ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চলবে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত

ছিন্নমূল আড়াই হাজার মানুষকে খাবার দেবে ডিএমপি

প্রকাশিত: ১০:২৩, ২৯ মার্চ ২০২০

ছিন্নমূল আড়াই হাজার মানুষকে খাবার দেবে ডিএমপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ রবিবার থেকে ঢাকার ছিন্নমূল আড়াই হাজার মানুষকে একবেলা করে খাবার দিবে ঢাকা মহানগর পুলিশ। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা খাবার দেয়া হবে। ঢাকার পঞ্চাশটি থানার অধীনে খাবার বিতরণ করা হবে। যদিও বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার কয়েকটি থানা এলাকায় ছিন্নমূল ১১০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কয়েকজন সদস্য। তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমন কাজ করেছেন। বিমান বাহিনীর পর ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন উদ্যোগে সন্তুষ্ট ছিন্নমূল মানুষসহ ঢাকার বাসিন্দারা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনা মোতাবেক ছিন্নমূল মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন কমিশনার। সে মোতাবেক প্রতিদিন ঢাকা মহানগর পুলিশের তরফ থেকে আড়াই হাজার ছিন্নমূল মানুষকে খাবার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন একবেলা করে খাবার দেয়া হবে। ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে শিশু ও দুস্থ নাগরিকদের ক্ষেত্রে। আজ রাজধানীর ৫০টি থানায় প্রতিদিন দুই হাজার পাঁচ শ’ ছিন্নমূল মানুষকে একবেলা করে খাবার সরবরাহ করা হবে। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুরে ডিএমপির প্রতিটি থানায় ৫০ জন করে ছিন্নমূল শিশু ও দুস্থ নাগরিকদের মধ্যে খাবার প্যাকেটে দেয়া হবে। এই খাবার প্যাকেট পুলিশের তরফ থেকে পৌঁছে দেয়া হবে। সরকার সারাদেশে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এজন্য সেদিন অর্থাৎ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ডিএমপির পক্ষ থেকে ছিন্নমূলদের মধ্যে এভাবে খাবার সরবরাহ করা হবে। সাধারণ ছুটির মেয়াদ যদি বাড়ে সেক্ষেত্রে পুলিশ নতুন করে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ ও রাসেল স্কয়ার এলাকায় ১১০টি দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হয়। ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আব্দুল্লাহিল কাফি জানান, মোট ১১০টি প্যাকেটের প্রতিটিতে তিন কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, এক কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, আধা লিটার তেল ও একটি সাবান ছিল। তিনি বলছিলেন, সবকিছু বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের রোজগার নেই বললেই চলে। এমন কাজে ব্যক্তিগত অর্থ খরচ করেছেন তিনি ছাড়াও একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার ও কয়েকজন এস আই। আমাদের বেতনের টাকা দিয়ে এসব পণ্য কিনে দেয়া হয়েছে। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। অভাবী মানুষের হাতে তুলে দেয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সব ঘাঁটি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিম্ন আয়ের জনগণকে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, সাবান, ফলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হয় বাহিনীটির তরফ থেকে। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে রীতিমতো অঘোষিত লকডাউন চলছে। সারাদেশের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। অহেতুক কাউকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এতে করে মহাবিপাকে পড়েছেন সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষজন। তাদের পরিবারগুলোতে রীতিমতো খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এসব মানুষদের অধিকাংশই দিন এনে দিন খায়। ফলে তাদের ঘরে অভাব দেখা দিয়েছে। তারা নিতান্তই পেটের দায়ে কাজের জন্য বা টাকা রোজগারের জন্য রাস্তায় নেমেছেন।
×