ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনা : সমালোচনায় পুলিশ কিছুটা ‘ভয়’ পেয়েছিল : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ৭ এপ্রিল ২০২০

করোনা : সমালোচনায় পুলিশ কিছুটা ‘ভয়’ পেয়েছিল  :  ডিএমপি কমিশনার

অনলাইন রিপোর্টার ॥ করোনা পরিস্থিতিতে নাগরিকদের চলাচল নিয়ন্ত্রণে শুরুর দিকে পুলিশ সদস্যদের বেশকিছু আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিতর্কের জন্ম দেওয়া সেসব আচরণে সমালোচনার সৃষ্টি হলে পুলিশ সদস্যরা কিছুটা ‘ভয়’ পেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) ডিএমপি সদর দপ্তরে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে দেওয়া ৩০ হাজার মাস্ক গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডিএমপি কমিশনার। করোনা পরিস্থিতির শুরুর দিকে পুলিশের যেমন তৎপরতা ছিল মাঝের দিকে সেই গতি বেশ শ্লথ হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমদিকে পুলিশ যখন নামে তখন কিন্তু আমরা বেশ শক্ত অবস্থানে ছিলাম। সরকার একটি নির্দেশনা দিয়েছিল নাগরিকদের ঘরে থাকার। কিছু মানুষ আছে যারা সেটি মানছিল না। তখন পুলিশ কোথাও কোথাও ‘মিসবিহ্যাভ করে। ‘তখন এমনভাবে সমালোচনা করা হয়, পুলিশের বিরুদ্ধে এমনভাবে লেখালেখি শুরু হলো যে, ফিল্ডে পুলিশ সদস্যরা কিছুদিন কাজ করতে কিছুটা ভয় পাচ্ছিলেন। অনেকেই ভাবতে লাগলেন যে, আমি একজনকে চলাচলে নিষেধ করবো সে হয়তো গিয়ে আমার নামে অভিযোগ করলো। কিছু কিছু জায়গায় পুলিশ যে বাড়াবাড়ি করেনি আমি সেটা বলবো না।’ নগরবাসীকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো যে, নিজের জীবনের মায়া হয়তো আপনার না থাকতে পারে কিন্তু আপনার পরিবারের সদস্যদের জীবনের তো মায়া আছে। তাদের কথা চিন্তা করে ঘরে থাকুন। এখনও সময় আছে। গুজব প্রতিরোধে ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের সাইবার টিম কাজ করছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, আমাদের ডিবির একটি সাইবার টিম আছে। সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এর একটি সাইবার টিম আছে। তারা কাজ করছে। যখনই এ ধরনের বিষয় সামনে আসছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে মামলা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে মামলার মতো বিষয় নেই সেখানেও আপত্তিকর কিছু থাকলে দ্রুত সেগুলো অপসারণ করে দেওয়া হচ্ছে। কাঁচাবাজারগুলোতে লোক সমাগম এড়িয়ে চলতেও পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতিটি বাজার কমিটির সঙ্গে আমাদের সিনিয়র অফিসাররা মিটিং করেছেন, কথা বলেছেন। ন্যূনতম একজন এসি (সহকারী কমিশনার) তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরাও নাগরিকদের বলছি তারা যেন সতর্কতা মেনে কেনাকাটা করেন। যে দোকানে একটু বেশি ভিড় সেটা এড়িয়ে যে দোকানটা ফাঁকা আছে সেখানে যেন যান।
×