ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরগুনায় জুয়া খেলা নিয়ে সংঘর্ষ ॥ নিহত এক

প্রকাশিত: ১০:৫১, ১৭ এপ্রিল ২০২০

বরগুনায় জুয়া খেলা নিয়ে সংঘর্ষ ॥ নিহত এক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ১৬ এপ্রিল ॥ বরগুনায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম সবুজ (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১৫ জন। আহতদের মধ্যে ইউসুফ, আব্দুল বারেক, আবুল কালাম, আলমগীর, শাহাবির, গোলাম রসুল, রুবেল, বেলায়েত হোসেন ও সরোয়ার পহলানের নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে সরোয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সবুজ ঢাকার একটি বেসরকারী কলেজে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যায়নরত। করোনার কারণে কয়েকদিন আগে বাড়ি এসেছে। একই ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ফারুক পহলানের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, গত ইউপি নির্বাচন নিয়ে ওই এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য রাজা ও সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খানের মধ্যে বিরোধ চলছে। বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ঢলুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম রায়ভোগ গ্রামের অতুল হাওলাদারের বাড়ির পুকুর পাড়ে সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খানের লোকজন জুয়ার আসর বসায়। এ সময় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুস সালাম বিষয়টি বরগুনা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। বরগুনা থানার এসআই হেলালের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাজা পহলান, বাসুদেব, হাবিল ও মামুন মোল্লাকে ধরে বরগুনা ইউএনও অফিসে নিয়ে আসেন। বিকেল চারটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে করোনায় ঘরে থাকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আড্ডা দেয়ার অভিযোগে তাদেরকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার জেরে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে স্বপন খানের প্রায় ২০/২৫ জন সমর্থক সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে রায়ভোগ বাজারে এসে বর্তমান ইউপি সদস্য রাজুর সমর্থকদের এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। এ সময় রাজুর গ্রুপের লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললেও টিকতে পারেনি। এক পর্যায়ে রাজুর গ্রুপের লোকজনও সংঘবদ্ধ হয়ে স্বপন খানের গ্রুপের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সন্ধ্যার পরে নিয়ে আসে। হাসপতালে নিয়ে আসার পথে সাইফুল ইসলাম সবুজ পথেই মারা যায়। পাবনায় নিহত এক নিজস্ব সংবাদদাতা পাবনা থেকে জানান, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বেড়া উপজেলায় মাছখালী গ্রামে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আয়নুল হক (৩০)। তিনি উপজেলার কৈটোলা ইউনিয়নের মাছখালী গ্রামের আশকার প্রামানিকের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বেড়া উপজেলা কৈটোলা ইউনিয়নের মাছখালী গ্রামের হাবিবর প্রমানিকের ছেলে রওশন আলী ও একই গ্রামের নওশের শেখের ছেলে ওসমান গনির মধ্যে জাল দিয়ে মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতিতে রওশন আহত হলে তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে ভর্তি করা হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে হাবিবর প্রামানিক গ্রুপের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে নওশের শেখ গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় উভয়পক্ষ লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে উভয়পক্ষের ৫ জনকে আটক করে। নেত্রকোনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, জেলার মদন উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আঙ্গুর মিয়া (৩৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। আঙ্গুর মিয়ার বাড়ি মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের গাবরতলা গ্রামে। জানা গেছে, বুধবার বিকেলে একটি পুকুরে শিশুদের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গাবরতলা গ্রামের এখলাছ মিয়া ও জানু মিয়ার লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে জানু মিয়ার বড় ভাই আঙ্গুর মিয়াসহ ছয়জন আহত হয়। এদের মধ্যে আঙ্গুর মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান। গাইবান্ধায় যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জমিজমা নিয়ে সংঘর্ষে আহত সাদা মিয়া বুধবার রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদ গ্রামের আবু বক্কর মিয়ার ছেলে সাদা মিয়ার (৩০) সঙ্গে প্রতিবেশী কলিম উদ্দিনের ছেলে ছমছেল হকের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত সোমবার বিরোধীর জমিতে ছাগলে ধান খেত খাওয়াকে কেন্দ্রে করে বাগবিত-ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে আটজন আহত হয়। আহতরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সময় বুধবার রাতে সাদা মিয়া রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। সিলেটে নারী স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, বালাগঞ্জ উপজেলায় রাস্তা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একজন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। নিহত রুপিয়া বেগম (৫৫) উপজেলার নসিরপুর গ্রামের জবাদ উল্লার স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের নসিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, নসিরপুর গ্রামের ইন্তাজ উল্লা ও জবাদ উল্লার পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার সকালে কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থালেই মারা যান রুপিয়া বেগম। ঝিনাইদহে আহত ১০ নিজস্ব সংবাদদাতা ঝিনাইদহ থেকে জানান, হরিণাকু-ু উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ঘোড়াগাছা গ্রামের আব্দুল লতিফ’র ছেলে মনিরুল ইসলাম (৬০) মকছেদ আলীর ছেলে মোয়াজ্জেম ম-ল (৬৫), মোয়াজ্জেম ম-লের ছেলে ওয়াজেদ ম-ল (৪৫), সাজ্জাদ হোসেন (৩০), ইউনুচ আলী (৫২), হাবিবুর রহমান (১৬) ও সকিনা খাতুন (৫০)সহ ১০ জন। স্থাানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে ওই গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের বাড়িতে মাদক আছে পুলিশকে এমন ভুয়া সংবাদ দেয় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ গিয়ে মাদক না পেয়ে ফিরে আসে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে আশরাফ উদ্দিন তার সামাজিক প্রতিপক্ষ ওয়াজেদ আলীকে দোষারোপ করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও হরিণাকু-ু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আমতলীতে জখম তিন নিজস্ব সংবাদদাতা আমতলী থেকে জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাইদুল আকন ও তার লোকজন মুক্তিযোদ্ধার তিন সন্তানকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আহত তিনজনের মধ্যে জাকির হোসেন সিকদার নামের একজনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙ্গে দিয়েছে তারা। ঘটনা ঘটেছে বুধবার রাতে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারিকাটা গ্রামে। জানা গেছে, ওই গ্রামের সামসু আকনের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু হাতেম আলী সিকদারের ছেলে জাকির সিকদার ও তোফাজ্জেল সিকদার ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ওই জমিতে তারা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। বুধবার সকালে জাকির সিকদার তার ওই বাড়ির একটি চাম্বল গাছ কাটছিল। এ সময় সামসু আকনের ছেলে সাইদুল আকন ও তার সহযোগী সিদ্দিক আকন, রাশেদ আকন ও সবুজ আকন ওই গাছ কাটতে তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে জাকিরের সঙ্গে সাইদুলের কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সাইদুল। এ নিয়ে স্থানীয় হাবিবুর রহমান মাতুব্বরের মধ্যস্থতায় ওই দিন রাতে আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে সালিশের সিদ্ধান্ত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তোফাজ্জেল সিকদার ওই সালিশে যাচ্ছিল। পথে আড়পাঙ্গাশিয়া ঈদগা ময়দান সংলগ্ন স্থানে গেলে চারটি মোটরসাইকেলে ১০-১২ জন এসে তাকে ঘিরে ফেলে এবং লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ছোট ভাই জাকির সিকদার ঘটনাস্থলে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ব্রিক ফিল্ডের কাছে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙ্গে দেয়। তার চিৎকারে বোন নুননেহার ও ভাবি সালমা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে এবং তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
×