ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ মহামারীর শেষ কোথায়?

প্রকাশিত: ১০:০১, ৪ এপ্রিল ২০২০

এ মহামারীর শেষ কোথায়?

রাজন ভট্টাচার্য ॥ দেশে দেশে এখন আর কোন যুদ্ধ নেই। নেই যুদ্ধের প্রস্তুতি। হুমকি, পাল্টা হুমকিও থেমে গেছে। গোটা পৃথিবী এখন করোনা মোকাবেলার যুদ্ধে শামিল হয়েছে। বলতে গেলে করোনাকে কাবু করার রণকৌশল খুঁজতে দিশেহারা বিশ্ব নেতারা। প্রতিদিন বাড়ছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর মিছিল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০০ বেশি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের। বাংলাদেশে শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১। মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন। পরীক্ষা বাড়ানোর কারণে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত বেড়েছে পাঁচজন। বিভিন্ন জেলা উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কয়েকজন। প্রশ্ন হলো কবে থামবে এই বৈশ্বিক মহামারী। এ নিয়ে মহাচিন্তায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। সবার অপেক্ষা কোভিড যেন থেমে যায়। ফের সচল হতে পারে গোটা পৃথিবী। ঘুরে দাঁড়াতে পারে দুনিয়ার অর্থনীতি ও বিজ্ঞান। কথা হলো দ্রুত করোনা থেমে যাওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও কবে নাগাদ তা থামছে ? সঠিকভাবে বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরাও। তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকে কিছুটা অনুমান নির্ভর তথ্য প্রকাশ হয়েছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণা আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রাণঘাতী এ রোগ কবে থামবে তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশুকিল। তবে তা থামানোর সবচেয়ে বড় পথ হলো প্রতিষেধক আবিষ্কার অন্যটি লকডাউন। যে দেশ যত বেশি লকডাউনে থাকবে সেখানে তত কম সংক্রমণ ঘটবে। এটাই বাঁচার অন্যতম পথ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চারটি ওষুধ ও কয়েকটি ওষুধের সমন্বিত প্রয়োগ নিয়ে কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত ৭৪টি দেশ ওষুধের পরীক্ষামূলক গবেষণায় অংশ নিয়েছে বা নেয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। মাসখানেক আগেও করোনা মহামারী ছিল শুধু চীন কেন্দ্রিক। দেখতে দেখতেই বদলে গেছে পরিস্থিতি। নোভেল করোনাভাইরাসের হানায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলো। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সবার মধ্যেই। মহামারী ঠেকাতে যেন মহা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন সারাবিশ্বের নীতি নির্ধারকরা। কোনভাবে হয়ত করোনায় প্রাণহানি ঠেকানো গেল, কিন্তু তাতে কী শেষ হবে এই দুর্ভোগ ? বিশেষজ্ঞদের উত্তর, না! অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। একটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, অর্থনীতি- হুমকির মুখে সবই। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের করাল থাবায় থমকে দাঁড়িয়েছে পৃথিবী। বন্ধ হয়ে গেছে সবকিছু। যেসব জায়গা মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে, সেগুলো দেখলে এখন ভূতুড়ে মনে হয়। যানজট আর দূষণের নগরী ঢাকার চিত্রও একেবারে পাল্টে গেছে। ১৯৭১ সালের পর এ রকম ঢাকার চিত্র আর কখনও দেখা যায়নি। প্রতিদিনের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি, পরিবহন লকডাউন, স্কুল বন্ধ, ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা, গণজমায়াতের ওপর বিধিনিষেধ- এসব কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একটি রোগ ঠেকানোর ক্ষেত্রে পুরো বিশ্ব যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, সেটি নজিরবিহীন। কিন্তু এর শেষ কোথায় ? মানুষ কবে নাগাদ তাদের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে ফিরতে পারবে ? ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ১২ সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের ‘ঢেউ উল্টোপথে ঘুরিয়ে’ দিতে সক্ষম হবে ব্রিটেন। এর মধ্যে মোটে দেড় সপ্তাহ পার হয়েছে এখন পর্যন্ত। তিনমাসের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে, কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরি শেষ হতে অনেক সময় বাকি। সম্ভবত কয়েকবছর পর্যন্ত লাগতে পারে। এটা পরিষ্কার যে যেভাবে বড় বড় শহর বন্ধ রাখা হচ্ছে এবং মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরার ওপর বিধি আরোপ করা হচ্ছে, সেটি দীর্ঘমেয়াদী চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এভাবে সবকিছু বন্ধ থাকলে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হবে মারাত্মক। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশগুলোকে একটি কৌশল খুঁজে বের করতে হবে। বিধিনিষেধগুলো প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার উপায় খুঁজতে হবে। এ কথা ঠিক যে বিধিনিষেধ আরোপের ফলে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। এসব বিধিনিষেধ তুলে দিলে সংক্রমণের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। ‘এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কৌশল কী হবে এবং সেখান থেকে আমরা কিভাবে বের হয়ে আসব এ নিয়ে বড় সমস্যা আছে,’ বলছিলেন এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিষয়ক অধ্যাপক মার্ক উলহাউজ। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর কোন দেশেরই কৌশল নেই। এই কৌশল ঠিক করা বড় ধরনের বৈজ্ঞানিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জ। এর তিনটি উপায় আছে। সেগুলো হলো- টিকা দেয়া, বহু মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের ফলে তাদের মধ্যে এ নিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে অথবা স্থায়ীভাবে মানুষ এবং সমাজের আচার-আচরণে পরিবর্তন নিয়ে আসা। