ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশসহ আহত ২২, ১৯ বাড়ি, ১৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর

ফরিদপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ৭ এপ্রিল ২০২০

ফরিদপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ৬ এপ্রিল ॥ সালথায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্র্ষে পুলিশসহ ২২ জন আহত হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা একে অপরের ১৯টি বসতঘর ও ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদি গ্রাম ও বাজার এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ওসির গাড়িসহ পুলিশের তিনটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জানা গেছে, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদি বাজার ও গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছারউদ্দিনের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে রবিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের দুই সমর্থকের মধ্যে কাগদি বাজারে মুরগি কেনাকে কেন্দ্র করে বচসা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে সালথা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উভয় পক্ষের সমর্থকরা আবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। এ সময় সংঘর্ষকারীরা একে অপরের প্রায় ১৯টি বসতবাড়ি এবং ১৬টির বেশি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এর মধ্যে পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলায় পুলিশের তিনটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কাগদি বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল এন্টারপ্রাইজের মালিক রেজাউল হোসেনের ১০ টাকা কেজি দরে গোডাউনজাত চাল ও একই বাজারের সাহাদাতের সারের দোকানও লুটপাট হয়। এছাড়া কাগদি বাজারের আওয়ামী লীগ অফিসও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এদিকে কাগদি গ্রামের মধ্যে হেমায়েত হোসেনের বাড়িসহ ১৮টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছারউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বলেন, মুরগি কেনাবেচা নিয়ে গিয়াসউদ্দিনের সমর্থক খায়ের মোল্লার সঙ্গে আমাদের সমর্থক রকি মাতুব্বরের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে রাতেই গিয়াসউদ্দিনের সমর্থক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি তার লোকজন নিয়ে তাদের লোকের ৪/৫ টি দোকান ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায়। নাটোরে আহত তিন নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে যুবলীগের তিন যুবকের মধ্যে সংঘর্ষে রকি, বাপ্পী ও উল্লাস নামে তিনজন আহত হয়। এরা একে অপরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে রকি ও বাপ্পীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং উল্লাসকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুরে শহরের কানাইখালী এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রকি, বাপ্পী ও উল্লাস তিন বন্ধু। তারা যুবলীগের কর্মী। একইসঙ্গে চলাফেরা করে। নিজেদের মধ্যে কোন বিষয় মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় রবিবার রাতে বিরোধ বাধে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে বিষয়টি নিজেরাই সমঝোতা করে নেয়। কিন্তু সোমবার দুপুরে কানাইখালী ফায়ার স্টেশন অফিসের পিছনে ওই তিনজনের মধ্যে পূর্বের ঘটনা নিয়ে বিরোধ বাধলে একে অপরের ওপর ধারালো অন্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। এ সময় তিনজনই আহত হয়।
×