ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করবেন শি-ট্রাম্প

বরিস জনসন আক্রান্ত, ইতালিতে একদিনে ৯৬৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১০:০৭, ২৮ মার্চ ২০২০

 বরিস জনসন আক্রান্ত, ইতালিতে একদিনে ৯৬৯ জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিশ্বের অন্য যে কোন দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেশি। সেখানে এখন পর্যন্ত ৯৬ হাজার ৬১৬ জনের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৮। করোনা মোকাবেলায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একযোগে কাজ করে যাবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক টেলিফোন আলাপে অঙ্গীকার করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটারে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত। সেজন্য তিনি এখন সেলফ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরিস জনসনকে টেলিফোন করে সমবেদনা জানান। ইতালিতে একদিনে রেকর্ড ৯৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্পেনে শুক্রবার নতুন করে আরও ৭৬৯ জন মারা গেছেন। ইরানে মারা গেছেন আরও ১৪৪ জন। খবর বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, ওয়াশিংটন পোস্ট, জেরুজালেম পোস্ট, দ্য ওয়ালের। এক দিনে জার্মানিতে ৩,৩৪০ ও স্পেনে ৬,২৭৩ জনেরও বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে চীন (৮১,৭২৮ জন) এবং ইতালিকে (৮৬,৪৯৮) ছাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ভাইরাসের প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ওই দুই দেশের তুলনায় কম। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার কারণে এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ১,৪৬৮ জন। যেখানে চীনে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩,২৯২ জনের, ইতালিতে মারা গেছেন ৯,১৩৪ জন, স্পেনে ৪,৮৫৮, ইরানে ২,৩৭৮, ফ্রান্সে ১,৬৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আগামী চার মাসে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন। ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিনের ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স এ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের ওই গবেষণায় ধারণা করা হয় যে, মহামারীর চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রে ২,৩০০ মানুষ মারা যেতে পারে। যেটি এপ্রিল মাসের যে কোন সময় হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সবাই এখন বেকার সুবিধা চাচ্ছে মার্কিন সরকারের কাছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ বেকারত্ব। করোনায় আক্রান্ত বরিস জনসন ॥ এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুক্রবার টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় এ খবর জানালেন তিনি নিজেই। করোনা পরীক্ষায় ফল পজিটিভ এসেছে বলে এক ভিডিও বার্তায় বরিস নিজেই জানিয়েছেন। সেজন্য সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আইসোলেশন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিস জনসন ব্রিটিশ নাগরিকদের উদ্দেশে টুইট বার্তায় বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গগুলো বৃদ্ধি পাওয়ার পর আমার করোনাভাইরাস পজেটিভ ধরা পড়েছে। টুইট বার্তায় করোনা আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি এখন সেলফ আইসোলেশনে আছি, কিন্তু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অংশ নেব। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সবাই মিলে একসঙ্গে লড়াই করব। ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৭৮ জন। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। লকডাউনের পথে রাশিয়া ॥ করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে রাশিয়ার সরকার স্থানীয় সময় মধ্য রাত থেকে সকল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল, আগমন এবং বহির্গমন বন্ধ করে দিয়েছে। এরপরে শুধু বিদেশে আটকেপড়া রুশ নাগরিকদের নিয়ে আসার জন্য বিমান চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে হাজার হাজার রুশ বিদেশে আটকে পড়েছে। রাশিয়ায় সংক্রমণের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম, তবে বুধবারে কয়েকটি নতুন সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। শনিবার থেকে জরুরী সেবা ছাড়া আর সব কার্যক্রম এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। স্পেনে লকডাউন আরও ১৪ দিন ॥ স্পেনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর দেশটির পার্লামেন্ট লকডাউন আরও দুই সপ্তাহের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা গত এক সপ্তাহে প্রথমবারের মতো কমেছে। বুধবার ৭৩৮ জনের মৃতুর পর বৃহস্পতিবার ৬৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার ৭৬৯ জন মারা গেছে। দেশটিতে এখন মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৮৫৮ জন। সেখানে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৬,১৮৮ জন। মাদ্রিদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ তবে কাতালানেও বাড়ছে এই সংখ্যা। বৃহস্পতিবার রাতে জরুরী অবস্থা ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। টেলিকনফারেন্সে জি-২০ ॥ বিশ্বের ২০ ধনী দেশের জোট জি-২০টি, করোনা মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী পরিকল্পনা নিয়ে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেছে। বৈঠকের আগে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় লাখ লাখ উদ্বাস্তু ও শরণার্থীরা যে চরম হুমকির মুখে আছে, সেটার ওপর যেন মনোযোগ দেয়া হয়। সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো দেশ যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই দুর্বল এবং ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে তারা বিশেষ করে হুমকির মুখে আছে। ভারতে ব্যাপক সাহায্য ॥ সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে করোনার সম্পর্কিত ধাক্কা সামলাতে পারে সেজন্য দেশের সরকার ২,৩০০ কোটি রুপীর একটি কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারামন বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে কেউ যাতে অনাহারে না থাকে। এই কর্মসূচীর অধীনে যাদের এখনই সাহায্য দরকার তাদের সহায়তা করা হবে। এর মধ্যে থাকবে বিনামূল্যে চাল, গম, ডাল ইত্যাদি বিতরণ। একই সঙ্গে নগদ অর্থ সাহায্যও দেয়া হবে। বুধবার থেকে ভারতে লকডাউন শুরু হয়, যার ফলে কারখানা, অফিস, দোকান-পাট সব বন্ধ হয়ে গেছে। কোটি কোটি দিনমজুর তাদের জীবন নিয়ে চরম উদ্বেগের মুখে পড়েছে। ইরানে আরও ১৪৪ মৃত্যু ॥ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের পরপরই করোনাভাইরাসের ব্যাপক ভুক্তভোগী ইরান। দেশটিতে দিন দিন আরও ছড়িয়ে পড়ছে এ ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত আরও ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৩৭৮ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপুর এক টেলিকনফারেন্সে এসব তথ্য জানান। কিয়ানুশ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ২ হাজার ৯২৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইরানে করোনা শনাক্ত হলো ৩২ হাজার ৩৩২ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১১ হাজার ১৩৩ জন। করোনা ঠেকাতে ট্রাম্প শি ফোনালাপ ॥ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কথা হয়েছে। তারা করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, চীন অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে এবং ভাইরাসটি সম্পর্কে খুব ভাল ধারণা তৈরি হয়েছে তাদের। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। শুক্রবার চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, টেলিফোনের মাধ্যমে দুই দেশের শীর্ষ নেতার আলাপ হয়েছে। তবে কি আলোচনা হয়েছে সেটি নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি তারা। ফ্রান্সেও বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল ॥ করোনা সংক্রমণে মৃত্যু মিছিল যেন থামছেই না। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা কোন অঞ্চলেই কোভিড-১৯ থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। মহাদেশ হিসেবে আনলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ইউরোপ। এক ইতালিতেই মৃত্যুর সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। এরপর স্পেন থাকলেও, তাদের আরেক প্রতিবেশী ফ্রান্সেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ৩৬৫ জন মারা গেছে। সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৯৬ জন। এর আগে বুধবার দেশটিতে ২৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল। ইতালির পর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে স্পেনে। দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৪৫ জনের। এরপর চীনে। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৭ জনের। এরপর ইরানে ২ হাজার ৩৭৮, তালিকায় ফ্রান্স রয়েছে পাঁচে, যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৩০৪, ব্রিটেনে ৫৭৮ জনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রাণহানির ঘটনা বেড়েই চলেছে। মৃত ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত ২৩ জন ॥ গত ১৮ মার্চ ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৭০ বছর বয়সী এক শিখ ধর্মগুরু। মৃত্যুর আগে কমপক্ষে শত মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত যে ৩৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে ২৩ জনই ওই ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যুর আগে ১৫ গ্রাম সফর করেছিলেন তিনি। এরই মধ্যে সে গ্রামগুলোইও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একদিনে ১১৯ জন করোনা আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯৯ জনে। এদের ৪৭ জন বিদেশী। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। ৭৩ জন সেরেও উঠেছেন। চিকিৎসা ও কোয়ারেন্টাইন পর্ব পার হয়ে তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। করোনা ছড়িয়েছে ১৯৯ দেশ ॥ এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৯ দেশে ছড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩১ জন। মারা গেছে ২৪ হাজার ৮৭২ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০১ জন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে ইতালি। চতুর্থ স্পেন। সারাবিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ হাজার ৬২১ জন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৩১৪ জন যুক্তরাষ্ট্রের, চীনের ৫৫ জন, দক্ষিণ কোরিয়ার ৯১, ভারতের ৭২ জন, মেক্সিকোর ১১০ জন, কাজাখস্তানের আটজন, ক্যামেরুনের ১৩ জন, প্যারাগুয়ের ১১ জন ও ভুটানের একজন। ইসরাইলে ৮ জনের মৃত্যু ॥ দুই হাজার ৬৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন আটজন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ জনের অবস্থা সঙ্কটপূর্ণ। দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটের করোনা বিষয়ক কমিটির প্রথম বৈঠকে ওই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে নেসেটের রিসার্চ এ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার। এক করেছে করোনা ॥ এখন বিশ্ব আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা। বিভিন্ন ধরনের উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে মানুষের। তবে এর মধ্যেও বিশ্বের নানা প্রান্তে ভাল লাগার মতো অনেক ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা করোনা আতঙ্কের মধ্যেও আমাদের নতুন করে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে, সাহস জোগাচ্ছে। সম্প্রতি তেমনই এক বিরল ঘটনা ঘটল ইসরাইলে। সেখানে মুসলমান ও ইহুদীকে এক করেছে করোনা। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে এক ইহুদী ও এক মুসলিমকে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। আব্রাহাম মিনজ ও জোহের আবু জামা ইসরাইলে জরুরী সেবায় নিয়োজিত। সারাক্ষণই লোকজনকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। একের পর এক ফোনকল আসে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটু অবসর মিলেছিল। মিনজ ইহুদী আর আবু জামা মুসলমান। প্রার্থনার উদ্দেশে জেরুজালেমের দিকে মুখ করে কাঁধে সাদা-কালো শাল জড়িয়ে নিলেন তিনি। শুরু করলেন প্রার্থনা। আবু জামা মাটিতে জায়নামাজ বিছিয়ে কাবার দিকে মুখ করে নামাজে দাঁড়ালেন। দুজন দ্ইু ধর্মের হলেও পাশাপাশি দাঁড়িয়েই নামাজ আদায় করলেন। এমন ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু করোনার এই সঙ্কট যেন ধর্মের বিভেদ ভুলিয়ে দিয়েছে। ইতালিতে একদিনে মৃত্যু ৯৬৯ ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালিতে এক দিনে রেকর্ড ৯৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে নয় হাজার ১৮৪ জনের মৃত্যু হলো। একদিনে নতুন আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৯০৯ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৪৯৮ জনে। এর মধ্যে তিন হাজার ৭৩২ জনের অবস্থা খুবই মারাত্মক। ভয়াবহ করোনা থেকে নিরাময় হয়েছেন ১০ হাজার ৯৫০ জন।
×