কিশোরগঞ্জে করোনা ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন ৪ হাজার পল্লী চিকিৎসক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৬ এপ্রিল ॥ বৈশ্বিক করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মক্ষয় মানুষেরা ঘরবন্দী জীবন পার করছেন। কেউবা কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন। কিন্তু এই দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যেও বসে নেই কিশোরগঞ্জের পল্লী চিকিৎসকরা। করোনা ঝুঁকির মধ্যেই তারা দিনরাত মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিশোরগঞ্জ পল্লী চিকিৎসকদের সংগঠন রুরাল মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (আরএমএ) সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চার হাজারেরও বেশি পল্লী চিকিৎসক রয়েছেন। তারা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই মানুষকে সচেতন করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শসহ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহ করতে পারলেও বেশির ভাগেরই তা নেই। জেলা আরএমএ সভাপতি সেলিম জাবেদ জানান, সকাল থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত আমরা শুধু ফার্মেসিতে বা ক্লিনিকেই সময় দিচ্ছি না, অনেকের বাড়ি বাড়ি গিয়েও সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ইনজেকশন বা স্যালাইন পুশ করা থেকে শুরু করে নানা রকম প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চল, এমনকি জেলা শহরেও পল্লী চিকিৎসকরা কাজ করছেন। কিন্তু আমাদের কোন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নেই। করোনার এই অবস্থায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই আমাদেরকে কাজ করতে হচ্ছে। কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মুজিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে পল্লী চিকিৎসকরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা শুধু মানুষকে পরামর্শই দিচ্ছেন না, অনেক এলাকা লকডাউনের মধ্যেও তারা মানুষকে করোনার বিষয়ে সচেতন করাসহ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।