ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু লাখও ছাড়াতে পারে ॥ ট্রাম্প

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ৩০ মার্চ ২০২০

করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু লাখও ছাড়াতে পারে ॥  ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক ॥ নভেল করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু এক লাখ বা তারও বেশি হতে পারে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্টে ডনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে করোনাভাইরাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প একথা বলেন বলে জানিয়েছে সিএনএন। মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ বা এর নিচে থাকলে ‘সম্মিলিতভাবে করা খুব ভাল কাজ হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এর আগে রোববার সকালে সিএনএন এর টকশো ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ এ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অ্যান্টনি ফুচি (যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যালার্জি এন্ড ইনফেক্সাস ডিজিজেস এর পরিচালক) এক মন্তব্যে বলেছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ বা তারও বেশি লোক মারা যেতে পারে। হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে ডাঃ ফুচির মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প ওই স্বীকারোক্তি দেন। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ‘স্টে অ্যাট হোম’ গাইডলাইন আরও ৩০ দিন বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দুই সপ্তাহ আগে ১৫ দিনের জন্য এ গাইডলাইন ঘোষণা করেছিলেন তিনি, যার মধ্যে গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সোমবার ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ১২ এপ্রিলের ইস্টারের পরবের সময় দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এদিনের সংবাদ সম্মেলনে আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। তিনি জানান, কোভিড-১৯ এ সম্ভাব্য মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে এদিন (রোববার) তিনি ‘সবচেয়ে সঠিক’ ও ‘বিশদ’ তদন্ত ও বিশ্লেষণ প্রতিবেদন পেয়েছেন। তিনি জানান, ‘যদি আমরা কিছু না করি’ তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ট্রাম্প বলেন, “দুই সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে। বিজয় অর্জিত হওয়ার আগেই জয় ঘোষণার চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। আপনারা যত ভালো করবেন, তত দ্রুত এই দুঃস্বপ্ন শেষ হবে।” সোমবার সকাল নাগাদ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৪২ হাজার ৩৫৬ জন, মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ৪৯৩ এবং সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৮৫৬ জন বলে দেখা গেছে।
×