জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশের ১৫টি জেলায় শনিবার পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৪৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ৭৬৭ জনকে করোনার উপসর্গ না পাওয়ায় তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিছু কিছু জেলা করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে এর ফলে মানুষের মনে অনেকটাই কমে যাচ্ছে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
সৈয়দপুর ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহজনকভাবে ইমরান নামে এক রোগীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পরীক্ষায় কোন কিছুই ধরা পড়েনি। এদিকে বিদেশ ফেরত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অনেকের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারা এখন পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করছেন। সৈয়দপুরবাসীর মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে কমে গেছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সৈয়দপুর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সৈয়দপুর উপজেলায় মোট ৫৪ জন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে শহরের বাশবাড়ি এলাকার ইমরানকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রংপুরে ভর্তি করা হয়। ওইদিন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ প্রতিবেশী ১১ বাড়ি ও ৪ মুদি দোকানকে কোয়ারেন্টাইনে রাখেন। তবে ইমরানের ফল করোনামুক্ত আসায় এ সকল প্রতিবেশীকে কোয়ারেন্টাইন মুক্ত করা হয়। এছাড়া বিদেশ ফেরত ৪৩ জনের মধ্যে ১০ জনের কোয়ারেন্টাইন ২৭ মার্চ শেষ হয়েছে। অবশিষ্টদেরও নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা সকলের সুস্থতার খবর পাওয়া গেছে। সৈয়দপুর হেলথ কমপ্লেক্সের ইনচার্জ ডাঃ আলেমুল বাশার বলেন, তাদের কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। তারা সকলেই সুস্থ। এমনকি তারা কোন রোগে আক্রান্ত ছিলেন না। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের সঠিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে পরামর্শ। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সকলের কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে। সকলকে নিয়ে সুস্থতার আশা করছেন তিনি।
বগুড়া ॥ বগুড়ায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একই সময়ে ১৫৪ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে হোম কোয়ারেন্টাইন মুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে আছেন ৭৫৩ জন। এই তথ্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। টানা ছুটিতে যারা ঢাকা থেকে বগুড়া এসেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে কিনা এই নির্দেশনা আসেনি। তারা গণপরিবহন বাদ দিয়ে বিকল্প পরিবহনে এসেছেন। এদিকে ২৫০ শয্যার বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের রাখার জন্য আইসোলেশন হাসপাতালে রূপান্তরের পর সকল ওয়ার্ড ও বেড জীবাণুমুক্ত করে রাখা হয়েছে। আউটডোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় শনিবার জানান, এখনও করোনার কোন রোগী আসেনি। করোনা সন্দেহের রোগী এলে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থাপিত পলিমার চেইন রিএ্যাকশন (পিসিআর) বিভাগে পাঠানো হবে।
ফরিদপুর ॥ ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় বিদেশ ফেরত আরও ৩৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এ নিয়ে ফরিদপুরে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে এক হাজার ৬০০ জনকে। এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শনিবার আরও ২৪ জনকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৫৫৮ জনকে মুক্ত করে দেয়া হলো। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, সর্দি ও গলা ব্যথা নিয়ে আসা এক রোগীকে শনিবার ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনাভারইরাসজনিত রোগীদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের যে ছাত্রকে ঢাকার কুর্মিটোলা পাঠানো হয়েছিল তার পরীক্ষার ফল শনিবার পর্যন্ত জানা যায়নি। এদিকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ৬৭ সদস্যের সেনাবাহিনীর একটি দল ফরিদপুরে এসে পৌঁছেছে। এ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন মেজর আব্দুল্লাহ আল মেহেদী। ফরিদপুর শহরে প্রবেশের সময় মেজর আব্দুল্লাহ আল মেহেদী স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, ফরিদপুরের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা কাজ করবে। তিনি বলেন, যখন যেখানে যে ধরনের সাহায্য প্রয়োজন সে সাহায্য প্রদান করবে সেনাবাহিনী। তিনি এ ব্যাপারে মিডিয়াকর্মীদের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন।
গাইবান্ধা ॥ করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ওপর কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। আগত ২২৫ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া নতুন দুজনসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট চারজনকে সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে সুন্দরগঞ্জে ৫৮, গোবিন্দগঞ্জে ৫১, সদরে ৪২, ফুলছড়িতে ১০, সাঘাটায় ১৪, পলাশবাড়িতে ১৪, সাদুল্যাপুর উপজেলায় ২৭ জন। এদিকে গাইবান্ধায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তকৃত চারজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর তাদেরকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
গোপালগঞ্জ ॥ গোপালগঞ্জে করোনা সন্দেহে শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত ৬২৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। শুক্রবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ৫৭৭ জন। শনিবার এর সঙ্গে নতুন আরও ১০৮ জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে নেয়া হয়েছে এবং ৬১ জনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ হয়েছে। এখনও কাউকে আক্রান্ত পাওয়া যায়নি, সবাই সুস্থ আছেন।
