জুমার নামাজ থেকে বিরত রাখতে পাকিস্তানে কার্ফু জারি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে জুমার নামাজ পড়া থেকে মুসল্লিদের বিরত রাখতে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ সিন্ধুতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তিন ঘণ্টার জন্য সেখানে কার্ফু জারি করা হয়। শুক্রবার জুমার নামাজে অংশগ্রহণের বিষয়ে সরকারী সতর্কতা জারি করে কাজ না হওয়ায় এবার কার্ফু জারি করা হয়। খবর বিবিসি ও ডনের। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সরকারী সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে প্রায় দুই হাজার ৪৫০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৭ জন। এর মধ্যে সিন্ধু প্রদেশেই আক্রান্ত রয়েছে ৭৮৩ জন। এর মধ্যে পাঁচদিনেই সেখানকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হায়দ্রাবাদে আক্রান্ত হয়েছে ১৩০ জন। আক্রান্তদের অনেকেই ভারতের দিল্লীতে তবলীগ জামাতে অংশ নিয়ে ফিরেছিলেন। এক সপ্তাহেরও বেশি আগে থেকে সিন্ধু প্রদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই সময় প্রাদেশিক সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, এর কারণে মানুষ ক্ষুধার্তেই মারা পড়বে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা সত্ত্বেও শুক্রবার জুমার নামাজে ইমামসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয় সিন্ধুর প্রাদেশিক সরকার। তবে তা উপেক্ষা করেই জামাতে নামাজ পড়ে বহু মানুষ। তবে এই সপ্তাহে জুমার নামাজ ঠেকাতে দুপুর ১২টা থেকে তিনটা পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়। এই সময়ে বন্ধ রাখা হয় সব দোকানপাট। এছাড়া দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের জুমার নামাজে না আসার আহ্বান জানিয়ে মসজিদের মাইক থেকে প্রচার চালানো হয়। তবে গ্রামাঞ্চলের বহু মসজিদে অনেকে জড়ো হয়ে নামাজ পড়েছেন। তবে সেখানেও অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল বলে জানা গেছে। এদিকে ভাইরাসের বিস্তার রোধে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় ২৪ ঘণ্টা কারফিউ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে এ কার্ফু কার্যকর হয়েছে। এর আগে এই দুই নগরীসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ২১ দিনের আংশিক কার্ফু জারি করা হয়। ওই কার্ফু বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলছে। অর্থাৎ দিনের ১৬ ঘণ্টা কার্ফু জারি ছিল। এই প্রথম দেশটিতে ২৪ ঘণ্টার কার্ফু জারি করা হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় নোটিস আকারে প্রকাশ করেছে। এর আগে এই পবিত্র নগরীদ্বয়ের কিছু এলাকায় কড়াকড়ি জারি করা হয়েছিল। এ নোটিসের ফলে পুরো মক্কা এবং মদিনা নগরী দিনব্যাপী কার্ফুর আওতায় আসল। সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১৮৮৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।