ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোটা চালের দাম বেড়েছে আরেক দফা

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ১১ এপ্রিল ২০২০

  মোটা চালের দাম  বেড়েছে  আরেক দফা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিত্যপণ্যের বাজারে আরেক দফা বেড়েছে মোটা চালের দাম। করোনার ত্রাণ সহায়তায় ব্যবহার হওয়ার কারণে মোটা চালের দাম বেড়ে চলছে। প্রতিকেজি ইরি-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকায়। এছাড়া স্বর্ণা ও চায়না ইরি জাতের মোটা চাল ৪৪-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। তবে দাম কমেছে সব ধরনের শাক-সবজির। মসুর ডাল, ভোজ্য তেল, আটা ও চিনির মতো পণ্য আগের বেড়ে যাওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, কাপ্তানবাজার, ফকিরাপুল বাজার, মুগদা বড়বাজার, মালিবাগ রেলগেট ও গোড়ান কাঁচাবাজার থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, শব-ই বরাতের কেনাকাটা ছিল শুক্রবারও। অনেকে সারারাত বাসায় ইবাদত বন্দেগি করার পর সকাল সকাল কেনাকাটা করতে ছুটে আসেন কাঁচাবাজারে। কিনে নেন প্রয়োজন মতো পণ্য সামগ্রী। কারণ দুপুর ২টার পর বাধ্যতামূলকভাবে দোকান পাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ফকিরাপুল বাজার থেকে কেনাকাটা করছিলেন জাহিদুল হক। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, করোনা আসার পর থেকে সবাই সকাল সকাল বাজার করতে আসেন। এটা ভাল, তবে অনেক ক্রেতা এখনও মাস্ক ও গ্লাভস পড়েনি। তারা ভাইরাসটিকে এখনও আমলে নিচ্ছে না। তারা নিজেদের ক্ষতি করার পাশাপাশি আরেকজনের সমস্যার কারণ হয়ে উঠছেন। জিনিসপত্রের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চালসহ বেশির ভাগ পণ্যের দাম বেশি। মাছের গায়ে তো হাতই দেয়া যায় না। তবে সবজির দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে। এদিকে, কাওরানবাজারে সবজির কোন ঘাটতি নেই। সারারাত ট্রাকে ট্রাকে সবজি আসে কাওরানবাজারে। সারাদেশ থেকে এসব সবজি পাইকার ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসছেন। কিন্তু ঢাকায় লোকসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে সবজির চাহিদা অনেক কমে গেছে। এ কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা এখন লোকসান গুনছেন। কাওরানবাজারের সবজির পাইকারি ব্যবসায়ী মোঃ জসিম বলেন, ঢাকায় সবজির চাহিদা কমে গেছে। এ কারণে সবজির দাম কম। বেশির ভাগ সবজি এখন ৩০-৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, করোনার প্রভাবে রাজধানীতে সব ধরনের মাছের সরবরাহ কমে গেছে। আর এ কারণে এখন মাছের দাম চড়া। বিশেষ করে দেশী জাতীয় রুই, মৃগেল, পাবদা, চিংড়ি, পুঁটিসহ সব ধরনের মাছ বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। এছাড়া প্রতিকেজি ইলিশ মাছ সাইজ ভেদে ৮০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া গরু ৫৫০- ৬০০, ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুদি পণ্যের মধ্যে সরু ও নাজিরশাইল চাল ৬০-৬৮, মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা ৫০-৫৬, চিনি ৬৫-৭০, ভোজ্য তেল ৯৩-৯৫ প্রতি লিটার, পেঁয়াজ দেশী ৪০-৫০, আমদানি ৩৫-৪৫, রসুন ১৭০-১৮০, আদা ১৬০-১৮০, ডিম ফার্ম ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
×