ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ৯ এপ্রিল ২০২০

রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাবে রফতানির সঙ্গে কমছে আমদানিও। এনবিআর তথ্য বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে আমদানি কমেছে ৯ শতাংশ আর রফতানি কমেছে সাড়ে ২৩ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে দেশের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। করোনার ধাক্কায় বিভিন্ন দেশের সাথে কমেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, গত মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ৪২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৪৬ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে আমদানি কমেছে ৯ শতাংশ। রফতানি কমেছে আরও। ফেব্রুয়ারিতে ২৭ হাজার ২২৫ কোটি টাকা রফতানি হলেও; মার্চে তা ঠেকেছে ২০ হাজার ৮০১ কোটি টাকায়। অর্থাৎ কমেছে, সাড়ে ২৩ শতাংশ। আমদানি-রফতানির বড় অংশীদার তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের পোশাক খাতের অবস্থা আগে থেকেই ভাল ছিল না। করোনার ধাক্কায় এটি আরও খারাপ হয়েছে। ডিএসএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলোম বলেন, চাহিদা যেখানে ছিল সেখানেই তো লকডাউন। কেউ তো এখন জামাকাপড় কিনছে না খুব একটা এবং আগামীতেও মানুষ তার মৌলিক চাহিদার মধ্যে ওষুধ আর খাদ্যটা কিনবেন পরে জামাকাপড়ে যাবে। হয়ত মৌসুম শেষ হলে তাও দরকার হতে পারে। তবে আমার মনে হয় এটা সাময়িক। আমার মনে হয় ২/৩ মাস পুরো বিশ্বেই মন্দা থাকবে। তারপরে হয়তো আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি করোনা মানুষের কাছে পরাজিত হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা নিশ্চয়ই দেশের অর্থনীতির জন্য দুঃসংবাদ। এতে প্রভাব পড়বে, বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্যে। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যে অবস্থা চলছে সেটা যেন আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি। বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক নাজনিন আহমেদ বলেন, আমাদের খুব গুরুত্বের সাথে দেশীয় বাজার নির্ভর, দেশীয় কাঁচামাল নির্ভর যে শিল্প তাদের উৎপাদন যেন খুব দ্রুত শুরু করা যায় অবশ্যই স্বাস্থ্য ঝুঁকি না বাড়িয়ে সেটার দিকে খেয়াল করতে হবে। বিশেষ করে অতি ক্ষুদ্র শিল্প যেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই গৃহভিত্তিক সেগুলোর উৎপাদন ঠিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আগামী জুন পর্যন্ত আমদানি-রফতানি আরও কমার আশঙ্কা করছেন তারা।
×