স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশে প্রথমবারের মতো মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল শূন্যের কোঠায়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত সংখ্যক মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। ফলে অধিকাংশ মসজিদই ফাঁকা ছিল। জুমার নামাজের এই অবস্থা দেখে নামাজে আশা মুসল্লিদের কষ্টের সীমা ছিল না। অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে হাজার হাজার মুসল্লি সমবেত হন। করোনা সংক্রমণের পর থেকে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ে আহ্বান জানায় ইসলামী ফাউন্ডেশন। সুরক্ষা নিশ্চিত করে গত জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। হঠাৎ করেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় এবং জুমার নামাজ আদায়ের জন্য গাইড লাইন দেয়া হয়। এই গাইড লাইনে দশজন মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করার কথা বলা হয়। ফলে শুক্রবার জুমার নামাজে মুসল্লি শূন্য ছিল।
জুমার দিন দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের এমন নিঃসঙ্গ ও নিথর অবস্থা আগে কখনও দেখেনি মুসল্লিরা। প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়াতে মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায়ে সরকারের নির্দেশনায় লোকারণ্য বায়তুল মোকাররম আজ ছিল জনশূন্য।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: