ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

১২ বাংলাদেশী তবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে ভারতে মামলা

প্রকাশিত: ১০:০৬, ৬ এপ্রিল ২০২০

 ১২ বাংলাদেশী  তবলীগ কর্মীর  বিরুদ্ধে ভারতে  মামলা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দিল্লীর ‘মারকাজ নিজামুদ্দিনে’ তবলীগ জামাতের সমাবেশে অংশ নেয়া ১২ বাংলাদেশী নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পুলিশ। এদের মধ্যে দু’জন ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবেও শনাক্ত হয়েছেন। এই বাংলাদেশী নাগরিকরা সবাই ভারতে করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত দিল্লীর তবলীগ সমাবেশে অংশ নেন। পরে তারা সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘চিল্লা’ বা ধর্মীয় প্রচারে বেরিয়েছিলেন। তারা ওই রাজ্যের শামলি জেলার একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শামলি পুলিশ তাদের সেই মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে এখন একটি সরকারী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আটক রেখেছে। খবর বিবিসির। শামলি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার শ্রীবাস্তব রবিবার সকালে জানান, ‘আমরা যে ডজনখানেক বাংলাদেশীকে আটক করেছি তারা সবাই ভাসিন গ্রামে তবলীগের একটি মসজিদে লুকিয়ে ছিলেন। তাদের অনেকের মধ্যেই জ্বর-কাশি বা করোনাভাইরাসের মতো উপসর্গও ছিল।’ ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় এদের দু’জনের পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এদের সবাইকেই গত তিন-চারদিন ধরে থানা ভাওয়ান শহরের সরকারী কলেজ বিল্ডিংয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’ পুলিশ কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, আটক বাংলাদেশী নাগরিকরা সবাই পর্যটক ভিসা নিয়েই ভারতে ঢুকেছিলেন এবং ভিসার শর্ত ভেঙ্গে তারা ধর্মীয় প্রচারণা ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। তাদের কারও ভিসার মেয়াদ এর মধ্যে ফুরিয়ে গেছে। এই কারণেই আটক ১২ জন বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে থানা ভাওয়ান পুলিশ স্টেশনে ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স এ্যাক্ট লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে আটক করা হয়েছে ভাসিন গ্রামের স্থানীয় দু’জন বাসিন্দাকেও।
×