ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত আরও ৬ হাজার ৬শ’ ৫৯ জন

প্রকাশিত: ১০:৪০, ২ এপ্রিল ২০২০

হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত আরও ৬ হাজার ৬শ’ ৫৯ জন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশের ১৩টি জেলায় বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় হাজার ৬৫৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও এক হাজার ৩০৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। অন্যদিকে ভোলা জেলায় করোনা সন্দেহে দুইজনকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে মুন্সীগঞ্জে ৪ হাজার ৭৮২ প্রবাসীর হোম কোয়ারেন্টাইন এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। যার ফলে সেখানে করোনার ঝুঁকি রয়েই গেছে। অন্যদিকে গাজীপুরে ইতালি ফেরত আরও সাতজন ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন যেটি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার দ্বিতীয় ঘটনা বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। গাজীপুর ॥ গাজীপুরের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র থেকে ইতালি ফেরত আরও ৭ জনকে দ্বিতীয় দফায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস শনাক্ত না হওয়ায় বুধবার সকালে তারা কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মুক্ত হয়ে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। দেশে করোনা প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র থেকে বিদেশ ফেরতদের সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার এটি (কাপাসিয়ার) দ্বিতীয় ঘটনা বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম। এর আগে গত সোমবার গাজীপুর মহানগরের পূবাইল এলাকার ‘মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ থেকে ইতালি ফেরত অপর ৩৬ জন ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, ইতালি ফেরত ৭ জনকে ছাড়পত্র দিয়ে বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাদের বাড়ির উদ্দেশে পাঠানো হয়। তারা এ হাসপাতালে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এখান থেকে এলাকায় গিয়ে তারা যাতে কোন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য গাজীপুরের এ কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র ত্যাগের পূর্বে সিভিল সার্জনের ছাড়পত্র ছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়। এখন থেকে তারা বাড়ি গিয়ে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী চলাফেরা করবেন। রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে আসা পাঁচজন রয়েছেন। এর আগের দিন ঢাকা থেকে আসা সাতজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। বুধবার সকালে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজশাহী জেলায় বর্তমানে ৪৪৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে রয়েছেন ১৩০ জন। এছাড়াও বাঘা উপজেলায় ৩১, চারঘাটে ৪৬, পুঠিয়ায় ৪৬, দুর্গাপুরে ২০, বাগমারায় ৩৯, মোহনপুরে ৬২, তানোরে ১৯, পবায় ২৫ ও গোদাগাড়ীতে ৩০ জন রয়েছেন। তবে এখনও রাজশাহীতে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী, জেলায় নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে ৪০ জনের মধ্যে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে এসেছেন ২৮ জন, কাতার থেকে দুইজন, দুবাই থেকে দুইজন, চীন থেকে একজন, অস্ট্রেলিয়া থেকে একজন, থ্যাইল্যান্ড থেকে একজন ও ঢাকা থেকে এসেছেন পাঁচজন। এনামুল হক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিটি কর্পোরেশন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে ২০ জনকে। এছাড়া বাঘায় পাঁচজন, দুর্গাপুরে চারজন, বাগমারায় দুইজন, মোহনপুরে ছয়জন ও গোদাগাড়ীতে তিনজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন তারা বাড়িতেই থাকবেন। বগুড়া ॥ বগুড়ায় বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন মুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৪ দিনে হোম কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হয়েছেন ২৯৭ জন। একই দিনে নতুন ৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ায় বর্তমানে আছেন ৬৭৬ জন। বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন শিবগঞ্জে ১৬৯ জন। এছাড়া গাবতলীতে ১৩৮, কাহালুতে ১১৯, দুপচাঁচিয়ায় ১০৬, বগুড়া সদরে ২৭, শেরপুরে ২৩, নন্দীগ্রামে ২০, শাজাহানপুর ও আদমদীঘিতে ১১ জন করে এবং ধুনটে ১০ জন রয়েছে। এদিকে বুধবার সকাল ন’টায় বগুড়া সদরের নাটাইপাড়া থেকে একজন মহিলা (৪২) আইসোলেশনে ভর্ত্তি হয়েছেন। এ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্ত্তি হলেন চারজন। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শফিক আমিন কাজল জানিয়েছেন, পূর্বে ভর্তি হওয়া তিনজনের অবস্থা এখন স্টেবল। নতুন ভর্তি হওয়া নারীর সর্দি কাশির সঙ্গে ডায়রিয়া যোগ আছে। বুধবার বিকেলে প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পলিমারাইজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) বিভাগে পাঠানো হয়েছে। গাইবান্ধা ॥ করোনাভাইরাসে গাইবান্ধায় বুধবার নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন প্রমাণ না পাওয়ায় ৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নতুন করে একজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদিকে এখন পর্যন্ত আমেরিকা প্রবাসী দু’জনসহ তার সংস্পর্শে আসা আরও দু’জনসহ মোট চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে তিনজন গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসন ও অপরজন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসোলেশনে রয়েছে। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০ জন ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৪৪, ফুলছড়িতে ৪, সুন্দরগঞ্জে ৪৫, সাঘাটায় ১১, পলাশবাড়িতে ৫, গোবিন্দগঞ্জে ৩৯ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৪৩ এবং বগুড়া জেলায় ৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে ১ জনকে সন্দেহজনক হিসেবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে বুধবার জেলা প্রশাসকের এক প্রেস রিলিজে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ৭ হাজার ৩শ’ দরিদ্র শ্রমজীবী কৃষক পরিবারের মধ্যে ৭৩ টন খাদ্যসামগ্রী ও ৬ হাজার ৯শ’ পরিবারের মধ্যে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ভা-ারে ১শ’ ৫০ টন খাদ্যসামগ্রী ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৬৪ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মোট ৩ হাজার ৫০৩ জনের মধ্যে মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় ২ হাজার ৭৮৯ জন প্রবাসীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ৭১৪ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত কোন ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি। করোনা প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। হবিগঞ্জ ॥ হবিগঞ্জ জেলায় বুধবার বিকেল পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ২৯০ জন। কোয়ারান্টাইন শেষ হয়েছে ৮১০ জনের। জেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি সকলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে। শেরপুর ॥ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল আওয়ালের (৫৮) নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বুধবার দুপুরে আইইডিসিআরের রিপোর্টের আলোকে ওই তথ্য নিশ্চিত করেন শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফ। এর ফলে ওই গ্রামের ১০ বাড়ির লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এলাকায় কমেছে ছড়িয়ে পড়া করোনা আতঙ্ক। অন্যদিকে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফ বলেন, বুধবার পর্যন্ত জেলায় বিদেশফেরত নাগরিকদের মধ্যে ২১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আর ইতোমধ্যে ১২৭ জন ওই পিরিয়ড শেষ করেছেন। তাদের কারও মধ্যে করোনার কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। সেইসঙ্গে জেলায় এখনও কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার ৫ উপজেলায় ১৫০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভোলা ॥ ভোলা সদর হাসপাতালে করোনা সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাতে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় বিদেশ ফেরত দুই ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪২৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এদিকে ভোলা জেলায় ২৫৮ জনের হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভোলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জ্বর, সদি, কাশি নিয়ে দুই ব্যক্তি ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। করোনা সন্দেহ হওয়ায় তাদের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তি হওয়া যুবকদের মধ্যে একজনের বাড়ি জয়পুরহাটে ও অপর জনের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে। ভোলা সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ঢালী জানান, ভর্তি হওয়া ওই দুই যুবক ভালো রয়েছে। তবে করোনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করা হবে। বরিশাল ॥ বরিশালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২ হাজার ৪৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ১৪ দিন শেষে তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ না পাওয়ায় ছাড়পত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে বরগুনা জেলা হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা তিনজনকেও ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশফেরত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ২ হাজার ৯৩৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে বরিশাল ও বরগুনা জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়নি। বাকি চার জেলায় ৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে এবং বিভাগের ছয় জেলায় মোট ৩৪০ জনকে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এর বাইরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তিন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিলেট ॥ সিলেটে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন আরও ২৬ জন। বর্তমানে সিলেটে হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৯১৮ জন। বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ আনিসুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয় ১০ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টাইনের হিসাব রাখা শুরু করে। সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখাদের মধ্যে সুনামগঞ্জে ১০, হবিগঞ্জে ৩, সিলেটে ৯ এবং মৌলভীবাজারে ৪ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪১ জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি দেয়া হয়। সব মিলিয়ে সিলেট বিভাগে কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হলেন ২ হাজার ১৭০ জন। সিলেট বিভাগে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় সর্বমোট ৩ হাজার ৮৮ জনকে। মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জ জেলার ছয়টি উপজেলায় বর্তমানে ১৫৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। গত কয়েক দিনে ৫৩৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেছেন। সবমিলিয়ে ৬৯১ জন প্রবাসীকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা গেছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেছেন। মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন খোঁজখবর নিচ্ছেন। মার্চ মাসে এই জেলায় বিদেশ প্রত্যাগত সংখ্যা ৫ হাজার ৪৭৩ জন। আর বুধবার পর্যন্ত চিহ্নিত করা গেছে ৬৯১ জনকে। অন্যদিকে ৪ হাজার ৭৮২ প্রবাসীকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তাই এখানে করোনার ঝুঁকি রয়েই গেছে। জেলায় সাড়ে ৬শ’ বেডের ৩৭টি হাসপাতাল রাখা ছাড়াও শুধু করোনার জন্য ৪২টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও জেলা শহর ছাড়াও টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও গজারিয়া উপজেলাও আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনসহ ৬৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৬৯ জনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় মোট ৫৪০ জন বিদেশ ফেরত প্রবাসী এসেছে। এদের মধ্যে ৩৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন করতে সক্ষম হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তারা সকলে সুস্থ রয়েছেন। করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসেবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ১৬৮৫ পিপিইসহ মাস্ক ও গ্লোভস পেয়েছি। যা জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০টি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আরও ৪০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাগড়াছড়ি ॥ করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ না পাওয়ায় খাগড়াছড়িতে বিদেশ ফেরত কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১৩৮ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ২৫ জন। নতুন করে কাউকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার নূপুর কান্তি দাশ।
×