক্রমণ ঘটলে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরে এ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যুক্তরাজ্য সরকার এরই মধ্যে ৩৫ লাখ সেরোলোজি টেস্টের উপকরণ কিনেছে, যে টেস্টের মধ্য দিয়ে মানুষের রক্তের প্লাজমায় এ্যান্টিবডির মাত্রা পরিমাপ করা হয়। যদিও এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে কোন মাত্রায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে তা বোঝা যাবে না। এ্যান্টিবডি টেস্টের যেসব পদ্ধতি বেরিয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে পিন-প্রিক ব্লাড টেস্ট (আঙুলের ডগা থেকে রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা), যা অনেকটা বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত তাৎক্ষণিক এইচআইভি টেস্টের মতো। এর মধ্য দিয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দেহে কী মাত্রায় এ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা পরিমাপ করা হয়। জেনিভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ এপিডেমিয়োলোজিস্ট মারিয়া ভ্যান কেরকভ বলেন, ‘অনেক দেশ র‌্যাপিড ডায়াগনস্টিক সেরোলোজিক্যাল টেস্টের দিকে ঝুঁকছে। তারা মনে করছে এর মধ্য দিয়ে মানুষের এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বের করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে এমন কোন প্রমাণ নেই যে, সেরোলোজিক্যাল টেস্ট বলে দেবে কোন ব্যক্তির দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে বা তিনি পুনরায় সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত। এই এ্যান্টিবডি টেস্টের মধ্য দিয়ে সেরোপ্রিভ্যালেন্সের মাত্রা, যা এ্যান্টিবডির মাত্রা বোঝায়- সেটা পরিমাপ করা যাবে। তবে তার অর্থ এই নয় যে, কোন ব্যক্তির মধ্যে ওই রোগের বিরুদ্ধে স্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।’ তবে এ বিষয়ক অনেক পরীক্ষা পদ্ধতি বের হওয়াকে একটি ইতিবাচক বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। তবে এই বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, ‘এসব পরীক্ষার মাধ্যমে তারা যা বের করার চেষ্টা করছে, তা পাওয়া যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে।’ কেরকভের সহকর্মী মাইকেল রায়ান এ্যান্টিবডি পরীক্ষা নিয়ে নৈতিকতার প্রশ্নও তুলেছেন।
×