ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিমুলিয়া ঘাটে ফের বাড়ি ফেরা যাত্রীর চাপ

প্রকাশিত: ০৯:১২, ২৯ মার্চ ২০২০

শিমুলিয়া ঘাটে ফের বাড়ি ফেরা যাত্রীর চাপ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ফের বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় হাজারো মানুষের ভিড়। এর আগে সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর গত মঙ্গলবার ও বুধবার শিমুলিয়া ঘাটে ছিল লাখো মানুষের ভিড়। ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খায় প্রশাসন। সরকারের ঘোষণায় লঞ্চ, স্পীডবোট বন্ধ করে দেয়ার পরও চাপ সামলাতে না পেরে বাধ্য হয়ে খুলে দেয়া হয় লঞ্চ ও স্পীডবোট। সচল করা হয় ১৪টি ফেরি। এসব দিয়ে কোন যানবাহন পার না করে শুধু পার করা হয় যাত্রী। করোনা সংক্রমণের কথা ভুলে মানুষ ছুটতে শুরু করে বাড়ি। রাতভর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, মাছ ধরার ট্রলার দিয়ে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিয়েছে। এরপর প্রশাসনের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার থেকে ঘাট এলাকায় কমে আসে চাপ। শুক্রবার দিনভর ঘাট এলাকা ছিল ফাঁকা। লঞ্চ এবং স্পীডবোট বন্ধ থাকার পরও কোন গাড়ি বা যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়নি। ১৪টি ফেরির মধ্যে চলেছে মাত্র তিনটি। কিন্তু শনিবার চিত্র ছিল ভিন্ন। ঘাট এলাকায় আবার দেখা যায় জনতার চাপ। গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার পরও থামানো যাচ্ছে না মানুষের চলাচল। শিমুলিয়া কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ১৪ ফেরির মধ্যে মাত্র চারটি সচল রাখা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্দেশে। কাঁচামাল পণ্যবাহী ট্রাক, ওষুধ সরবরাহকারী পরিবহন ও রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স। ফেরি ছাড়া শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ, স্পীডবোট ও ট্রলার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গত সোমবার থেকে। এরপরও মানুষের চাপ কমানো যাচ্ছে না শিমুলিয়া ঘাটে। এদিকে শিমুলিয়া পোর্ট কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম জানান, গণপরিবহন বন্ধ হওয়ার পরও মানুষের ঢল কিছুতেই থামছে না। ফেরি ঘাটে ভিড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ঢল নামে ফেরিতে ওঠার জন্য। কোনভাবেই তা ঠেকানো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে লৌহজং থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসাইন জানান, আমরা সচেতনতার জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করে চলেছি।
×