ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিনেমা দেখে সময় কাটাচ্ছেন সিন্ধু

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ৫ এপ্রিল ২০২০

  সিনেমা দেখে সময় কাটাচ্ছেন সিন্ধু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় খেলে ভারতে ফিরেছিলেন দেশের এক নম্বর মহিলা শাটলার পিভি সিন্ধু। বিদেশ থেকে ফেরার পর কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে গত দু’সপ্তাহ নিজের বাড়িতেই বন্দী রয়েছেন তিনি। গৃহবন্দী থাকার অভিজ্ঞতা কেমন? সিন্ধু জানিয়েছেন, আমি কঠোরভাবেই মেনেছি কোয়ারেন্টাইন নিয়ম। গত ১৪ দিন আমি বাড়িতে নিজের ঘরেই আবদ্ধ ছিলাম। বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করিনি। আমার বোনের বাড়ি পাশেই। তার দেড় বছরের ছেলেকে পর্যন্ত ভাইরাসের ভয়ে আদর করার চেষ্টা করিনি। গত কয়েকদিন ওকে দেখেছি স্রেফ ভিডিও কলের মাধ্যমে। তবে ঘরের মধ্যে থাকলেও নিজেকে ফিট রাখার অভ্যাস ত্যাগ করেননি সিন্ধু। তার কথায়, প্রতিদিন দেড়-দুই ঘণ্টা ঘরেই শরীরচর্চা করেছি। র‌্যাকেট হাতে স্যাডো প্র্যাকটিসও করেছি। হাইজাম্প দিয়েছি মাঝে মধ্যে। নিজের ফিটনেস ধরে রাখার ব্যাপারে গোপী স্যারের (গোপীচাঁদ) পরামর্শ কখনও অমান্য করিনি। হায়দরাবাদে থাকলে কাক ভোরে ওঠে তার একাডেমিতে প্র্যাকটিসে নেমে পড়াই ছিল দস্তুর। কিন্তু কোয়ারেন্টাইনের সময়ে আমি ঘুম থেকে দেরি করে উঠতাম। তাই দিনটা শুরু হতো কিছুটা বিলম্বে। শেষ কবে টানা দুই সপ্তাহ বাড়িতে থেকেছি মনে করতে পারছি না। ঘরে থাকতে থাকতে মাঝে মধ্যে বিরক্তও লাগত। আর তা থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর সিনেমা দেখেছি টিভিতে। হিন্দি, তেলেগু, ইংরেজী সিনেমাও বাদ যায়নি। এত সিনেমা দেখেছি যেসব সিনেমার নাম এখন আর মনে করতে পারছি না। আবার কখনও মোবাইলে দেখেছি কিছু বাছাই করা হিন্দি গানের এ্যালবাম। এই ব্যাডমিন্টন তারকা খেলোয়াড় জানান, ‘অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনের পর আমার ভাবনাতে স্রেফ টোকিও অলিম্পিকই ছিল। প্র্যাকটিসে ওয়ার্কলোড বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিলাম। যোগ্যতা নির্ণয়ক টুর্নামেন্টেও খেলার কথা ছিল। ইংল্যান্ডে থাকার সময় বুঝেছিলাম এই ভাইরাস গোটা বিশ্বকে গ্রাস করতে চলেছে। আন্দাজ করতে পারছিলাম, নির্ধারিত সময়ে ২০২০ অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই অলিম্পিক স্থগিতের সিদ্ধান্ত আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল না। অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনের জন্য ইংল্যান্ডে থাকার দিনগুলোর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সিন্ধু বলেছেন, ওখানে আমরা কারও সঙ্গে করমর্দন করিনি। স্টেডিয়ামের বাইরে মাস্ক পরেই থেকেছি। বার বার হাত ধোয়া অভ্যাস করে ফেলেছিলাম। ভেবেছিলাম প্রতিযোগিতা বাতিল হবে। কিন্তু সংগঠকরা যখন প্রতিযোগিতা বাতিল করলেন না, তখন নিজেরাই আরও বেশি সতর্ক হয়ে গিয়েছিলাম। অলিম্পিকে পদকজয়ী তারকা আরও জানিয়েছেন, লকডাউন পর্বের বাকি দিনগুলোয় মাকে তিনি রান্না ঘরে সাহায্য করবেন।
×