ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটুয়াখালীতে জ্বর সর্দি নিয়ে দু’জনের মৃত্যু, বাড়ি লকডাউন

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৯ মার্চ ২০২০

পটুয়াখালীতে জ্বর সর্দি নিয়ে দু’জনের মৃত্যু, বাড়ি লকডাউন

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা/ নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীতে ১০ ঘন্টার ব্যবধানে জ্বর সর্দির উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৪০ বছরের একজনের মৃত্যু হয়েছে আজ রবিবার সকাল আটটায়। তিনি বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন। ৬৫ বছর বয়সী অপরজনের মৃত্যু হয়েছে পটুয়াখালী শহরে। স্থানীয় প্রশাসন ওই দু’জনের শহর ও শহরতলীর বাড়ি লকডাউন করেছে। মৃত একজনের গলাচিপার গ্রামের বাড়িও লকডাউনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। এছাড়া, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে উভয়ের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানান, বরিশাল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি (৪০) বরিশালের মুলাদি উপজেলায় একটি ব্যাংকে চাকরি করতেন। তার বাড়ি গলাচিপার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে। তিনি অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং পটুয়াখালী সদরের বহালগাছিয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সর্দি জ্বর কাশি নিয়ে শনিবার তিনি পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। অফিসার ইনচার্জ আরও জানান, আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ি গলাচিপার গ্রামের বাড়িতে ওই ব্যক্তির দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দাফনের পরে বাড়িটি লকডাউন করা হবে। দাফন ও জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হবে। বরিশাল মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ডা. মোঃ বাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এ ব্যক্তি শাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দিকাশি নিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে তার মৃত্যু করোনায় কিনা সেটা বলা যাচ্ছেনা। নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তার মৃতদেহ আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ি স্থানীয় প্রশাসন দাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে, পটুয়াখালী জেলা শহরের মাতবর বাড়ি এলাকায় শনিবার বিকেলে ৬৫ বছরের এক ব্যক্তি মারা যান। সিভিল সার্জন ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ওই ব্যক্তি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরে রাত ১০টার দিকে জানাজার পর তার লাশ দাফন করা হয়। এ ব্যক্তির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই বাড়িটি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে লকডাউন করা হয়। পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বরিশাল শেবাচিমের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে মৃত ব্যক্তির শ্বশুরবাড়িটিও লকডাউন করা হয়েছে। উভয় পরিবারের সদস্যদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, গলাচিপার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফর খান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুয়ায়ি মৃত ব্যক্তির জানাজায় সীমিত সংখ্যক মানুষ অংশ নেবে। দাফনের কাজ সম্পন্ন করতে দু’জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাড়িতে গ্রামপুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
×