ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে চাহিদা বাড়ায় জীবাণুনাশকের তীব্র সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ২৯ মার্চ ২০২০

মাদারীপুরে চাহিদা বাড়ায় জীবাণুনাশকের তীব্র সঙ্কট

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৮ মার্চ ॥ মাদারীপুর করোনাভাইরাসের চরম ঝুঁকিতে থাকায় হঠাৎ করে জীবাণুনাশক ওষুধের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জীবাণুনাশক ওষুধের মধ্যে হেক্সিসল, স্যাভলন, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডগ্লভস হ্যান্ডওয়াসসহ অন্যান্য পণ্য এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। জেলা কেমিস্ট এ্যান্ড ড্রাগিস্ট নেতাদের ধারণা ঢাকার মিডফোর্ট এলাকায় সম্ভবত একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। জেলা ওষুধ প্রশাসনের দাবি খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শহরের কলেজ রোডের নিরাময় হাসপাতাল সংলগ্ন সিন্হা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মোঃ আলী আজম সরদার বলেন, ‘বাজারে জীবাণুনাশক ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বিক্রি করতে পারছি না, কাস্টমার এসে ফিরে যাচ্ছে।’ আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা দোলা বিশ্বাস বলেন, ‘স্যাভলন কিনতে গিয়েছিলাম, যা পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু কোন দোকানেই স্যাভলন নেই। তাই ফিরে এসেছি। সব সময় করোনা আতঙ্কে আছি।’ শহরের কলেজ রোড এলাকার গৃহিণী চায়না শেখ বলেন, ‘আমার বাসায় ছোট্ট ছেলে আছে। ছেলের গোসল করাতে ও বাসাটাকে জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য জীবাণুনাশক মেডিসিন কিনতে পারছি না। মাদারীপুরের কোন দোকানে জীবাণুনাশক মেডিসিন নেই।’ সদর হাসপাতাল রোড এলাকার আরোগ্যালয় ফার্মেসির মালিক মতিউর রহমান বলেন, ‘জীবানুনাশক ওষুধের যে পরিমাণ চাহিদা আছে, সে অনুযায়ী কোম্পানি ওষুধ তৈরি করেছে না। আমরা নিজেরা স্যাভলন তৈরি করে ব্যবহার করছি।’ মাদারীপুর কেমিস্ট এ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাকিব হাসান বলেন, ‘আমরা মাদারীপুরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা মূলত ঢাকার মিডফোর্ট থেকে এসব মেডিসিন, হ্যান্ডগ্লাভসসহ অন্যান্য উপকরণ এনে থাকে। কিন্তু ওখানে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা মনে করি, ওখানে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। বাংলাদেশে অল্প কিছু মানুষ এসব মেডিসিন ও হ্যান্ডগ্লাভসের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সরকারের এই দিকে নজর দেয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।’ মাদারীপুর কেমিস্ট এ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি তাপস কুমার দাস বলেন, ‘মাদারীপুরে এসব পণ্যের যে পরিমাণ চাহিদা তার ১০০ ভাগের ৫ ভাগ পাচ্ছি না। কোন কোম্পানির সরবরাহ নেই। হেক্সিসল, জীবাণুনাশক লিকুইড এসব পণ্যের ওপর যেহেতু সরকার শুল্কমুক্ত করেছে, তাই প্রতিটি কোম্পানির উচিত সেভাবে তৈরি করা। এখন সাপ্লাই পেলেই আমরা জনগণকে সরবরাহ করতে পারব।’ মাদারীপুর ওষুধ প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক বীথি রানী সরকার বলেন, ‘হঠাৎ করে এসব জীবাণুনাশক মেডিসিনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সাপ্ল্ইা দিতে সমস্যা হচ্ছে। মাদারীপুরে দুটি কোম্পানির ডিপো আছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব।’
×