ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সার্জিক্যাল সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রির সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মী আটক

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ৪ এপ্রিল ২০২০

 সার্জিক্যাল  সামগ্রী  কালোবাজারে  বিক্রির সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মী আটক

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ কালোবাজারে এক কার্টন সার্জিকাল সামগ্রী বিক্রির সময় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্ন কর্মীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার রাতে সদর হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতের নাম বিশ্বনাথ দাস (৩১)। সে শহরের রসুলপুরের রণজিৎ দাসের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, সদর হাসপাতালের অস্থায়ী পরিচ্ছন্ন কর্মী বিশ্বনাথ একটি কার্টনে করে হাসপাতালে সরবরাহকৃত প্রায় ৬০ হাজার টাকা মূল্যের অপারেশন সুতা, হ্যান্ড গ্লাভস, ক্যানুলাসহ বিভিন্ন সরকারী সার্জিকাল সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রির জন্য সদর হাসপাতালের সামনে সার্জিকালের দোকানে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় তারা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে তার কাছে থাকা কার্টন খুলে সরকার সরবরাহকৃত ওইসব সার্জিকাল সামগ্রী দেখতে পান। এরপর তাকে গণধোলাই দিয়ে খুলনা রোডের মোড়ে অবস্থানকারী ট্রাফিক পুলিশে সোপর্দ করে তারা। সেখান থেকে সদর থানার উপ-পরিদর্শক শরিফ এনামুল হক উদ্ধারকৃত মালামালসহ বিশ্বনাথকে থানায় নিয়ে আসে। বিশ্বনাথ সদর হাসপাতালের মধ্যেই বসবাস করে। জানা গেছে, সদর হাসপাতালের একটি অসাধু চক্র পরিচ্ছন্ন কর্মী বিশ্বানাথকে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের সরকারী ওষুধ, ভ্যাকসিন ও সার্জিকাল সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিল। এই মালামাল নিয়ে বিশ্বনাথ কয়েকটি সার্জিকালে যেয়ে দর কষাকষিও করার সময় একটি পক্ষ তাকে জনতার হাতে ধরিয়ে দেয়। তবে, স্টোরকিপার দীপঙ্কর বর্মন জানান, সদর হাসপাতালের মালামাল কালোবাজারে বিক্রয়ের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি যখন গাড়ি থেকে অক্সিজেন নামাচ্ছিলেন তখন পরিচ্ছন্নকর্মী বিশ্বনাথ তার স্টোরের মধ্য থেকে উক্ত মালামাল চুরি করে। তিনি আরও জানান, তিনি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৯ হাজার টাকার মালামাল চুরির একটি মামলা দায়ের করেছেন। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
×