ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৮:২২, ৭ এপ্রিল ২০২০

ঢাকার দিনরাত

রবিবার জনকণ্ঠ অফিসে সম্পাদকীয় মিটিং শেষে ‘ঢাকার দিনরাত’ লিখতে বসার আগে অভ্যাসবশত সদ্য ব্রেক করা সংবাদে চোখ বোলাতে গিয়ে চমকে গেলাম। মিরপুরে দুজন করোনা-আক্রান্ত, ২৫ পরিবার লকডাউনে। রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর ওভারব্রিজের পাশে তানিম গলিতে এক পরিবারের দুজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) আক্রান্ত দুজনকে সকালেই বাসা থেকে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার দুটি বহুতল ভবন ও একটি টিনশেড বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে মিরপুর থানা-পুলিশ। সেখানে ২৫ পরিবারের বাস। করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের শুরুর দিকেই একাধিক ডাক্তারের কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার কথা আমরা জানি। সবচেয়ে ঝুঁকিতে এখন স্বাস্থ্যকর্মীরাই। তবে সংবাদকর্মীরাও যে বিপদে আছেন সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠল একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের একজন কর্মী কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হলে। ওই টিভির ৪৭ জনকে ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। খোদা না করুক আমাদের অফিসের কেউ আক্রান্ত হলেও তো সরকারী কর্তৃৃপক্ষ কিছু একটা ব্যবস্থা নেবেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর এই পত্রিকায় কর্মরত রয়েছি। শুধু ঈদের সময়ে দেখেছি ২০ পাতার নিয়মিত পত্রিকা ১৬ পাতা হতে। আর এখন এই করোনাকালে নিয়মিতভাবে বেরুচ্ছে ১২ পাতা। এটি আমাদের জনকণ্ঠ পরিবারের প্রত্যেকের জন্যই অস্বস্তি ও কষ্টের। তবে শুধু আমাদের কাগজই তো নয়, প্রায় সব পত্রিকাই ১২ থেকে ১৬ পাতা হয়ে গেছে। সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নোয়াব-এর বিজ্ঞপ্তি প্রতিদিনই ছাপা হচ্ছে পত্রিকায় এই মর্মে যে করোনাভাইরাস কাগজে ছড়ায় না। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা বলছে, কাগজের ওপরে ভাইরাসটির বেঁচে থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাস্তায় গাড়ি বাড়ছে পদযাত্রায়ও বহু মানুষ ২৬-২৭ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার প্রথম দুটি দিন রাস্তাঘাট সুনসান দেখেছি যার বিবরণ রয়েছে গত সপ্তাহের কলামে। কিন্তু গত তিন দিন যাবত ঢাকা শহরে প্রচুর মোটরসাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি এবং যন্ত্রচালিত রিক্সা দেখছি। আমাদের কর্মীদের বহনকারী সিএনজির সামনের দিকে লাল কাপড়ের ব্যানারে সংবাদপত্র কথাটি লেখা থাকে। এছাড়াও উইন্ডস্ক্রিনের সঙ্গে জনকণ্ঠ/সংবাদপত্র লেখা স্টিকার থাকে। তাও দফায় দফায় ঢাকার পুলিশ আমাদের সিএনজি আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সংবাদপত্র লেখা ব্যানার দেখেও গাড়ি আটকানোর কারণ হিসেবে এক পুলিশ সদস্য বললেন, অনেকেই এভাবে লিখে রাস্তায় বের হচ্ছেন। বিস্মিত হলাম। সত্যিই কি এটা হচ্ছে? তাছাড়া এত যে গাড়ি দেখছি রাস্তায় তার সবগুলোই কি যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছে বাইরে বেরুনোর? যদি না দেখাতে পারে তাহলে কি তাদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে? সেই জরিমানার রিসিট কি তারা পাচ্ছেন? বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো না