ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা আক্রান্ত কমছে ॥ ইতালি ও স্পেন

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ১ এপ্রিল ২০২০

করোনা আক্রান্ত কমছে ॥ ইতালি ও স্পেন

চীনের পর করোনাভাইরাসের মূলকেন্দ্র ইতালি ও স্পেনে মৃত বাড়লেও আক্রান্তের হার কমে আসছে। একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রবিবারের তুলনায় সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছে। রবিবার পর্যন্ত ইতালিতে দৈনিক গড়ে ৩ হাজার ৮শ’ ১৫ জন করে আক্রান্ত হলেও সোমবার তা কমে এক হাজার ৬শ’ ৪৮ জনে পৌঁছে। একইসঙ্গে স্পেনে মৃত বাড়লেও সোমবার পর্যন্ত আক্রান্ত অনেকটা কমে গেছে। সোমবার দেশটিতে মোট ৬ হাজার চার শ’জন আক্রান্ত হয় যা গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নœ। এদিকে করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ইতালিতে চলমান লকডাউন আগামী ইস্টার সানডে বা ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও আলজাজিরা অনলাইনের। দেশ দুটিতে আক্রান্তের হার কমে আসার পেছনে যুক্তি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, লকডাউনে লোকজন ঘরের বাইরে না আসা ও অধিক সচেতনতার কারণে আক্রান্ত কমতে পারে। স্পেন সরকার আগামী দুই সপ্তাহ লোকজনকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ইতালি সরকার মনে করছে, করোনার প্রকোপ রুখতে আগামী কয়েক সপ্তাহ অত্যন্ত মূল্যবান সময়। এ সময়ে লোকজন লকডাউনের নিয়ম মানলে আক্রান্ত ও প্রাণহানি উভয়ই কমে আসবে। নতুন ৬ হাজার ৪০০ জনকে নিয়ে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ঘটেছে ৮১২ জনের, যা মৃতের সংখ্যাকে ৭ হাজার ৩৪০ জনে উন্নীত করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীতে স্পেনের চেয়েও বিপযস্ত ইতালিতে সোমবার ১ হাজার ৬৪৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে রোগী বৃদ্ধির এই সংখ্যাও গত কয়েকদিনে সর্বনিম্ন। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে ১ হাজার ৫৯০ জন রোগমুক্ত হয়েছেন, যা একদিনের হিসাবে এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা। দেশটিতে মোট সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬২০ জন। অন্যদিকে স্পেনে মোট সেরে উঠেছেন ১৬ হাজারের বেশি রোগী। তবে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৯১ জনে। মৃতের সংখ্যা ৮১২ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫৯১ জনে। আক্রান্তের সংখ্যায় এখন ইতালির ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৮ জনে ছাড়িয়েছে। সোমবার নাগাদ বিশ্বে নোভেল করোনাভাইরাইসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯১ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ২১১। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেনের পর রয়েছে চীন, যে দেশটিতে প্রথম নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। চীনে মোট আক্রান্ত ৮২ হাজার ১৯৮ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৩০৪ জন। দেশটিতে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ৬৪ হাজার জন জার্মানিতে হলেও দেশটিতে মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কম। দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে এই পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৬০ জন। তবে জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭৫১ জন বেড়েছে। ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে, দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে ২২ হাজার ৪৪৪ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে মারা গেছে ১ হাজার ৪০৮ জন। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৪৯৫ জনে, মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৫৭ জন। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭৭৫ হয়েছে, মারা গেছে ২৪ জন। ভারতে মৃতের সংখ্যা এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৩২ জন হলেও আক্রান্ত ১ হাজার ২৫১ জন।
×