ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা ভাইরাস ॥ ‘মৃত্যুহীন’একটি দিন পার করল চীন

প্রকাশিত: ০৪:১০, ৭ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাস ॥ ‘মৃত্যুহীন’একটি দিন পার করল চীন

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো এ সংক্রমণে কোনো মৃত্যু ছাড়াই একটি দিন পার করার কথা জানিয়েছে চীন। সোমবার দেশটির মূলভূখণ্ডে কোভিড-১৯ কারও মৃত্যু হয়নি এবং স্থানীয়ভাবে কেউ রোগটিতে আক্রান্তও হয়নি বলে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিএনএন। এদিন দেশটিতে নতুন করে ৩২ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, কিন্তু তারা সবাই বিদেশফেরত বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সিএনএন জানায়, জানুয়ারির শেষের দিকে এনএইচসি দৈনিক হালনাগাদ তথ্য দেওয়া শুরু করার পর থেকে এই প্রথম চীন করোনা ভাইরাসে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি বলে জানালো। এনএইচসির তথ্যানুযায়ী, প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৭৪০ জন ও মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩৩১ জন। এদিন পর্যন্ত ৭৭ হাজার ১৬৭ জন সুস্থ হয়েছেন এবং তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে এনএইচসি জানিয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৬৯৭ জন, মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩৩৫ জন এবং সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ৩৯৩ জন। চীনের অধিকাংশ এলাকার জীবনযাত্রায়ই এখন স্বাভাবিক গতি ফিরে এসেছে বলে সিএনএন জানিয়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই নতুন ধরনের করোনাভাইরাসটি প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল। এখন বিশ্বজুড়ে মহামারী হয়ে ওঠা ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চীন উহান, হুবেই প্রদেশ ও দেশের অন্যান্য অনেক এলাকা লকডাউন করে দিয়ে চলাচল সীমাবদ্ধ করে দিয়েছিল। তিন মাস এই অবরুদ্ধ দশা বজায় থাকার পর সম্প্রতি প্রাদুর্ভাবের হুমকি কমে আসায় হুবেইসহ কয়েকটি অঞ্চল থেকে লকডাউন তুলে নিয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে। উচ্চমাত্রার সংক্রামক নভেল করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহর থেকেও বুধবার লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা আছে। এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন উল্লেখযোগ্য সাফল্যের নজির রাখলো। বুধবার থেকে মোবাইল ফোনে সবুজ কিউআর কোডধারী বাসিন্দারা উহান ও হুবেই থেকে অন্য যেকোনো জায়গায় যাওয়ার অনুমতি পাবেন। প্রাদেশিক সরকারের বিতরণ করা এই কোড বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির সঙ্কেত বহন করে বলে সিএনএন জানিয়েছে।
×