হলেই হয় ব্যাপারটা। অন্যদিকে বহু মানুষ হেঁটে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছেন। বাসস্ট্যান্ডগুলোতেও জটলা দেখছি, কোন না কোন গাড়ি আসবে এমন ভরসাই করছেন অপেক্ষারত মানুষেরা। ঢাকাবাসীর কড়চা ঢাকাবাসী ফেসবুক বন্ধুদের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলাম ঘরবন্দী অবস্থায় নিজের এলাকার খবর জানাতে। তাহলে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সমাহার পাব। ধানম-ির একজন অধিবাসীর দিনলিপি তুলে ধরার আগে আমার নিজ এলাকা উত্তরার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাই। ওষুধের দোকান ও সুপারশপ ছাড়া এখানে মোটামুটি ভালভাবেই ‘ছুটি’ চলছে। এখানে-সেখানে রিক্সাওয়ালাদের জটলা থাকে অবশ্য। যদিও খুব বেশি যাত্রী পাওয়া যায় না। কিন্তু মসজিদে বেশ ভিড়। আমাদের সড়কে প্রতিদিনই সবজিওয়ালা আসে ভ্যান নিয়ে, হাঁকডাক পাড়ে। গৃহিণী তিনতলা থেকে দড়ি দিয়ে বাঁধা ব্যাগে টাকা রেখে নিচে পাঠান। যা যা কেনার কেনেন। সবজিওয়ালা ওই ব্যাগে সেসব সদাই ভরে দেন, মূল্য রেখে বাকি টাকা ফেরত দেন। তবে সবজিগুলো আগের তুলনায় বেশি করে ধোয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। সেইসঙ্গে আরেক দফা দুই হাত সাবান দিয়ে ভালমতো ধুয়ে নেয়ারও। আমার কন্যা আছে তার সংসারে। স্ত্রী আর পুত্র ২৬ মার্চ ছুটি ঘোষণার কয়েকদিন আগে থেকেই ঘরবন্দী। আমিই কেবল বাইরে বেরুই, মানে অফিসে যাই। আমার বাল্যবন্ধু খুলনা মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর ডাঃ আবদুল আহাদ একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে একজন অফিসফেরত ব্যক্তি ঘরে ঢোকার আগে নিজেকে ও তার পরিবারকে কিভাবে সুরক্ষিত করার নিয়ম অনুসরণ করছেন। পেয়ে উপকৃত হলাম। শতভাগ অনুসরণ করছি ভিডিওর নির্দেশনা। কাপড়-চোপড় চালান হয়ে যাচ্ছে ধোয়ার জন্য। ঘড়ি-মোবাইল-চাবি-টাবি সব জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে স্যানিটাইজার দিয়ে। জুতা দরজার বাইরেও রাখা হচ্ছে। দুহাতের দস্তানা খুলে ঢাকনাঅলা বিনে ফেলা হচ্ছে। তারপর সোজা স্থানঘরে গোসল করা। তবু কি শতভাগ নিশ্চয়তা আছে যে আমি বাইরে থেকে করোনাভাইরাস বহন করে আনছি না? ধানম-িবাসী ব্যাংক কর্মকর্তা ইয়াহিয়া মির্জা সুন্দর বিবরণ দিয়েছেন এই করোনাকালের। তিনি লিখেছেন- ‘এই ঢাকা শহর- আমার প্রিয় শহর। এই ঢাকা শহরে আমার বাড়ি। ঢাকা আমার ভাললাগা আর ভালবাসার শহর। ঢাকা নগরের আলো-হাওয়ায় কেটেছে আমার কৈশোর, যৌবনের দিনগুলো। এবারের আচমকা এই ছুটি আসায় সেসব দিনের কথা খুব মনে পড়ছে। ঢাকা শহর যেন প্রকৃতির কোলে ফিরে গেছে। শব্দ নেই, কালো ধোঁয়া নেই, যানবাহন নেই। নীরব-নিথর ঢাকা সত্তর-আশির দশকের শহরের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেই ঢাকা তবু এতটা নিস্তব্ধ ছিল না। তিন দিন আগেই তো লিখেছি- ‘আমার জীবনে ঢাকা শহর আর কখনও এতটা জনমানবহীন দেখিনি। এমনকি ঈদের ছুটিতেও না। রাস্তায় কোন লোকজন নেই। অফিস-আদালত, দোকান-পাট বন্ধ।’ এই কয়েক দিনে সবকিছু বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়েছে প্রকৃতি। ব্যস্ততা না থাকায় নগরবাসীও প্রকৃতির দিকে ফিরে তাকানোর সময় পাচ্ছে। রাতের আকাশের দিকে তাকাতে পারছে। চাঁদ আর জোসনা দেখার কথা ফেসবুকে লিখছেন অনেকে। অন্যদিকে দিনের বেলা চৈত্র মাসের সূর্য যানবাহনশূন্য পিচঢালা রাজপথে সরাসরি নেমে আসতে পারছে। গাছপালা ধুলামুক্তভাবে সবুজ পাতা মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে। কেউ কেউ জানাচ্ছে, ঢাকার অনেক এলাকায়ই নাকি পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে। গত শতকের সত্তর-আশির দশকের ঢাকা এবারের মতো এতটা নিস্তব্ধ ছিল না। কিন্তু এখনকার দিনের মতো এত দূষণও ছিল না। এত জনবহুল তখনও হয়নি ঢাকা শহর। ঋতু পরিবর্তন আরও দৃশ্যমান ছিল। পাখির ডাক ছিল, ফুল ও ফলের গাছ ছিল। আরও বেশি খালি মাঠ, পুকুর ও খাল ছিল। বুড়িগঙ্গা নদী তখনও এত মরে যায়নি। তবু প্রাণঘাতী ভাইরাসের আঘাতে ঢাকা শহর খালি হয়ে যাবে এটা চাই না। করোনাকে প্রতিরোধ শেষে আবার জমে উঠবে আমার প্রিয় শহর। কিন্তু শহরটার প্রকৃতি বাঁচাতে হলে, দূষণ কমাতে হলে জনসংখ্যা কমাতে হবে। ঢাকামুখী মানুষের ¯্রােত থামাতে হবে। এর জন্য তৃণমূলে নিয়ে যেতে হবে অনেক সেবা। অন্যান্য বিভাগ ও জেলায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ডিজিটাল এই যুগে তৃণমূলে সেবা পৌঁছে দেয়া যায় সহজেই। তা কাজে লাগাতে হবে। অন্যদিকে পরিবহন অবকাঠামোর যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা পাল্টে যাচ্ছে। এর প্রকৃত উদাহরণ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা হাইওয়ে এক্সপ্রেসে। তাই শিক্ষা, চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার যাতে গ্রামে থেকেই মানুষ নিতে পারে- সেই ব্যবস্থা করা যায় সহজেই। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপের প্রয়োজন। এবারও প্রমাণ হলো, লম্বা ছুটি পেলেই অনেক মানুষ গ্রামে ছুটে যায়। গ্রামকেই তারা নিরাপদ আশ্রয় মনে করে। নিজের গ্রামে যদি তাদের কর্মসংস্থান হয়, তবে তারা ঢাকা শহরে আসতে চাইবে না- এটা আমি নিশ্চিত। সবশেষে সবার প্রতি আহ্বান আপনারা ঘরে থাকুন- নিরাপদে থাকুন।’ করোনাকালে পাতালে হাসপাতালে পাতালে হাসপাতালে কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হকের একটি গল্পের নাম। করোনাকালে হাসপাতাল নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনে জাকিয়া আহমেদের প্রতিবেদন পড়তে পড়তে গল্পটার নাম মনে পড়ল। করোনা আসার আগে পর্যন্ত যাদের নানা জটিল রোগ ছিল, কিংবা এখন যারা বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা হাসপাতালের সেবা পাবেন কিভাবে, এমন ভাবনা হচ্ছে প্রতিবেদনটি পড়ে। জাকিয়া লিখেছেন, ‘বেসরকারী হাসপাতালের ফটকে ঝুলছে ‘ক্লোজ’। প্রবেশপথে লেখা ‘ক্লোজ’। ৬৭ বছরের নাজমা বেগম ক্যান্সারে আক্রান্ত। পেটে পানি জমার কারণে চিকিৎসক তাকে আলট্রাসাউন্ড করতে বলেন গত ২৪ মার্চ। সেদিন থেকে অনেক হাসপাতাল ঘুরে পরিচিতজনের সুবাদে অবশেষে তার আলট্রাসাউন্ড হয়েছে গত ২ এপ্রিলে। তার মতো অনেক রোগীই বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারাত্মক সঙ্কটে পড়ছেন। মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতো চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে না। সেজন্য অধিকাংশ হাসপাতালই রোগীশূন্য। রোগীদের প্রবেশেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। কোথাও লেখা রয়েছে ‘ক্লোজ’। ঘোষণা না থাকলেও কার্যত বন্ধই রয়েছে এসব হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি নিচ্ছে না, চিকিৎসকরা বসছেন না এমন অভিযোগ রোগী এবং স্বজনদের। