ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বুথ বৃদ্ধির দাবি

কাশিমপুর বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের টেলিফোনে কথোপকথন শুরু

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ২৮ মার্চ ২০২০

   কাশিমপুর বন্দীদের সঙ্গে  স্বজনদের টেলিফোনে  কথোপকথন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে বন্দীদের সঙ্গে তাদের স্বজনদের টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ। বুধবার থেকে এ সেবা পেয়ে কারাবন্দীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন কারা কর্মকর্তারা। তবে অল্প সময়ে বেশি সেবা দিতে হলে টেলিফোন বুথ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছে তারা। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার মোঃ বাহারুল ইসলাম জানান, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে কারাগারে চালু হয়েছে বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ। এতে বন্দী ও তার স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুটি সেট থেকে প্রতি বন্দী ৫ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। এর জন্য কারাগারে তাদের পিসি এ্যাকাউন্ট থেকে ৫টাকা করে কেটে নেয়া হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে একবার তারা এ সুযোগ পাবেন। তবে হাজতি বন্দীদের সঙ্গে ১৫ দিনে একবার এবং কয়েদি বন্দীদের সঙ্গে এক মাসে একবার তাদের স্বজনদের সাক্ষাতকারের সুযোগ রয়েছে। সরকারী আদেশেই বুধবার থেকে বন্দীদের সঙ্গে তাদের স্বজনদের টেলিফোনে কথা বলার সিস্টেম চালু হয়েছে। এ কারাগারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বন্দী রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা আবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন বন্দীরা। শুরুর দিন ৬০ জনের কথা হয়েছে। আর সরাসরি সাক্ষাতপ্রার্থী ছিলেন ৪৫ জন। কারাগারে সবাইকে টেলিফোন সেবা দিতে গেলে টেলিফোন সেট বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এজন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই কারাগারের সাক্ষাতপ্রার্থী টাঙ্গাইলের মোঃ জাহিদ, ভাষানটেক এলাকার মোখলেছুর সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এতে কারাবন্দী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে অনায়াসে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি হলো। দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে দূরদূরান্ত থেকে তাদের কষ্ট করে আসতে হবে না। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারের সুপার মোঃ সফিকুল ইসলাম খান জানান, প্রথম দিনে এ হাইসিকিউরিটি কারাগারে দুটি টেলিফোন সেটের মাধ্যমে অর্ধশতাধিক বন্দী টেলিফোন সেবা গ্রহণ করেছেন। আর সাক্ষাত প্রার্থী ছিলেন মাত্র ৭০ জন। তিন সহস্রাধিক বন্দীর জন্য দুটি সেটে অপ্রতুল। কম সময়ে বেশি এ সেবা দিতে হলে আরও টেলিফোন বুথ/সেট বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, উদ্বোধনী একইদিন এ কারাগার থেকে একটি সেটে ৩০ জন নারী বন্দী স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এদিন সাক্ষাতপ্রার্থী ছিলেন মাত্র ৭০ জন। তার কারাগারে বন্দী সংখ্যা হলো ৮৪৭ জন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সুপার রতœা রায় জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে এ কারাগারে একটি টেলিফোন সেট থেকে কথা বলা শুরু হয়েছে। এ কারাগারে দেড় হাজারের ওপর বন্দী রয়েছেন। কয়েকদিন গেলে সেট বাড়ানো প্রয়োজন হবে কি-না তা বুঝা যাবে। তবে এ সেবা সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বন্দীরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে পেরে খুবই খুশি।
×