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন, আমরা সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে রাখার কথা বলছি যাতে করে দেশের একটি কমসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়। আমরা যদি দুই বছরের বেশি সময় যাবত এটা করতে পারি তাহলে দেশের একটি বড় অংশ ধীরে ধীরে আক্রান্ত হবে। এর ফলে স্বাভাবিক নিয়মে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠবে। অধ্যাপক উলফহাউজ বলেন, কোভিড-১৯ এর ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব হলে সেটি অন্য কৌশলগুলো বাস্তবায়নের জন্যও সাহায্য করবে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ দেখা দেয়ার সময় ওষুধ প্রয়োগ করলে তাহলে সেটি অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে যাবার বিষয়টি বন্ধ করতে পারে। অথবা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার মাধ্যমে এই রোগের মাত্রা কমিয়ে আনা, যাতে আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ওপর চাপ কমে। এটি করা সম্ভব হলে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া বা লকডাউনের আগে দেশগুলো বেশি রোগী সামাল দিতে পারবে। ব্রিটেনের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ক্রিস হুইটির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার উপায় কী ? তিনি বলেন, ‘টিকা দেয়াটাই হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে সমাধান। আমরা আশা করছি এটা যত দ্রুত সম্ভব হবে। এছাড়া বিজ্ঞান এর একটা সমাধান খুঁজে বের করবে বলে তিনি আশা করেন।’ উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশে দেশে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এসবের কার্যকারিতা, নীতি নির্ধারণের সমস্যা প্রভৃতি নিয়ে বিশ্লেষণী প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট। এতে বলা হয়েছে, গত ৩০ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কিত নির্দেশনা এপ্রিলের শেষ অবধি কার্যকর থাকবে। তাদের নীতি নির্ধারণী মডেল অনুসারে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুহার আগামী দু’সপ্তাহেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে না। এতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, যদি খুব কড়াকড়িভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশনাগুলোর সবই অনুসরণ করা হয়, তাহলে দেশটিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ রক্ষা হতে পারে। এ ধরনের মহামারী সংক্রান্ত মডেল বা রোগতত্ত্ব মডেলগুলোর কারণেই মূলত বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে লকডাউন পরিস্থিতি চলছে, অবশ্য এটাই একমাত্র কারণ নয়। সংক্রমণ শুরুর পরপরই চীনেও অভূতপূর্ব কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল। নিঃসন্দেহে এর কারণেই সেখানে সংক্রমণের ঘটনা আশ্চর্যজনক হারে কমে এসেছে। এ ধরনের মডেলের বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি বিভিন্ন দেশে কী হচ্ছে বা আগামীতে কী হতে চলেছে তার একটা আনুমানিক চিত্র পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে পারে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি খারাপ হবে কি-না, হলে কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে তারও ধারণা পাওয়া যায় এ মডেল থেকে। এগুলো দেখে বিশেষজ্ঞরা খুব সহজেই বলে দিতে পারেন, লকডাউন হলে হাজারও মানুষের প্রাণ বাঁচতে পারে। তবে সেটা কীসের বিনিময়ে- এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া একজন নীতি নির্ধারকের জন্য বেশ কঠিন। আর মহামারী বিশেষজ্ঞরা যখন এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলেন, সেটা আমাদের জানার বিষয় নয়’, তখন এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য তাকাতে হয় অর্থনীতিবিদদের দিকে। তবে তাদের কাছ থেকে বড় একটা সাহায্য মেলে না। হাজারও মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য অবশ্যই অর্থনীতিকে বড় মূল্য দিতে হবে; তবে সে বড় আসলে কতটা তার জন্য কিছু প্রশ্নের জবাব জানা প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কয়েকমাস স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কতদিন করোনাভাইরাসের মহামারী স্থায়ী হতে পারে এবং সামরিক বাহিনী কতদিন এ ভাইরাস মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার এসব কথা বলেন। মার্ক এসপার বলেন, ‘আমি মনে করি এই পরিস্থিতি কয়েক মাস দীর্ঘায়িত হতে পারে এবং এ বিষয়ে আমাদের করণীয় কী তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেয়া দরকার। পেন্টাগন পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর আগে সোমবার মার্ক এসপার ঘোষণা করেছিলেন যে, পেন্টাগনে বাইরের লোকজনের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। ভাইরাসটা কী ॥ করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস- যা এর আগে কখনও মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। সারাবিশ্বে এরই মধ্যে ২০০টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা দিন কয়েকের মধ্যে দশ লাখে পৌঁছবে বলে তাদের অনুমান। ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯- এনসিওভি বা নোভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরনের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরনের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি। ২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ৮ হাজার ৯৮ জন সংক্রমিত হয়েছিল। সেটিও ছিল এক ধরনের করোনাভাইরাস। নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ডাকা হচ্ছিল, যেমন ঃ ‘চায়না ভাইরাস’, ‘করোনাভাইরাস’, ‘২০১৯ এনকভ’, ‘নতুন ভাইরাস’, ‘রহস্য ভাইরাস’ ইত্যাদি। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চীনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ায়, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনে কী হচ্ছে সেটার জন্য এই ঘোষণা দেয়া হয়নি বরং অন্যান্য দেশে যা ঘটছে সেটাই এই ঘোষণার মূল কারণ, ডব্লিউএইচও- এর প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রোয়াসুস বলেছেন, উদ্বেগ রয়েছে যে এই ভাইরাস দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়- যা ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রকমের প্রাদুর্ভাব- সেখান থেকে বোঝা যায় যে এই রকম প্রাদুর্ভাব দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোর ওপর কত ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, সংক্রামক এই ভাইরাস সমগোত্রীয় অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি ছোঁয়াচে এবং শক্তিশালী। তাদের মতে, যেহেতু এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি, তাই প্রতিরোধই আপাতত একমাত্র সমাধান। সেহেতু ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখাই প্রাথমিক কর্তব্য।
×