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ এপ্রিলে রাজধানীর পান্থপথ, গ্রিন রোড ঘুরে দেখা যায়ু যে গ্রিন রোডে পা ফেলার জায়গা থাকে না। ডাক্তারের সিরিয়াল সন্ধ্যা ৭টায় থাকলে মগবাজার থেকে বের হতে হয় সাড়ে ৪টায়। সেই গ্রিন রোডে কোথাও কেউ নেই। হাসপাতালের সামনে নেই নিরাপত্তারক্ষীদের হুইসেল, নেই গাড়ির জটলা। গ্রিন রোডের গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটকে তালা মারা। ভেতর থেকে সাইনবোর্ড ঝুলছে ‘ক্লোজ’। ভেতরে তিনটি লিফটের সিরিয়ালে জায়গা পেতে যেখানে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। কয়েকবার লিফট উপর-নিচ করার পর সুযোগ হয় ওঠার। সেই লিফটের কয়েক হাত দূর থেকে লেখা ‘ভিজিটর পাস ছাড়া হসপিটালে প্রবেশ ও অবস্থান নিষেধ।’ রিসেপশনের সামনে যেখানে রোগীদের দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতে হয়, সেখানে চেয়ারগুলো শূন্য পড়ে আছে। রিসিপশনের চারপাশে পর্যন্ত আটকে দেয়া হয়েছে। সব ফাঁকা কেন জানতে চাইলে রিসিপশন থেকে বলা হয়, স্যাররা ছুটিতে আছেন। তালাবদ্ধ এ হাসপাতালের বিপরীত দিকে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতাল। সেখানে গিয়ে দিয়ে যায়, ভেতরের মূল ফটকের তিন-চতুর্থাংশ আটকানো। ওয়েটিং জোনে কেবল খালি চেয়ার। মধ্যবিত্তের আস্থার এ পুরনো হাসপাতালটিতে যেখানে গা ঘেঁষে দিয়ে চলতে হয় রোগীদের সেখানে ২০ মিনিট অপেক্ষা করেও একজন রোগীর দেখা মিলল না। একটু এগিয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল। এ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজির ভিড়ে যেখানে রোগী নামাতে একটু দেরি হলেই নিরাপত্তারক্ষীদের লাল চোখ দেখতে হয়, সেই হাসপাতালের সামনে দুটি এ্যাম্বুলেন্স আর দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। অলস সময়ে রাস্তার ধারে চা খেতে দেখা যায় নিরাপত্তারক্ষীদের।’ সর্বশেষ ঢাকায় বহু জায়গায় অভাবি মানুষদের ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। বলতে পারি গত কয়েকদিনে ত্রাণ কার্যক্রম জোরদারও হয়েছে। প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ত্রাণ বিতরণে অংশ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ভাটারা থানার ত্রাণ প্রদানের ব্যবস্থাপনা বিশেষভাবে নজরে পড়েছে। ছবি দেখুন, এটি পেয়েছি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর ওয়েবসাইটে। পুলিশ ত্রাণপ্রত্যাশীদের স্থানীয় একটি হাই স্কুলের মাঠে নিরাপদ দূরত্বে লাইন ধরে বসিয়ে ত্রাণ দিয়েছে। বিষয়টি অনুসরণীয়। এই লেখা শেষ করার আগে আরেকটি খবর পিলে চমকে দিল। আইইডিসিআর জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ১৮ জনের ১২ জনই ঢাকার। আগের দিন চার এপ্রিলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শুধু ঢাকাতেই ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত । এলাকাগুলো মনিপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, সেনপাড়া, বড়বাগ, মীরপুর ১০ ও ১১, উত্তরা ১ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তর খান ( থানা ও ইউনিয়ন), খিলক্ষেত, বারিধারা, বনানী, গুলশান, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, হাজারীবাগ, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, পলাশী নীলক্ষেত ও সেগুনবাগিচার একাংশ, কাকরাইলের একাংশ, মগবাজার, রামপুরা, বাসাবো, শাহজাহানপুরের একাংশ, বাংলাবাজার, ফরাশগঞ্জের একাংশ, যাত্রাবাড়ী, মীরহাজির বাগের একাংশ। তথ্য- আইইডিসিআর। ঢাকার দিনরাত যে ভাল কাটছে না, তা বলাইবাহুল্য। ৫ এপ্রিল ২০২০ [email protected]
×