ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় রিয়ালে যাওয়া হলো না এমবাপের!

প্রকাশিত: ১১:০০, ১৩ এপ্রিল ২০২০

করোনায় রিয়ালে যাওয়া হলো না এমবাপের!

জাহিদুল আলম জয় ॥ মরণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় সবকিছুর মতো থমকে আছে ক্রীড়াঙ্গনও। যে কারণে ইউরোপিয়ান ফুটবলে গ্রীষ্মকালীন দল বদল নিয়েও শঙ্কা আছে। এখন যে পরিস্থিতি ইচ্ছে করলেও কোন খেলোয়াড়কে সহজে দলে ভেড়াতে পারবে না ক্লাবগুলো। আর এ কারণেই নাকি ফরাসী ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) থেকে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে আসা হচ্ছেনা তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপের। এমনটা অবশ্য এমবাপে বলেননি। কিংবা রিয়াল মাদ্রিদও। বলেছেন পিএসজির সাবেক ফরাসী মিডফিল্ডার জেরোম রথেন। ফ্রান্স জাতীয় দলে জিনেদিন জিদান-থিয়েরি অঁরিদের সতীর্থ জেরোম ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত খেলেছেন পিএসজিতে। ক্লাবে দীর্ঘ সময়ে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ক্লড ম্যাকেলেলে, পেড্রো পলেটদের। ক্লাব ছাড়লেও পিএসজির সঙ্গে যোগাযোগ মোটেও কমেনি এই তারকার। সেই বিশ্বাস থেকেই সাক্ষাতকারে জেরোম বলেন, আমি ক্লাবের বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জেনেছি এমবাপের রিয়ালে যাওয়ার বিষয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের কারণে ফুটবল বিশ্বের যা অবস্থা, মনে হয় না জিদান আর এখন এমবাপেকে পাবে। এমবাপেকে দীর্ঘদিন থেকেই দলে ভেড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করছে রিয়াল। বিশেষ করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দল ছুট হওয়ার পর ইচ্ছাটা আরও বেড়ে যায় গ্যালাক্টিকোদের। কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে চার হচ্ছে না। মাঝখানে গ্যারেথ বেলের বদলেও এমবাপেকে বার্নাব্যুতে ভেড়াতে চেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু জুতসই হয়নি সেই প্রচেষ্টাও। গত মৌসুমে এমবাপেকে ছাড়তে চায়নি পিএসজি, রিয়াল দলে আনে চেলসির বেলজিয়ান উইঙ্গার ইডেন হ্যাজার্ডকে। কিন্তু এবার ঠিকই নাকি এমবাপেকে নিয়ে আসত রিয়াল। কিন্তু করোনার কারণেই সেটা হচ্ছে না বলে মনে করছেন জেরোম। পিএসজির সঙ্গে এমবাপের চুক্তি শেষ হবে ২০২২ সালে। এবার না পারলেও আগামী বছর এমবাপেকে দলে টানার চেষ্টা করবে রিয়াল। আর পিএসজি যদি নিজ দেশের তারকাকে ধরে রাখতে চায় তাহলে চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিকল্প নেই। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এমবাপে গত মৌসুমে লীগ ওয়ানের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন। গতবার রেকর্ড টানা তৃতীয়বারের মতো বছরের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন। ওই সময় পিএসজি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেননি তিনি। বলেছিলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমি এ পুরস্কারটি পেয়েছি। আমার ক্যারিয়ারের একটি টার্নিং পয়েন্ট। যা আমাকে আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করছে। সেটি পিএসজিতে হতে পারে, কিংবা অন্য কোথাও। এমবাপে আরও বলেছিলেন, আমার কাছে ওই মুহূর্তের বক্তব্যটি সঠিক মনে হয়েছে। আমি যখন কোন কথা বলি, সেটি ভেবে চিন্তেই বলি। পিএসজিতে হলে সেটি তো ভালই। অন্যত্র হলেও সমস্যা নেই। অন্য কোথাও হলে সেটি হবে নতুন চ্যালেঞ্জ। ২০১৭ সালে মোনাকোর শিরোপা জয়ী দলে থাকা অবস্থা থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন এমবাপে। কিন্তু লীগ ওয়ানের রেকর্ড ভেঙ্গে ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি। নেইমারকে মূল তারকা ও এমবাপেকে পার্শ্ব তারকা বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে দুই বছর আগে দলবদল করেছিল পিএসজি। তখনকার রিয়াল মাদ্রিদের রোনাল্ডো-বেল জুটি কিংবা বার্সিলোনার মেসি-সুয়ারেজ জুটির পুনরাবৃত্তি বলা হচ্ছিল। কিন্তু গত মৌসুমেই সব হিসাব পালটে দিয়েছেন এমবাপ। বিশ্বকাপ জেতার পর এমনিতেই ফ্রান্সের মানুষের কাছে নেইমারের চেয়ে বড় তারকা হয়ে উঠেছিলেন। এরপর ক্লাবেও নেইমারকে ম্লান করে দিয়েছেন পারফর্মেন্সে।
×