স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানির কন্টেনার জট মারাত্মক রূপ নিয়েছে। পুরো বন্দরে কন্টেনারে ধারণক্ষমতা যেখানে ৪৯ হাজার ৩৩৫ টিইইউএস। সেখানে রবিবার পর্যন্ত কন্টেনারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার টিইইউএসেরও বেশি। মূলত আমদানির তুলনায় রফতানি কমে যাওয়া এবং বন্দর থেকে সরবরাহের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে বহির্নোঙ্গরে জাহাজের সংখ্যা ১০৭ এবং জেটিতে পণ্য খালাসের পর্যায়ে রয়েছে ১৬ জাহাজ। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে গড়ে ৪ হাজার কন্টেনার বন্দর থেকে পরিবাহিত হতো, তা হ্রাস পেয়ে বর্তমানে এক হাজারে নেমে এসেছে। ফলশ্রুতিতে বন্দর এলাকার ইয়ার্ডগুলোতে কন্টেনার ধারণক্ষমতা এখন ছুঁই ছুঁই করছে। পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে কন্টেনার হ্যান্ডলিং পরিস্থিতিতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এ অবস্থায় বন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে গত ২৬ মার্চ ছুটি ঘোষিত হওয়ার সময় থেকে যেসব কন্টেনার বন্দরে এসে নেমেছে সেগুলো ছুটিকালীন ডেলিভারি নেয়া হলে দন্ডভাড়ামুক্ত থাকবে।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, কোন অবস্থাতে যাতে কন্টেনার নিয়ে জাহাজ জেটিতে অবস্থান করুক সে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়ার জন্য তাদের তৎপরতা রয়েছে। এরপরও যদি তাই হয় সে পরিস্থিতিতে রেশনিং পদ্ধতি চালু করার চিন্তা ভাবনাও করা হচ্ছে। যদিও এখনও বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। রেশনিং পদ্ধতিটি হচ্ছে যে পরিমাণ কন্টেনার ডেলিভারি হবে, সে পরিমাণ কন্টেনার জাহাজ থেকে নামানো হবে। সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে আমদানির তুলনায় রফতানির কন্টেনার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ফলে বন্দর এলাকায় দিন দিন কন্টেনারের স্তূপ জমছে। এছাড়া বন্দর এলাকা থেকে ডেলিভারিও ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এসব মিলেই বন্দরে কন্টেনার পরিস্থিতি জটিল রূপ নিয়েছে।