ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশে দেশে বিশেষ তহবিল, জরুরী বাজেট ;###;নিজ নিজ জনগণকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন দেশের প্যাকেজ প্রণোদনা ঘোষণা ;###;রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা বাংলাদেশের

মন্দা মোকাবেলায় মরিয়া ॥ করোনায় টালমাটাল বিশ্ব

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২৯ মার্চ ২০২০

মন্দা মোকাবেলায় মরিয়া ॥ করোনায় টালমাটাল বিশ্ব

রহিম শেখ ॥ মহামারী রূপে ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে মন্দার ঘণ্টা বাজছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির সব দেশেরই উৎপাদন খাত এখন অনেকটাই বন্ধ। দেশে দেশে লকডাউনের ফলে পুঁজিবাজার, মুদ্রাবাজার এমনকি পণ্যবাজারে টালমাটাল অবস্থা। করোনাভাইরাসের প্রভাবজনিত সঙ্কট মোকাবেলায় পথ খুঁজছে বৈশ্বিক দেশগুলো। অর্থনৈতিক এ মহাদুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিজ নিজ দেশের আর্থিক খাত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সর্বোপরি নিজ জনগণকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে নেয়া হয়েছে প্রণোদনামূলক নানা পদক্ষেপ। করোনা রুখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘোষণা করছে জরুরী বাজেট। করোনাভাইরাসের কারণে পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত থেকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এই মুহূর্তে বিশ্বের একশোরও বেশি দেশে কার্ফু জারি, জরুরী অবস্থা কিংবা লকডাউনের মতো অবস্থায় রয়েছে। কিছু দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা চালু থাকলেও বিদেশীদের ঢুকতে দিতে চাচ্ছে না কেউই। বৈশ্বিক পর্যটন, শিল্পোৎপাদন, সেবা ও আর্থিক খাতকে পুরোপুরি তলানিতে এনে ফেলেছে নভেল করোনাভাইরাস। কম বেশি সব দেশই এখন রুগ্ণ অর্থনীতিকে বাঁচাতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে। তারপরও পরিস্থিতি কবে নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসবে, সে বিষয়ে সন্দিহান সবাই। আস্থা পাচ্ছেন না বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরাও। মার্কিন অর্থনীতিকে বাঁচাতে গত শুক্রবার দুই ট্রিলিয়ন বা ২০০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস)। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই এযাবৎকালের বৃহত্তম প্রণোদনা প্যাকেজ। করোনা সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি অর্থ সহায়হতার ব্যবস্থা রয়েছে এই প্রণোদনা প্যাকেজে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০০ বিলিয়ন এবং পরিবারগুলোর জন্য সর্বোচ্চ তিন হাজার ডলার করে ২৯০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ৩৫০ বিলিয়ন, বেকারদের সহায়তায় ২৫০ বিলিয়ন এবং হাসপাতাল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বাবদ ১০০ বিয়িলন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও দেশটির নাগরিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৮ হাজার ২০০ কোটি ডলারের প্যাকেজ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে আগামী ১৫ সপ্তাহের জন্য পাক্ষিক (১৫ দিন) সর্বোচ্চ ৯০০ ডলারের প্রাপ্তি সুবিধা দিবে, যাতে ব্যয় হবে ১০ বিলিয়ন ডলার। ৫ বিলিয়ন ডলার আর্থিক প্রণোদনা রাখা হয়েছে দেশের বেকারদের জন্য। করোনার কারণে ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার পর বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্রিটেন। সঙ্কট কাটাতে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার। সেই সঙ্গে ঘোষণা দেয়া হয়েছে বিশাল অঙ্কের কর মওকুফ। সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের জন্য ৩৩ হাজার কোটি পাউন্ডের (৪০ হাজার কোটি ডলার) সরকারী ঋণের ঘোষণা দেন বরিসের সরকারের নতুন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। একই সঙ্গে ২ হাজার কোটি পাউন্ডের কর মওকুফেরও ঘোষণা দেন তিনি। হোটেল-রেস্তরাঁ, ক্লাব ও ছোট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার জন্য সরকারের ঋণ সক্ষমতা বাড়াতেও সরকার প্রস্তুত বলে জানান তিনি। সাড়ে ৪ হাজার কোটি ইউরোর (৫ হাজার কোটি ডলার) সহায়তা প্যাকেজ হাতে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইংলিশ চ্যানেলের ওপারের দেশ ফ্রান্সও। বিমান কোম্পানি বাঁচাতে ২৭ কোটি ৫০ লাখ ইউরো আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছে সুইডেন ও ডেনমার্ক। ঋণ করে হলেও করোনা মোকাবেলা করতে চায় ভেনিজুয়েলা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৫০০ কোটি ডলার ঋণের আবেদন করেছেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু তার এ ঋণের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রিত ঋণদান সংস্থাটি। পিছিয়ে নেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও। করোনাভাইরাস আক্রান্ত অর্থনীতিকে মন্দার হাত থেকে বাঁচাতে নীতি ও রাজস্ব সহায়তা নিয়ে নিজ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে কাতার। এরই মধ্যে ঋণের কিস্তি পরিশোধ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে দেশটি। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় খাতগুলোর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে ব্যক্তি খাত বরাদ্দ পেয়েছে ২ হাজার ৬০ কোটি ডলার। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ২৭৫ কোটি ডলার। বেসরকারী খাতকে পর্যাপ্ত ঋণ সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলোয় অতিরিক্ত তারল্য জোগান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি রুপীর প্রণোদনা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। দেশের দরিদ্র মানুষের জন্যে এই সময় নগদ ও খাদ্যে ভর্তুকি দেবে মোদি সরকার। এই সাহায্যপ্রাপ্তদের মধ্যে শহর ও গ্রামের দরিদ্র মানুষজন ছাড়াও রয়েছেন অভিবাসী শ্রমিকও। যারা নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে কাজ করছেন তাদের জন্য জনপ্রতি ৫০ লাখ টাকার মেডিক্যাল বীমা কভারেজ থাকছে এই প্যাকেজে। এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই নানামুখী সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাকের রফতানি এখন নিম্নমুখী। ঘাটতি কাটাতে পারছে না রাজস্ব খাত। কিন্তু অর্থ বছরের শুরু থেকেই রেমিটেন্সের উর্ধগতি থাকলেও নোভেল করোনাভাইরাস সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের হার কম হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনার বড় আঘাত এসেছে অনেক আগেই। পুরোপুরি স্থবির হয়ে গেছে দেশের শীর্ষ আমদানি, রফতানি ও রেমিটেন্সের বাজারগুলো। প্রতিনিয়ত বাতিল হচ্ছে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের রফতানি আদেশ। গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় প্রণোদনার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্পের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছে। তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আমাদের শিল্প উৎপাদন ও রফতানিবাণিজ্যে আঘাত আসতে পারে। এই আঘাত মোকাবেলায় কিছু আপৎকালীন ব্যবস্থা নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এই তহবিলের অর্থ দিয়ে কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।’ এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। গত ১৯ মার্চ এই টাকা বরাদ্দ দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও আক্রান্তদের চিকিৎসার ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ, জনসচেতনতায় প্রকাশনা এবং কেমিক্যাল রি-এজেন্ট খাতে এই অর্থ ব্যয় হবে। জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জনকণ্ঠকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস চিকিৎসা কিংবা নিয়ন্ত্রণে যত টাকা প্রয়োজন হবে তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি চীনের মতো বিশেষ হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়, তাতেও অর্থায়ন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যদি যন্ত্রপাতি বা লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার হয়, সেখানে চায়না যেভাবে হাসপাতাল করেছে, সে ধরনের কোন হাসপাতাল (যদি) করতে হয়, কম সময়ের মাঝে, স্পেসিফিক পারপাস (বিশেষ উদ্দেশে) বিল্ড হাসপাতাল, এগুলো করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কখনও মানা করবেন না। আমরাও সকলভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করব অর্থায়ন করে, যাতে তাদের কাজগুলো সুন্দরভাবে এবং প্রয়োজনীয়তার তুলনায় কোনভাবে পিছিয়ে না থেকে কাজগুলো করতে পারে।’ কিন্তু দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনা একটা আকস্মিক ও অভূতপূর্ব ঘটনা। এর জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়ার সময় পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুরশিদ বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতাও খুব সীমিত। অনেক উন্নত দেশও যেখানে হিমশিম খেয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের সমস্যা হওয়ারই কথা। তার পরও একটা চেষ্টা হচ্ছে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার। তবে এ বিষয়টি মূলত ব্যবস্থাপনার। আমদানি-রফতানির বাজার এরই মধ্যে ব্যাহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত যেটি নিয়ন্ত্রণে, সেটি হলো অভ্যন্তরীণ বাজার। এ বাজারের নিয়ন্ত্রণ কোনভাবেই হারানো যাবে না। বৈশ্বিক বাজারের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই। তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়া। প্রভাবটা কম তখনই হবে, যখন কোভিড-১৯-এর নিয়ন্ত্রণটা ভাল হবে। যদি ভাল না হয়, তাহলে প্রভাবটা প্রকট হবে। প্রভাব পড়বেই কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করছে আমাদের সামর্থ্যরে ওপর। ড. কে এ এস মুরশিদ বলেন, আমাদের সক্ষমতা যতটুকু, ততটুকুই আমাদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে আমাদের সক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার করতে পারলেই আমরা লাভবান হব। আমাদের সীমাবদ্ধতা আমরা জানি, কিন্তু এ সীমাবদ্ধতা নিয়েই স্বচ্ছ ও শক্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। জানতে চাইলে ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছে। এটি কাটাতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে বিশ্ব অর্থনীতিবিদদের ধারণা। বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোও তাদের অনেক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সর্বাগ্রে মানুষ বাঁচাতে এখনই ফান্ড গঠন করতে হবে বলে। এ জন্য প্রয়োজনে বাজেট কাটছাঁটের পরামর্শ দিয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের আর্থিক খাত সুরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেগুলো স্বাগত জানানোর মতো। তবে প্রথম করণীয় হচ্ছে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সব ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। বিশেষ করে সিএসআর ফান্ডের (সামাজিক দ্বায়বদ্ধতার আওতা) বাড়াতে হবে। আতিউর বলেন, ‘২০০৭-২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে উদ্যোগগুলো নিয়েছিল সেটি নিতে হবে। সেসময় সিএসআর ফান্ড ৫০ থেকে ৬০০ কোটিতে উন্নীত করা হয়।’
×