ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আরও কিছুদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৮ এপ্রিল ২০২০

আরও কিছুদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। এ ১৪ দিনের মধ্যে তাঁর মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। তাই তিনি করোনামুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকতর শারিরীক নিরাপপ্তার কথা ভেবে তিনি আরও কিছুদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। জানা যায়, ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার আগেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও স্বজনরা এ বিষয়ে তাঁর মতামত জানতে চান। তখন খালেদা জিয়া বর্তমান মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আরও কিছুদিন গুলশানের বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ পরিস্থিতিতে আগের মতোই তাঁর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ও নার্সরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মুক্তির পর থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও খালেদা জিয়া নিয়মিত ফোনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লন্ডন প্রবাসী ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি, নাতনি জায়মা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাসিয়া রহমান, ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বোন সেলিমা ইসলামসহ স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এভাবে তিনি আগের চেয়ে ভালভাবেই সময় পার করছেন। কারণ, কারাবন্দী থাকা অবস্থায় তিনি এভাবে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পেতেন না। উল্লেখ্য, স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজা’য় অবস্থান নেন খালেদা জিয়া। ওইদিন রাত পর্যন্ত বিএনপি নেতা ও স্বজনরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। তাই বাসায় যাওয়ার একদিন পর ২৬ মার্চ থেকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শুরু করেন তিনি। অসুস্থ্য থাকায় মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একজন ডাক্তার ও একজন নার্স সার্বক্ষনিক তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন। ৬ সদস্যের চিকিৎসক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান। এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইন অব্যাহত থাকায় খালেদা জিয়ার বাসায় আগের মতোই দলের নেতা ও আত্মীয়স্বজনের প্রবেশাধিকারে কড়াকড়ি রয়েছে। আর মুক্তির শর্তের কথা বিবেচনায় রেখে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আপাতত দলীয় রাজনীতি নিয়ে কারো সঙ্গে কোন কথা বলবেন না বলে জানা গেছে। মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসায় যাওয়ার পর থেকেই নতুন উদ্যমে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু করা হয়। এ জন্য তাঁর আগের ওষুধে কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করে ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। বাসায় থাকা ব্যাক্তিগত নার্স প্রতিদিন একাধিকবার খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস টেস্ট করেন। তাঁর ডায়াবেটিসের মাত্রা এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এবিএম জাহিদ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের কোন মানুষই এখন নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারছেন না। খালেদা জিয়াও নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারছেন না। তাই তিনি গুলশানের বাসায় এখন যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকবেন। তবে এ সময়ের মধ্যে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হলে তা করা হবে। লন্ডন প্রবাসী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তত্ত্বাবধানে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। নিয়মিত আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারায় তিনি মানষিকভাবে স্বস্তিতে আছেন।
×