ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সত্যেন সেন সম্মাননা পাচ্ছেন সুজেয় শ্যাম

প্রকাশিত: ১০:৪১, ২৭ মার্চ ২০২০

সত্যেন সেন সম্মাননা পাচ্ছেন সুজেয় শ্যাম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি বিপ্লবী, সাহিত্যিক ও সংগঠক সুজেয় শ্যাম। স্বদেশকে ভালবাসা এই কীর্তিমানের নামাঙ্কিত সম্মাননা পদক পাচ্ছেন আরেক দেশপ্রেমিক শিল্পী। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কণ্ঠযোদ্ধা সুজেয় শ্যামকে প্রদান করা হবে সত্যেন সম্মাননা পদক। ২৮ মার্চ শিল্পী সংগ্রামী সত্যেন সেনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালককে এই সম্মাননা দেয়া হবে। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এই সম্মাননা প্রদান করছে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট জনকণ্ঠকে জানান, শনিবার ২৮ মার্চ সত্যেন সেনের জন্মদিন। প্রতিবছর এই দিনটিতে একইসঙ্গে সত্যেন সেন সম্মাননা প্রদান ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এবার সম্মাননা প্রদান করা হবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বরেণ্য শিল্পী ও সুরকার সুজেয় শ্যামকে। তবে বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে নির্দিষ্ট দিনটিতে অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অথবা সুজেয় শ্যামের কলাবাগানের বাসভবনে গিয়ে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে সত্যেন সেনের জীবনপঞ্জী এবং গুণী সঙ্গীতশিল্পী সুজেয় শ্যামের জীবনীসহ একটি ফোল্ডার প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাণের প্রশান্তি শীর্ষক চিত্রপ্রদর্শনীর সমাপ্তি সৃজনের আনন্দের মাতোয়া এক চিত্রকর জাহাঙ্গীর আলম। খ্যাপাটে স্বভাবের এই শিল্পী ছবি আঁকার মাঝেই খুঁজে পান জীবনের পূর্ণতা। তার আঁকা ছবিতে ভর করে সঙ্গীতের সুর, কবিতার ভাব-ছন্দ, নারী-শরীরের নৃত্যভঙ্গির ইশারা। বহুমাত্রিক শিল্পের রসদে ভরপুর তেমন কিছু চিত্রকর্ম নিয়ে ১৮ মার্চ বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে শিল্পীর দ্বিতীয় একক প্রদর্শনীর সূচনা হয়। প্রাণের প্রশান্তি শীর্ষক শিল্পায়োজনটির শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। শিল্পী জাহাঙ্গীর আলম জনকণ্ঠকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শনীটির সমাপ্তি হলো বৃহস্পতিবার। তবে করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা কেউ গ্যালারিতে যেতে পারছি না। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলেও চিত্রকর্মগুলো থাকবে প্রদর্শনালয়ে। চাইলে কেউ দেখারও সুযোগ পাবেন ছবিগুলো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চিত্রগুলো নিয়ে আসা হবে গ্যালারি থেকে। জল রঙের প্রতি জাহাঙ্গীরের বিশেষ অনুরাগ থাকলেও এবারের প্রদর্শনীতে গুরুত্ব পেয়েছে তেলরং, এ্যাক্রেলিক ও প্রিন্ট মাধ্যমের কাজ। প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত হয়েছে কয়েকটি সিরিজচিত্র এবং ভিন্ন ভিন্ন নামকরণের চিত্র। যার মাধ্যমে শিল্পীর আঁকা স্থান-কাল-পাত্র ও নিজস্ব শিল্পানুভূতির আখ্যান বর্ণিত হয়েছে। সেখানে কখনও দেখা মিলেছে ভ্রমণের দৃশ্য, সঙ্গীতের সুর-ছন্দ কিংবা মানব প্রেমের নির্দেশনা। চিত্রপটের অভ্যন্তরে উপস্থাপিত হয়েছে ফুল, নারী অবয়ব, গাছ, লতাপাতার কল্পিত রসায়ন।
×