ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কিট মাস্ক ও পিপিই বিতরণ করলেন গাসিক মেয়র

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২৮ মার্চ ২০২০

  কিট মাস্ক ও পিপিই বিতরণ করলেন  গাসিক মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুর মহানগরবাসীকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য বিপুল পরিমাণ মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, দেহের তাপমাত্রা মাপার থার্মাল স্ক্যানার ও পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট)সহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রী ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে বিতরণ করেছেন সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। শুক্রবার দুপুরে গাসিক মেয়র এসব সামগ্রী গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ খায়রুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন। বৃহস্পতিবার চীন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এসব সামগ্রীসহ করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কিট তিনি সংগ্রহ করেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, গাজীপুর মহানগরবাসীকে এ মুহূর্তে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়া একজন মেয়র হিসেবে আমার প্রধান দায়িত্ব। তাই নগরবাসীকে করোনাভাইরাস থেকে নিরাপত্তা দিতে করোনা শনাক্তকরণের ৩০ হাজার কিট, ১০ লাখ মাস্ক ও আট হাজার পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট) বৃহস্পতিবার চীন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে আনা হয়। দ্বিতীয় দফার চালানে আরও ২০ হাজার কিট শীঘ্রই এসে পৌঁছবে। শুক্রবার মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, থার্মাল স্ক্যানার ও পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট)সহ করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার উপকরণ সামগ্রী শুক্রবার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। তবে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কিট সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। শুধু নগরবাসীকেই নয়, পুরো জেলাকে সুরক্ষার জন্য জেলাব্যাপী এসব সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এ ছাড়াও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে নিজ ঘরে অবস্থানরত দুস্থদের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়া হবে। গাসিক মেয়র বলেন, শিল্প-কারখানা ও শ্রমিক অধ্যুষিত গাজীপুরে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় এখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এ ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে দ্রুত বিস্তার লাভ করতে না পারে সে জন্য আগে থেকেই প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভয়ঙ্কর এ ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষিত রাখার জন্যই তিনি এসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুধু নগরবাসীকেই নয়, পুরো জেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধক এসব উপকরণ বিতরণে তার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতির কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘যেখানে সংক্রমণ সেখানেই সীমাবদ্ধ’ এমন কর্মসূচী হাতে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের পুরো জনবলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর মহানগরের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাটবাজার, রাস্তা ও মোড়সহ পাঁচ হাজার স্থানে প্লাস্টিকের ড্রাম বসিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব স্থানে প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার মানুষ হাত ধোয়ার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। পাশাপাশি সড়ক মহাসড়কগুলো সিটি কর্পোরেশনের পানির গাড়ির সাহায্যে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি করতে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য নগরীর ৫৭ ওয়ার্ডে একটি করে ৫৭টি এবং আটটি থানা এলাকার প্রতিটিতে একটি করে আটটিসহ সর্বমোট ৬৫ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
×