ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

প্রকাশিত: ০৯:১০, ২৯ মার্চ ২০২০

নেত্রকোনায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২৮ মার্চ ॥ করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থায় দুস্থ, দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের খাদ্যাভাব দূর করতে চাল এবং নগদ টাকা বিতরণ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে জেলার ১০টি উপজেলার জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১শ’ টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শনিবার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসক জানান, শনিবারের মধ্যে প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসনের কাছে চাল এবং টাকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে দুস্থ, দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষদের তালিকা তৈরি করছেন। এরই মধ্যে নেত্রকোনা সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে শনিবার চাল বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদের সামনে অপেক্ষমাণ মানুষদের নিরাপদ দূরত্বে দাঁড় করিয়ে দশ কেজি করে চালের বস্তা তুলে দেয়া হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছা সাবিহা সুলতানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ আক্তার উপস্থিত থেকে বিতরণ কার্যক্রমের তদারকি করেন। জেলা ত্রাণ শাখার কর্মকর্তারা জানান, চাহিদা অনুসারে অঞ্চল ভেদে পাঁচ থেকে দশ কেজি করে চাল এবং নগদ টাকা বিতরণ করা হবে। লক্ষ্মীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, করোনা প্রতিরোধে লক্ষ্মীপুরে নিত্যপণ্য সামগ্রী, মুদি, ফার্মেসি, হাসপাতাল ব্যতীত সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার পর ওষুধ ব্যতীত সকল দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিক্সা, ভ্যানসহ সকল ধরনের যান চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক পরিপত্রের মাধ্যমে এ আদেশ দেয়া হয়। এতে ব্যস্ততম জেলা শহর প্রায় পুরোটাই ফাঁকা হয়ে পড়েছে। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়া দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মাঠে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ব্যস্ততম শহর গ্রামে গঞ্জে স্থানীয় হাট বাজার এবং সড়কে জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে। চারদিকে প্রায় ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে। জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানিয়েছেন, গরিবের যেন কষ্ট না হয় সে জন্য খেটে খাওয়া দিন মজুরের জন্য সরকারী তহবিল থেকে ৫টি উপজেলায় ৬৭ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকা। রাঙ্গামাটি নিজস্ব সংবাদদাতা রাঙ্গামাটি থেকে জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র মানুষের সহায়তা করার জন্য সরকারের সহায়তা হিসেবে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে রাঙ্গামাটি পাবৃত্য জেলার জন্য ১০০ টন খাদ্যশস্য ও নগদ ১০ লাখ টাকা এসেছে। রাঙ্গামাটি জেলা জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এই তথ্য নিশ্চিত কারেছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জন্য ২৬ মার্চ থেকে রাঙ্গামাটিতে ওষুধের দোকান ও মুদির দোকান ছাড়া সব ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও খেটে খাওয়া ও নি¤œ আয়ের মানুষের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এদের সহায়তার জন্য এই সাহার্য এসেছে। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের জন্য আরও অতিরিক্ত দেড় কোটি টাকা পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকেও বরাদ্দ এসেছে। কক্সবাজার স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে জানান, সদরের জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ঢাকাস্থ বৃহত্তর ঈদগাহ সমিতির যৌথ উদ্যোগে ঈদগাহ বাজার, বাস স্টেশন, জাললাবাদ ফরাজী সড়ক ও জালালাবাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিসমূহে দিনভর করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, পানির ড্রাম বসানো ও বাজারজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ এবং সমিতির মুখপাত্র হিসেবে মেজবান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সেলিম উল্লাহ সুজন এবং সদস্য সচিব রাশেদুল হক রাসেল দিনব্যাপী সচেতনতামূলক শনিবার এ কর্মসূচীর নেতৃত্ব দেন। কর্মসূচী চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আলি, ঈদগাহ বাজার পরিচালনা পর্ষদের নবনির্বাচিত সহসভাপতি রায়হান আমিন। আয়োজকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে সহযোগিতা করায় ডাক্তার ইউসুফ আলির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। মুন্সীগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, মুন্সীগঞ্জে সরকারী মানবিক সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত মোট ৭ লাখ টাকা এবং ১শ’ টন চাল ছয়টি উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলোতে শনিবার বিতরণ শুরু হয়েছে। দুপুরে শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে সরকারী এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার। এই সময় আরও অংশ নেন পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পৌর মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লব, ইউএনও ফারুক আহাম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান ও পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন প্রমুখ। ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি মুসুরির ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল ও একটি সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে প্যাকেটে করা হয়। শনিবার শুধু সদর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা, রামপাল ইউনিয়ন, বজ্রযোগিনী ইউনিয়ন ও পঞ্চসার ইউনিয়নে ২শ’ পরিবারকে এই ত্রাণসমাগ্রীর প্যাকেট প্রদান করা হয়। এছাড়াও টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও গজারিয়া উপজেলায় এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। মোট ৭ লাখ টাকা এবং ১শ’ টন চাল ছয়টি উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলোতে বিতরণ শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে সরকারী এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার। এই সময় আরও অংশ নেন পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পৌর মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লব, ইউএনও ফারুক আহাম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান ও পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন প্রমুখ। জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, করোনাভাইরাসের ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে হতদরিদ্রদের জীবনে। এ অবস্থায় প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য ১০০ টন চাল ও সাত লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। এগুলো আজ বিতরণ শুরু হয়েছে। সরকার জনগণের পাশে আছে। বগুড়া স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস থেকে জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বগুড়ার শহরে ও গ্রামে স্বেচ্ছায় ঘরে থাকা শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষদের এই সময়টায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। শনিবার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বগুড়ার ১০৮টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা এবং ১২ পৌরসভা এলাকার দরিদ্রদের বিতরণের জন্য ২৮১ মেটন চাল ও ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এই পরিমাণ চাল বিতরণের জন্য প্রতিটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ২০০ পরিবারের প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। ১১টি ছোট পৌরসভা এলাকায় ৫শ’ পরিবারের মধ্যে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ও বড় পৌরসভা বগুড়ায় ১ হাজার পরিবারের মধ্যে প্রতি পরিবারে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ শনিবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে দরিদ্র পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ করেন। এর আগে তিনি সারিয়াকান্দি উপজেলায় বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন। মানিকগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানিকগঞ্জে দুস্থ ব্যক্তিদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস তার কার্যালয় চত্বর থেকে ৭০ জনের হাতে চাল, ডাল ও আলু তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বর থেকে অনুরূপ খাদ্য সহায়তা তুলে দেন আরও ৩০ জনকে। প্রতি ব্যক্তিকে দেয়া হয় ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু এবং ২ কেজি ডাল। জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দুস্থ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। একটি মানুষও যাতে অনাহারে না থাকে, সেই লক্ষে তারা কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জেলার জন্য মোট বরাদ্দ পাওয়া গেছে ২শ’ ৪৬ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৭ লাখ টাকা। চাহিদা অনুযায়ী আরও বরাদ্দ পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে, অন্যান্য উপজেলায়ও দুস্থ ব্যক্তিদের মাঝে খাদ্যসহায়তা বিতরণ শুরু হয়েছে। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। সিলেট স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে গরিব ও অসহায়দের দুর্দশা লাঘবে নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ৩২১ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকার থেকে বরাদ্দ নগদ অর্থ দিয়ে আলু, ডাল, তেল ও সাবান কিনে সিলেটের সকল উপজেলায় গরিবদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করছেন কর্মকর্তারা। