ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী হাসপাতালে একি কাণ্ড!

মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসার বদলে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৭ এপ্রিল ২০২০

মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসার বদলে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবর্তে এক মুক্তিযোদ্ধাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ওই মুক্তিযোদ্ধার সহযোদ্ধারা সোমবার বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত হাসপাতালের স্টাফদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার ও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মীর সাইদুর রহমান শাহজাহানকে (৭০) চিকিৎসা না করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তিনি (মুক্তিযোদ্ধা) উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা মীর সাইদুর রহমান শাহজাহান অভিযোগ করেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে তিনি তার কানের চিকিৎসার জন্য উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় তিনি জরুরী বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার রফিকুল ইসলামের স্মরণাপন্ন হয়ে টর্চ লাইট দিয়ে তার কানের ভেতরটি দেখার জন্য বলেন। তাকে টর্চ লাইট না থাকার বিষয়টি জানানোর পর তিনি (মুক্তিযোদ্ধা) বলেন, জরুরী বিভাগে টর্চ লাইট নেই! এতে রফিক তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাগ্বিত-া বাঁধে। একপর্যায়ে হাসপাতালের স্টোর কিপার শাওন এসে রফিকের পক্ষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভে ফেটে পরেন। এ ঘটনার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বেলা ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা বানারীপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এসএম কবির হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা তার সামনে হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে অসংলগ্ন আচরণ করায় স্টাফরাও ক্ষিপ্ত হয়েছিল। যা নিয়ে পরবর্তীতে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনার তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×