ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

একক ঋণগ্রহীতার সীমা সাময়িকভাবে স্থগিত

প্রকাশিত: ১০:০৭, ১৩ এপ্রিল ২০২০

 একক ঋণগ্রহীতার সীমা সাময়িকভাবে স্থগিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রণোদনার অর্থ প্রদানের জন্য একক ঋণগ্রহীতার সীমা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শনিবার এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডেপুটি গবর্নর আহমেদ জামাল স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত ওই সার্কুলারে বলা হযেছে, রফতানিমুখী এবং সচল শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদানের জন্য জন্য বাজেট হতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা তহবিল গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ। সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (১৯৯১-এর ১৪ নং আইন)-এর ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তফসিলী ব্যাংক কোম্পানিসমূহকে আলোচ্য তহবিল হতে প্রদত্ত ঋণে একক ঋণ গ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ধারা ২৬খন্ড এর উপধারা (১)-এর বিধান পরিপালন হতে সাধারণভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। সাধারণত ব্যাংকগুলো ইচ্ছে করলেই একজন গ্রাহককে বেশি পরিমাণ ঋণ দিতে পারে না। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সীমারেখা বেঁধে দেয়া আছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী একটি ব্যাংক নগদে তার মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি কোন গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে না। এর সাথে আরও ২০ শতাংশ ননফান্ডেড অর্থাৎ এলসি মার্জিন দিতে পারে। এর বেশি নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলে সেই ক্ষেত্রে ঋণ নিতে পারে। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের শিল্প কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। ওই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা নিতে গেলে অনেক গ্রাহকের একক ঋণ সীমা অতিক্রম হয়ে যায়। বিশেষ করে প্রণোদনার অর্থ পেতে সহজ করতেই বাংলাদেশ ব্যাংক একক ঋণগ্রহীতার সীমা সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত শনিবার সকল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে অবহিত করা হয়েছে। এর ফলে একক ঋনগ্রহীতার সীমা অতিক্রম হলেও গ্রাহককে আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হবে না।
×