ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিবরিলের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ৯ এপ্রিল ২০২০

করোনায় লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিবরিলের মৃত্যু

বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়ে লিবিয়ার অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ জিবরিল মারা গেছেন। মিসরের কায়রোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার তার মৃত্যু হয় বলে ন্যাশনাল ফোর্স এ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি খালেদ আল-ম্রিমি জানিয়েছেন। ৬৮ বছর বয়সী এ লিবীয় রাজনীতিক হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে গত ২১ মার্চ কায়রোর গানজুরি স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন; তিনদিন পরে সেখানেই তার দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। -খবর আলজাজিরা অনলাইনের। হাসপাতালটির পরিচালক ওয়াগদি বলেন, কায়রোর হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ রাজনীতিক প্রায়ই অচেতন হয়ে পড়তেন। ন্যাশনাল ফোর্স এ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি ম্রিমি বলেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল হয়ে এসেছিল; এমনকী তিনি হাসপাতাল ছাড়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই তার অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালটির পরিচালক হিশাম ওয়াগদি মৃত্যুর আগের দিনও অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন, তবে হঠাৎ করে অবস্থার অবনতি ঘটে। লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করা বিদ্রোহীদের অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক ছিলেন প্রধান মোহাম্মদ জিবরিল। ২০১২ সালে জিবরিলের হাত ধরেই এ ন্যাশনাল ফোর্স এ্যালায়েন্সের যাত্রা শুরু হয়েছিল। গাদ্দাফি জমানার শেষদিকে সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন জিবরিল; ২০১১ সালে তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সহায়তায় গাদ্দাফিকে উৎখাত ও হত্যার পর বিদ্রোহীরা যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন, জিবরিল ছিলেন তার প্রধান। ২০১২ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। গাদ্দাফিকে উৎখাতের আগে বিদ্রোহীদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন আদায়ে বেশ কয়েকটি দেশও সফর করেছিলেন এ লিবীয় রাজনীতিক। গাদ্দাফি পরবর্তী নির্বাচনে তার দল ব্যাপক ভোট পেলেও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। লিবিয়ায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও হানাহানি শুরু হলে জিবরিল দেশ ছেড়ে পালান।
×