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, সিলেট জেলার গরিব, দরিদ্র, দিনমজুর ও অসহায়দের জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ৩২১ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এই ১০ লাখ টাকা থেকে আলু, ডাল, তেল ও সাবান ক্রয় করে প্যাকেট তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ১টি সাবান আছে। এসব প্যাকেট নিয়ে সিলেট জেলার প্রতিটি উপজেলায় দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন সিলেটের সরকারী কর্মকর্তারা। শুক্রবার এসব প্যাকেট করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। রূপগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) নিয়ন্ত্রণে সরকারের লকডাউন নির্দেশনায় ঘরে আটকে থাকা দরিদ্র মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী ও নিত্যপণ্য পৌঁছে দিয়েছেন ইউপি সদস্য রিটন প্রধান। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রিটন প্রধানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে স্থানীয় ৭ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে নিত্যপণ্য ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রিটন প্রধানের পক্ষে শনিবার দিনব্যাপী এসব সামগ্রী বিতরণ করেন তারুণ্যের বিজ্ঞান নামক স্বেচ্চাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। এ সময় সংগঠনের সভাপতি সজল চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে করোনা সচেতনতায় বিশেষ পোশাক পরিধান করে ও সমদূরত্ব বজায় রেখে নিরাপদভাবে বাড়ি বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রিটন প্রধান বলেন, সারা বিশ্ব আজ আতঙ্কিত। আমাদের দেশের নি¤œ আয়ের মানুষগুলো এমনিতে বেশিদামে বাজারের নিত্যপণ্য ক্রয় করে সংসার চালাতে হিমশিম খায়। এখন আবার তারা লকডাউনে আটকে আছে ঘরে। গফরগাঁও নিজস্ব সংবাদদাতা গফরগাঁও থেকে জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের কর্মহীন হয়ে পড়া লোকজনের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমীন বিপ্লব। ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুক্র ও শনিবার দুদিন ধরে লংগাইর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৬শ’ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন। প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু ও একটি করে সাবান দেয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজের পরামর্শে এ কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়। জনসমাগম এড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। নীলফামারী স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, ওরা রিক্সা নিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু যাত্রী সঙ্কট। করোনাভাইরাস ঘিরে রাস্তাঘাটে মানুষজন চলাচল নেই। আয় রোজগার কমেছে। তাই সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন ও বিভিন্ন ব্যক্তিদের সহযোগিতায় নীলফামারী শহরে রিক্সা চালায় এমন সহস্রাধিক রিক্সা ও ভ্যানচালকদের মাঝে ৫ কেজি চাল ১ কেজি মসুর ডাল ৩ কেজি আলু ও আধা কেজি ভোজ্যতেলের প্যাকেজ খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শহরের কালিবাড়ি মোড়ে একটি টেবিলে প্যাকেজ খাদ্যগুলোর প্যাকেট রাখা হলে রিক্সা ও ভ্যানচালকরা সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে নিজ হাতে একটি করে প্যাকেট তুলে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সনাক সভাপতি তাহমিনুল হক ববী, নীলফামারীর জাতীয় রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাসেলর আমিন স্বপন, সরকারী কলেজের প্রভাষক নুরুল করিম এটিএন নিউজের মিল্লাদুর রহমান মামুন প্রমুখ। অপর দিকে একই দিনে জেলার জলঢাকা উপজেলার ক্ষুদ্র আয়ের শ্রমজীবী মানুষের বাড়িতে শুকনা খাবার পৌঁছে দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছয়জন শিক্ষার্থী। মির্জাপুর নিজস্ব সংবাদদাতা মির্জাপুর থেকে জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে চলমান ১০ দিনের বন্ধে কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আল মামুন। শনিবার তিনি পৌর এলাকার ৩শ’ ৫০ জন কর্মহীন মানুষকে খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী সহায়তা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সোহেল রানা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম মিয়া, সহ সভাপতি মীর্জা জাকারিয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদ হোসেন শান্ত, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিয়াম প্রমুখ। বোয়ালমারী সংবাদদাতা বোয়ালমারী থেকে জানান, করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় ও জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলায় সংরক্ষিত মোট ২৭ সেট সুরক্ষা সামগ্রী শনিবার বেলা ২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন ও ইউএনও ঝোটন চন্দ এ সকল সামগ্রী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ খালেদুর রহমানের হাতে তুলে দেন। ইউএইচএফপিও ডাঃ খালেদুর রহমান এ প্রতিক্রিয়ায় জানান, এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা চিকিৎসকদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ ধরনের সামগ্রী বিতরণ করায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে। ইউএনও বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে যাতে যে কোন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত না হয় এজন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৫০ ব্যক্তির ওপর সঠিক নজরদারি রাখতে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (ঈঐঈচ) এ সকল পিপিই দেয়া হবে।
×