ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এজবাস্টন স্টেডিয়াম এখন করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ৩ এপ্রিল ২০২০

এজবাস্টন স্টেডিয়াম এখন করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র

অনলাইন ডেস্ক ॥ ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজের কথা মনে আছে? চলতি শতক তো বটেই, ইতিহাসের অন্যতম সেরা অ্যাশেজ সিরিজ ধরা হয় সেটিকে। আর সেই সিরিজের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি হয়েছিল বার্মিংহামের এজবাস্টন স্টেডিয়ামে। লর্ডসে প্রথম টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তাই পায়নি স্বাগতিক ইংল্যান্ড, হেরে যায় ২৩৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। তবে ঘুরে দাঁড়ায় এজবাস্টনের দ্বিতীয় ম্যাচেই। সে ম্যাচে স্নায়ুযুদ্ধে অবতীর্ণ মাত্র ২ রানের ব্যবধানে জয় পায় ইংল্যান্ড। অ্যাশেজ ইতিহাসের সেরা ম্যাচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় এ ম্যাচটিকে রাখতেই হবে। এখন সেই ম্যাচের এজবাস্টন স্টেডিয়াম নেমেছে আরেক যুদ্ধে, মানবজাতিকে বাঁচানোর লড়াইয়ে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রমণে এরই মধ্যে ৩৩ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাজ্যে, মারা গেছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। প্রতিনিয়তই বাড়ছে এ সংখ্যাগুলো। করোনা বিস্তার রোধে ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে যেন সুবিধা হয়, তাই এজবাস্টন স্টেডিয়ামকে ব্যবহার করা হবে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে। মাঠটির মালিক ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্লাব জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার কাছে এ সংকটময় মুহূর্তের জন্য মাঠটিকে ছেড়ে দিয়েছে। এখন এই মাঠ বিশেষ করে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গাটা ব্যবহার করা হবে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার ‘চলতি পরীক্ষা কেন্দ্র’ হিসেবে। যাদের করোনা পরীক্ষা করানোর দরকার হবে, তারা এজবাস্টন রোড দিয়ে ভেতরে ঢুকবে, গাড়িতে বসে থেকেই পরীক্ষা শেষ করে পারশোর রোড দিয়ে বের হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, আসন্ন মৌসুমের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ভাইটালিটি ব্লাস্টে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার সকল সদস্যদের জন্য ফ্রি টিকিটের প্রস্তাবও দিয়েছে ওয়ারউইকশায়ার। মৌসুমের সূচি চূড়ান্ত হলে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টির প্রধান নির্বাহী নেইল স্নোবল বলেন, ‘যেহেতু ২৯ মে পর্যন্ত আমাদের কাউন্টি ক্রিকেট, সভা-সমাবেশ এবং আলোচনা বৈঠকসমূহ স্থগিত রয়েছে, তাই আমরা খুঁজছিলাম কীভাবে এই কঠিন সময়ে স্থানীয় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। আমাদের সিনিয়র সদস্য, প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে বৃহৎ প্রয়োজনে মাঠটিকে ব্যবহারের প্রস্তাব জানিয়েছি আমরা।’
×