ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি

ঢাকায় জীবাণুনাশক ছিটানোর মাত্রা বাড়ানো হয়েছে

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২৭ মার্চ ২০২০

ঢাকায় জীবাণুনাশক ছিটানোর মাত্রা বাড়ানো হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকায় জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানোর মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার টোলারবাগ ও আশপাশের এলাকায় সবচেয়ে বেশি জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি এ কাজে অংশ নিয়েছে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পাড়া-মহল্লাভিত্তিক গড়ে ওঠা বিভিন্ন ক্লাব এবং স্থানীয় লোকজন। বৃহস্পতিবারও পুরো ঢাকায় সকালে ও বিকেলে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হয়েছে। এতে ঢাকার রাস্তার ধুলোবালি কমে গেছে। স্বাভাবিক কারণেই এতে কমে গেছে সর্দি, হাঁচি, কাশি হওয়ার সম্ভাবনা। সর্দি, হাঁচি, কাশি কম হওয়ার ঝুঁকি কমে যাওয়ায় নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। কারণ সর্দি, হাঁচি, কাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকেই ঢাকা মহানগর পুলিশের তরফ থেকে জলকামান দিয়ে পুরো ঢাকায় জীবাণুনাশক ওষধু ছিটানো শুরু হয়। টানা দুপুর দুইটা পর্যন্ত ওষুধ ছিটানো হয়। এরপর বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ঢাকার রাস্তায় জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ বলছে, সবচেয়ে বেশি জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হয়েছে টোলারবাগ এলাকায়। কারণ একমাত্র টোলারবাগের দুটি বাড়িতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এজন্য সেখানকার দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, দুই বাড়িতে দুইজন মারা গেছেন। এজন্যই দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। মৃত্যু হওয়া ব্যক্তি সমাজে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতেন। মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি টোলারবাগের যে সব এলাকায় বেশি যাতায়াত করতেন বা নিয়মিত যাতায়াত করতেন, সেই সব এলাকায় বেশি করে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হয়েছে। লকডাউন হওয়া বাড়ির আশপাশের রাস্তায় রীতিমতো ব্লিচিং পাউডারযুক্ত পানি ঢেলে দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আশপাশের বাড়িঘরেও জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হয়েছে। টোলারবাগের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের তরফ থেকেও ওইসব এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে। টোলারবাগে অপরিচিত কোন লোককে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। আশপাশের আবাসিক ভবনগুলো ও বাড়িঘরে যাওয়ার সকল রাস্তার গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। টোলারবাগের অনেক বাসিন্দা নিজ উদ্যোগেও জীবাণুনাশক ছিটিয়েছেন। এছাড়া ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ও পাড়া-মহল্লাভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন ক্লাবের তরফ থেকেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের যানবাহনে, বাসা বাড়ির দরজা, জানালা, গেটে, রাস্তায় এমনকি ঢাকার অলিতে-গলিতে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে শত শত মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক নগরবাসী তাদের গাড়িতে ওষুধ ছিটিয়ে দিতে পুলিশকে বলছেন। আবার পুলিশকে নগরবাসীর চাহিদার আগেই গাড়িতে স্প্রে করতে দেখা গেছে।
×