ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চীনে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহীতারা সুস্থ আছেন

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ৫ এপ্রিল ২০২০

  চীনে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহীতারা সুস্থ  আছেন

করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীনেই। আর এ ভাইরাস নির্মূলে তারাই প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য নামে। এরই ধারাবাহিকতায় জানা গেছে, ভ্যাকসিনও আবিষ্কার করে দেশটির গবেষকরা। এখন এ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। আর এ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য একদল স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছিল এ ভ্যাকসিন। প্রথম পর্যায়ে ১০৮ সুস্থ-সবল স্বেচ্ছাসেবী এ ট্রায়ালে অংশ নেন। খবর শিনহুয়ার। শরীরে ভ্যাকসিন প্রবেশ করানোর পর তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এরমধ্যে ১৮ জনকে নিবিড় মেডিক্যাল পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এদের ১৪ জনের কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের শারীরিক অবস্থা ভাল রয়েছে। গবেষক দল এই স্বেচ্ছাসেবীদের আরও ৬ মাস পর্যবেক্ষণ করবেন। তাদের রক্তের নমুনা ল্যাবরেটরিতে রাখা হয়েছে। তাদের রক্তের এ্যান্টিবডি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে গবেষক দলের সদস্যরা। গবেষক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে তারা চীনের বাইরেও এ ট্রায়াল চালাবে। এ ট্রায়ালে অংশ নেয়া ১০৮ জনের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর। এ সব স্বেচ্ছাসেবীদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এরপর গ্রুপ অনুযায়ী তাদের শরীরে বিভিন্ন মাত্রায় ভ্যাকসিন প্রবেশ করানোর হয়। তাদের উহান স্পেশাল হেলথ সার্ভিসের আইসোলেশন রাখা হয়। সেখানে তাদের শারীরিক গতিপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে গবেষক দল। কেয়ারেন্টাইন শেষে স্বেচ্ছাসেবীদের অনেকেই বলেছেন, তারা প্রথম কয়েকটা দিন সামান্য ব্যথা অনুভব করেছে। তবে তারা সবাই সুস্থ এবং আগের শারীরিক অবস্থায় আছেন। তারা ভ্যাকসিনটির বিষয়ে খুবই আশাবাদী। গত ১৭ মার্চ মেডিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন পায় চীনা গবেষকদের আবিষ্কৃত এ ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনটি আবিষ্কারে নিয়ামক ভূমিকা রাখে চীনের মিলিটারি বায়ো-ওয়েলফেয়ার বিশেষজ্ঞ চেন উই। উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস।
×