ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভেন্টিলেটর ছাড়াই শ্বাস নিতে পারছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ৮ এপ্রিল ২০২০

ভেন্টিলেটর ছাড়াই শ্বাস নিতে পারছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক ॥ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দ্বিতীয় দিন পার করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিষেশজ্ঞরা বলছেন, যদি তিনি সুস্থ হন তাহলে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এই খবর জানিয়েছে। তবে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে একজন ‘যোদ্ধা’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি দ্রুত সেরে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব। জনসন হাসপাতালে থাকায় আপাতত তার ডেপুটি হিসাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব আপাতত রাবের হাতে। প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং তিনি ভেন্টিলেটর ছাড়াই শ্বাস নিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইসিইইুতে থাকার কারণে বেশ কিছুদিন তিনি কার্যত অচল থাকবেন। তাই তার পেশী শক্তি হ্রাসসহ শরীরের কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে কমবে। লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে জনসনের চিকিৎসা চলছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভাইরাসটির সঙ্গে লড়ায়ের পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষজন তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কয়েক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। তাই বরিস জনসন সুস্থ হলেও সরকার প্রধান হিসেবে কাজে ফিরতে হলে তাকে এই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর এরমধ্যে যুক্তরাজ্যে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। আর এই সংকটে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ হয়তো পাবেন না গত ডিসেম্বরে নির্বাচিত এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার এক প্রেস কনফরেন্সে ডমিনিক রাব অবশ্য বলেন, ‘তিনি শুধু আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিংবা বস নন, তিনি আমাদের সহকর্মী এবং বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করছি। আমার বিশ্বাস, তিনি তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন। আমি একটি জিনিস জানি, তিনি একজন যোদ্ধা।’ গত ২৭ মার্চ জনসনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর গত রোববার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে গতকালও দেশটিতে করোনায় ৮৫৪ জন করোনায় প্রাণ হারান। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬ হাজার ১৫৯ জন। আক্রান্ত ৫৫ হাজারের বেশি।
×