ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার ঝুঁকি নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপার

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ৫ এপ্রিল ২০২০

করোনার ঝুঁকি নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপার

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া ঘাটে এখন মানুষের ভিড়। ঠাসাঠাসি করে পার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। দক্ষিণাঞ্চল থেকে লোকজনের এখন ঢাকার দিকে যাচ্ছে। লঞ্চ ও স্পিটবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় একে নিরাপদ দূরত্ব দূরের কথা গায়ের ওপর গা লেগে যাচ্ছে। এতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। শনিবার দুপুরে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিতে করে হাজার হাজার লোক পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ঢাকামুখী যাত্রীর চাপই ছিল বেশি। তারপর বাস না থাকায় বিভিন্ন প্রকার যানবাহনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। এর মধ্যে নসিমন, মাইক্রো ও মোটরসাইকেলসহ নানা প্রকার ছোট ছোট যানবাহনে যাত্রীরা ঢাকার উদ্দেশে ছুটছে। তবে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের লৌহজংয়ের মেদিনীম-লে ডলফিন ট্রেনিং সেন্টারের পাশে সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ চেকপোস্টে কোন গাড়ি আসলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তা উল্টোদিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। তাই মহাসড়কে ঢাকায় যেতে না পেরে এ সকল যানবহন লৌহজং-টঙ্গিবাড়ী-মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। তবে ভেতরের এ সড়কগুলোতে পুলিশ বা ট্রাফিকের তেমন বাধা নেই। কিছু কিছু যানবাহনে ঠাসাঠাসি করে যাত্রীরা ঢাকায় যাচ্ছে। মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিএম আশরাফুল কবির জানান, লোকজন ফেরিতে করেই পার হচ্ছে। এই চাপ সকালের দিকে আরও বেশি ছিল। লোকজন ঠাসাঠাসি করে উঠার কারণে ফেরিতে যানবাহন উঠার জায়গা থাকছে না। তিনি জানান, ঢাকায় কিছু গার্মেন্টস খোলার কারণে লোকজন রাজধানীতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। মানিকগঞ্জ নিজস্ব সংবাদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কর্মমুখী হাজার হাজার মানুষ রাজধানীর দিকে ফিরছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ৪/৫ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে এসব লোকজন হেঁটে, রিক্সা, ভ্যান, পিকআপ ও ট্রাকে কর্মস্থলের দিকে ছুটছে। শনিবার সকাল থেকে এসব লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে পাটুরিয়া ঘাটে। আগামীকাল থেকে গার্মেন্টগুলো খোলার কারণে অনেকটাই বাধ্য হয়ে ফিরতে হচ্ছে এসব লোকজনদের। এদিকে সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রচন্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগের পড়েছে এসব কর্মমুখী মানুষ। বিআইডব্লউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম, মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, গণপরিবহন চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে এ নৌরুটে দিয়ে জরুরী কাঁচামালবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। ফেরিঘাটে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রীরা। জোর করে ফেরিতে উঠছে শত শত যাত্রী । আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। এ রুটে ১৫টি ফেরির মধ্যে সীমিত আকারে চারটি ফেরি চলাচল করছে।
×