ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইকুয়েডরে কফিন সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ৮ এপ্রিল ২০২০

ইকুয়েডরে কফিন সঙ্কট

ইকুয়েডরের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী গুয়ায়াকুইলে করোনাভাইরাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কফিনের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে বাধ্য হয়ে কার্ডবোর্ড দিয়ে কফিন বক্স তৈরি করে ব্যবহার করা হচ্ছে। সোমবার নগরী কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়। খবর এএফপি’র। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এ বন্দর নগরী কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার কার্ডবোর্ড বক্স কফিন অনুদান পেয়েছে এবং সেগুলো ব্যবহারের জন্য স্থানীয় দুইটি সমাধিস্থলে পাঠানো হয়েছে। নগরীর মুখপাত্র বলেন, এসব কার্ডবোর্ড বক্স কফিন এ কারণে পাঠানো হয়েছে যাতে তারা প্রয়োজন মেটাতে পারে। নগরীতে কোন কফিন নেই বললেই চলে বা থাকলেও চাহিদা বেশি থাকায় সেগুলো অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ী সান্টিয়াগো অলিভার্স জানান, দেশে কফিনের চাহিদা এতই বেশি যে তার কোম্পানি সে অনুযায়ী যোগান দিতে পারছে না। সান্টিয়াগো অলিভার্স বলেন, আমি নগরীর কেন্দ্রীয় শাখা থেকে ৪০টি এবং আমার প্রধান কার্যালয় থেকে আরও ৪০টি কফিন বিক্রি করেছি। বর্তমানে সবচেয়ে কমদামী কফিনের দাম ৪শ’ ডলার। অলিভার্স বলেন, নগরীতে ১৫ ঘণ্টা কারফিউ জারি করায় কাঠ ও ধাতবের কফিন তৈরির মৌলিক কাঁচামালের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেয়া ভিডিও ফুটেজে করোনাভাইরাসে নিহতদের ছড়িয়ে পড়া লাশ ল্যাটিন আমেরিকার এ দেশটিতে বিভিন্ন রাস্তা ও বাসাবাড়িতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সরকার এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে বিভিন্ন রাস্তা ও বাসাবাড়ি থেকে ১৫০টি লাশ উদ্ধারে সৈন্যদের নির্দেশ দেয়। গুয়ায়াকুইল মেয়র দফতরের টুইটার বার্তায় বলা হয়, করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সমাধির কাজে কার্ডবোর্ড কফিন অনেক কাজে আসছে। ইকুয়েডরে রবিবার ৩ হাজার ৬৪৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮০ জন মারা গেছে। করোনায় আক্রান্তদের অধিকাংশই গুয়ায়াকুইল এবং এর পার্শ্ববর্তী প্রদেশ গুয়াসের বাসিন্দা।
×