ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাকিবের ভাবনায় ২০২৩ বিশ্বকাপ

প্রকাশিত: ১২:৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২০

সাকিবের ভাবনায় ২০২৩ বিশ্বকাপ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ হতে আরও ৩ বছর বাকি। ২০২৩ সালে ভারতে হবে বিশ্বকাপ। যেহেতু ভারতের মাটিতে হবে বিশ্বকাপ, উপমহাদেশের মাটিতে হবে; তাই বাংলাদেশের ভাল করার অনেক সুযোগ রয়েছে। ওয়ানডে আবার বাংলাদেশের পছন্দের ফরমেটও। আর তাই এখনই ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ইন্সটাগ্রাম লাইভে এক ভক্তের প্রশ্নের জবাবে সাকিব এ নিয়ে বলেছেন, ‘খুব বেশি কিছু যে দরকার, তা নয়। আমার কাছে মনে হয়ে যা দরকার সেটা আছে। এখন যেই দলটা আছে, সেখানে মোটামুটি সবই আছে। তবে ক্রিকেটারদের পরিচর্যা বেশি দরকার। প্রস্তুতিটা ভাল হওয়া দরকার। আমার মনে হয় আমরা খুব ভাল দল হয়েই ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে যেতে পারব।’ সাকিব আরও বলেন, ‘ভারতে খেলা। সেখানকার কন্ডিশন আমাদের মতোই। তবে আইসিসি টুর্নামেন্টে কন্ডিশন খুব একটা পার্থক্য সৃষ্টি করে না। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক থাকে, যেটা ২০১৫ বিশ্বকাপেও ছিল, ২০১৯ সালেও ছিল।’ আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে এ বছর অক্টোবরে। চলতি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ‘সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি তার ভাবনায় আছে ক্রিকেট। আরও স্পষ্ট করে বললে, এখন থেকেই সাকিব ভাবছেন ২০১৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে চোখ ধাঁধানো পারফর্মেন্স করা এই অলরাউন্ডার নিজেই শোনালেন সেই গল্প। গত বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রান করেন। দুটি সেঞ্চুরিও হাঁকান। বল হাতে ১১ উইকেট শিকার করেন। ২০২৩ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। উপমহাদেশের কন্ডিশন বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হলেও ভারত তাদের নিজের মাটিতে অনেকটাই অপরাজেয়। তিন বছর পর সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলটি আরও গোছানো হবে বলে মনে করেন সাকিব। সাকিব এখন পরিবারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রভাবে লকডাউনে আছেন। তাদের পরিবারে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান আসতে যাচ্ছে। সেখান থেকেই তিনি যেন ফিরে যান বিকেএসপির দিনগুলোতেও। বলেন, ‘আমার সবচেয়ে স্মরণীয় ও সবচেয়ে মজার সময় ছিল বিকেএসপির সময়টা। হ্যাঁ, প্রথম দুই-আড়াই মাস কঠিন ছিল। নতুন মানুষদের সঙ্গে পরিবার ছেড়ে একা একা থাকা ...। কিন্তু এর পরের প্রতিটি দিন নিয়েই আমার মনে হয় আমি একটি করে বই লিখতে পারব। এতই মজার ছিল আমার বিকেএসপি জীবন। এতই মজা করেছি যে ছুটিতেও আমি বিকেএসপিতে যেতাম।’
×