হবিগঞ্জ ॥ হবিগঞ্জে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২৮ মার্চ দুপুর পর্যন্ত হবিগঞ্জে আক্রান্ত নেই। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৫৮১ জন, কোয়ারান্টাইন শেষ হয়েছে ৫১২ জনের। জেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।’
খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়িতে বিদেশ ফেরত ২৫৫ জনের ১৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে সু-সংবাদ হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৮৮ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার নূপুর কান্তি দাশ।
কিশোরগঞ্জ ॥ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কিশোরগঞ্জে নতুন করে ৬৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় একজন, তাড়াইলে একজন, কটিয়াদীতে তিনজন ও ভৈরবে ৬০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বর্তমানে জেলায় মোট ২৮৯ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে নয়জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং বাকি ২৮০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তারা সবাই বিদেশ ফেরত। এ নিয়ে জেলায় মোট কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৬১ জনে। তাদের মধ্যে মোট ৬৭২ জন কোয়ারেন্টাইন সমাপ্ত করেছেন। কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে ইতোমধ্যে মোট ৬৭২ জন তাদের কোয়ারেন্টাইন সমাপ্ত করেছেন। এই সময়ে তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। অপরদিকে জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত তথ্য মতে, গত ১ মার্চ থেকে জেলায় বিদেশ প্রত্যাগতদের মোট সংখ্যা ৯৭৭ জন। তাদের মধ্যে মোট ৯৬১ জনের ঠিকানা ও অবস্থান চিহিৃত করা হয়েছে। বিদেশ প্রত্যাগতদের মধ্যে মোট ৯২৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইন এবং ৩৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তাদের মধ্যে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা মোট ৬৭২ জন তাদের কোয়ারেন্টাইন সমাপ্ত করেছেন। এ জেলায় এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ কোন আক্রান্ত নেই। প্রস্তুতি হিসেবে জেলার সরকারী হাসপাতালসমূহে ৮৪টি বেড ও বেসরকারী হাসপাতালসমূহে ১৭টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারী ও বেসরকারী মিলিয়ে ৫৬২ চিকিৎসক ও ৬০১ নার্স প্রস্তুত রয়েছেন। ৩২৩টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুদ রয়েছে এবং ২৩৩টি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের জন্য দুটি এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনসহ ১০৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০৯ জনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় মোট ৫৪০ জন বিদেশ ফেরত প্রবাসী এসেছে। এদের মধ্যে ৩১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব হয়েছে। শনিবার কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তারা সকলে সুস্থ রয়েছেন।
মাগুরা ॥ শনিবার পর্যন্ত মাগুরায় প্রবাসী ফেরত ২৬৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের ১৪ দিন বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা রয়েছে। মাগুরার সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, চীন, ইতালি, বাহারাইন, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত ২৬৮ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা রয়েছে। সর্বশেষ এদের শরীরে কোন জ্বর বা সর্দি-কাশি দেখা যায়নি।
নওগাঁ ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় নওগাঁ জেলায় বিদেশ ফেরত আরও ৫৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়ায় জেলায় এ নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় ১ হাজার ৮৭৮ জনকে। তবে এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০ জনের ১৪ দিন করে শেষ হওয়ায় শনিবার জেলায় মোট ৮৩৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
নীলফামারী ॥ নীলফামারীতে বিদেশ ফেরত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২২৫ জন। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পূর্ণ হয়েছে ১০৫ জনের। তারা সকলে সুস্থ আছেন।
রাঙ্গামাটি ॥ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় করোনাভাইরাস সন্দেহে ১২ পরিবারকে লকডাউন করল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। শনিবার সকালে উপজেলার মুসলিম ব্লক ও পশ্চিম মুসলিম ব্লক এলাকায় এ লকডাউন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জে শনিবার নতুন করে আরও ১৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে এসেছে। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৫২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৩৯ জন। জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাদারীপুর ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মাদারীপুরের কালকিনির এক কলেজ ছাত্রকে শনিবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসাপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। সে ঢাকা কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। গত ২৫ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে আসে ওই ছাত্র। শনিবার বিকেল পর্যন্ত মাদারীপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনে সর্বমোট ১৩৫৯ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে রিলিজ পেয়েছেন ৮৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ৬ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে রিলিজ পেয়েছেন ৪০ জন। সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে কয়েকদিন ধরে থাকা ১ জন রিলিজ হয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৪৭১ জন।