ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বেকার হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রিয়াদের

‘ভাল সময় খুব বেশি দূরে নয়’

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৯ মার্চ ২০২০

‘ভাল সময় খুব বেশি দূরে নয়’

মিথুন আশরাফ ॥ ‘সবকিছু ঠিকমতো করতে পারলে ইনশাআল্লাহ আমরা এ কঠিন সময় পেরিয়ে যাব। ওই ভাল সময় আমাদের থেকে খুব বেশি দূরে নয়, এটা আমি বিশ্বাস করি। সবাই একত্রে দেশকে ভাল কিছু দেয়ার চেষ্টা করি। সবাই ভাল থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।’ -কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ টি২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বেকার হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষদের পাশে দাঁড়াতেও বলেছেন মাহমুদুল্লাহ। মাহমুদুল্লাহর বিশ্বাস, শীঘ্রই আসবে ভাল সময়। এজন্য সচেতন থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। নির্দেশনাগুলো ভালভাবে মেনে চলতে হবে। মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আশা করছি সবাই বাসায় আছেন, সুস্থ আছেন, নিরাপদে আছেন। একটা বিষয় হঠাৎ করে মাথায় আসল, তাই ভাবলাম এ বার্তাটা আপনাদের দেই। গতকাল (শুক্রবার) রাতে বিষয়টি মাথায় এসেছিল। হয়ত এভাবে অনেকেই চিন্তা করেছেন।’ ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকা মাহমুদুল্লাহ সবার অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমরা কয়েকদিন বাসায় বসে আছি। বাসার নিত্যদিনের কাজগুলো করছি। গাছে পানি দিচ্ছি। বই পড়ছি। ব্যায়াম করছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি। এসব কাজের মাঝে যেহেতু আমরা কয়েকদিন বাসায় আছি, আমাদের ভেতরে হয়ত একটু অবসাদ চলে আসতে পারে। একটু বোরিং ফিল হতে পারে।’ সঙ্গে বিরক্তি আসলেও বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি, ‘মাথায় আসতে পারে একটু বাসার নিচে যাই। একটু কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি বা বাসার সামনের মোড় থেকে একটু হেঁটে আসি। যদি কারও মাথায় কিংবা মনে এরকম চিন্তাধারা উঁকি দিয়ে থাকে, সেগুলোও যেন আমরা মাথা থেকে ঝেরে ফেলি। কারণ এ মুহূর্তে বাসায় থাকাটাই নিরাপদ। এটা সময়ের দাবি। এই নিয়মটা যেন আমরা মেনে চলি। এটা যতটুকু আমার জন্য প্রযোজ্য ঠিক আমাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও প্রযোজ্য। আবার অন্যদের এবং তাদের পরিবারের জন্যও প্রযোজ্য। নিজে নিরাপদে থাকি এবং অন্যদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করি।’ সবাই যা জানি, তাই আবার বলেছেন মাহমুদুল্লাহ। তবে মানছি সেইগুলো কয়জন। মানতে বলেছেন তিনি, ‘সবাই তো জানি যে আমাদের হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে, দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া যেন ঘর থেকে বের না হই। যদি বের হই তাহলে যেন মাস্ক ব্যবহার করি। সর্দি, কাশির সময় যেন আমরা বাহু ব্যবহার করি। টিস্যু ব্যবহার করতে পারি। এখন সময়ের দাবি বাসায় থাকার। এটা সবার জন্য মঙ্গলজনক।’ দশ দিনের লম্বা ছুটি। বলা যায় অঘোষিত ‘লকডাউনে’ গোটা দেশ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এমন অবস্থায় গোটা দেশ যখন অচলাবস্থায়। তখন বেকার হয়ে পড়ছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অনুরোধ, তাদের পাশে দাঁড়ানোর। তিনি বলেছেন, ‘যারা শ্রমজীবী মানুষ আছে তারা হয়ত এ মুহূর্তে বেকার হয়ে পড়ছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো জরুরী। আমরা চেষ্টা করব যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার। তাদের সাহায্য করার। মাহমুদুল্লাহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের। যারা দুঃসময়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন পাশে থেকে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ডাক্তার, নার্সরা এবং যারা চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। এই দুঃসময়ে করোনার মতো মহামারী ব্যাধির সময় তারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, দেশকে সেবা দিচ্ছেন সেজন্য মন থেকে আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আমি বিশ্বাস করি এ মহৎ কাজের জন্য আপনারা অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন।’ ক্রিকেটাররা প্রতিদিনই ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের মানুষকে সচেতন, সতর্ক থাকতে বলছেন। মাহমুদুল্লাহ বিশ্বাস করেন সচেতন ও সতর্ক থাকলে ভাল সময় খুব বেশি দূরে নেই।
×