ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় প্রবেশ ও ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ১০:২৭, ৬ এপ্রিল ২০২০

 ঢাকায় প্রবেশ ও ত্যাগের  ওপর নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা সংক্রমণ কমাতে তৃতীয় দফায় বাড়ানো হয়েছে সরকারী ছুটি। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া অবস্থানে রাজধানীর অলি-গলিতে ছিল সুনসান নীরবতা। তবে হঠাৎ গত দুইদিনে রাজধানীতে বেড়েছে গাড়ি চলাচল, বেড়েছে মানুষ। রাস্তায় অতিরিক্ত মানুষ যেমন ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে তেমনই এতে জনগণকে নিরাপদ রাখতে সরকারের ছুটির উদ্দেশ্যেও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়াতে ঢাকা থেকে যাতে কোন লোক বাইরে যেতে না পারে এবং ঢাকার বাইরে থেকে কোন মানুষ যাতে ঢাকায় আসতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। আইজিপির এই নির্দেশে ঢাকা লকডাউনের কথা উল্লেখ না করা হলেও কার্যত ‘লকডাউন’ হলো ঢাকা। করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন সরকার। যা তিন দফায় বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই ছুটি থাকবে। এই ছুটির সময় সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ারও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সাধারণ চুটি শুরু হওয়ার পর থেকে রাজধানী একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। মানুষও খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হয়নি। মার্চের শেষের দিকে সড়কে গাড়ি এবং মানুষ বেড়ে গেলে কঠোর হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জেরার মুখে অনেকেই শখ করে আর বের হওয়ার সাহস দেখায়নি। গোটা শহরজুড়ে শুধু জরুরী সেবায় নিয়োজিত আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ছাড়া কিছু চলাচল করত না। রিক্সাও চলাচল ছিল কম, বেশিরভাগ রিক্সা গলিতেই চলাচল করত। মানুষও খাদ্য পণ্য বা ওষুধ কেনা অর্থাৎ জরুরী ছাড়া বের হতো না। দিনের বেলায় রাজধানী ছিল সুনসান নীরবতা। গত দুইদিন আগেও এমন নীরবতা ছিল গোটা শহরেই। অথচ শুক্রবার সন্ধ্যার পর কিছু গাড়ি বেড়ে যায় সড়কে। শনিবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহন অনেক বেড়েছে সেই ধারাবাহিকতা দেখা যায় রবিবারও। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অলি-গলিতে বেড়েছে মানুষের পদচারণাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গাড়ি চলাচল বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে মানুষের যাতায়াত বেড়ে গেছে। এতে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়েছে। প্রসঙ্গত, এ্যাম্বুলেন্স, জরুরীসেবা, সংবাদকর্মী, চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহৃত এবং পণ্যবাহী গাড়ি আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
×