ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফে ঘুষ না পেয়ে বাড়ি ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ৫ এপ্রিল ২০২০

 টেকনাফে ঘুষ না পেয়ে  বাড়ি ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে স্থানীয় ব্যক্তির বসতঘর ভেঙ্গে দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। টেকনাফের রেঞ্জ অফিসার আশিক আহমদকে তার কৃতকর্মের জন্য ধিক্কার জানিয়ে তার মুঠোফোনে স্থানীয়দের ওপর এমন অত্যাচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া ঘুষ না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে টেকনাফে রেঞ্জ কর্মকর্তা মঙ্গলবার সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারী মোঃ আবদুর রহিমের নাইট্যংপাড়াস্থ নির্মাণাধীন বসতঘরটি ভেঙ্গে দেন। স্ত্রী খোরশেদা বাধা দিলে তাকে গলা ধাক্কা দেয় বনকর্মীরা। শিশু সন্তানদের নিয়ে বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিনযাপন করছে ওই পরিবারের সদস্যরা। জানা যায়, প্রায় ৩৫ বছর ধরে কক্সবাজার সওজ বিভাগের কর্মচারী টেকনাফের নাইট্যংপাড়ায় সামান্যটুকু ভোগ দখলীয় জায়গার ওপর বসবাস করে আসছে। সেখানে স্থানীয় বহু পরিবারের একাধিক সেমিপাকা বাড়িঘর রয়েছে। সম্প্রতি গাছ পড়ে কুড়ে ঘরটি ভেঙ্গে গেলে তিনি সেমিপাকা ঘর করার উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যে বনবিভাগের একজন ফরেস্টার ঘরের মালিক রহিমের কাছে গিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তার কথা বলে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রেঞ্জ কর্মকর্তা আশিক আহমদ কয়েকজন বনকর্মী ও ভাড়াটে লোক নিয়ে ভেঙ্গে দেয় রহিমের নির্মাণাধীন বাড়িটি। এখানে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, রেঞ্জ কর্মকর্তা পাহাড়কাটা হচ্ছে বলে ভুল তথ্য দিয়ে টেকনাফের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত করালে তিনি পাহাড় কাটার দৃশ্য না পেয়ে ও বিষয়টি বুঝতে পেরে নিজ কার্যালয়ে ফিরে যান। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, যুগ যুগ ধরে টেকনাফে হাজার হাজার পরিবার বনবিভাগের জায়গায় বসবাস করে আসছে। ইতোপূর্বে বনবিভাগ পুরনো বসতভিটা নিয়ে এ ধরনের কাউকে হয়রানি করেনি। রাতে খোলা আকাশের নিচে ঘুমোচ্ছে শিশুরা। সরকারী কর্মচারী আবদুর রহিমের বসতভিটাটি বহু বছরের পুরনো। ঘুষের জন্য তার ওপর এভাবে অত্যাচার চালানো অমানবিক বলে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। লাখ লাখ রোহিঙ্গার কারণে চরম ক্ষতিগ্রস্ত উখিয়া টেকনাফের জনগণ। এ অবস্থায় জনসেবার বদলে বসতঘরটি ভেঙ্গে দিয়ে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে রেঞ্জ কর্মকর্তা আশিক আহমদ বলেন, বনবিভাগের জায়গায় বিল্ডিং করা যায় না।
×