ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ২৭ মার্চ ২০২০

ঝলক

খালি পেটে ১৩৫ কিমি হাঁটলেন মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভারতজুড়ে দেয়া লকডাউনে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাড়ি ফিরতে খালি পেটে ১৩৫ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়েছে মহারাষ্ট্রের ২৬ বছর বয়সী এক দিনমজুরকে। নরেন্দ্র শেলকে নামের ওই যুবক পুনেতে কাজ করতেন। লকডাউনে কাজের অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় গ্রামের বাড়ি চন্দ্রপুরের সাওলি এলাকার জাম্ব গ্রামের নিজ বাড়িতেই ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রেল যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আগে শেষ ট্রেন ধরে পুনে থেকে নাগপুরে পৌঁছেছিলেন, কিন্তু এরপরই পড়েন বিপাকে। কোন উপায় না দেখে শেলকে শেষ পর্যন্ত নাগপুর-নাগবিদ সড়ক ধরেই বাড়ির পথে হাঁটা শুরু করেন। টানা দুইদিন কেবল পানি খেয়ে ১৩৫ কিলোমিটার হাঁটার পর এ যুবক বুধবার রাতে মহারাষ্ট্রের সিন্ধেওয়াহি এলাকার শিবাজি স্কয়ারে পুলিশের টহল দলের সামনে পড়েন। পুলিশ সিন্ধেওয়াহি থানার সহকারী পরিদর্শক নিশিকান্ত রামতেকে জানান, টহল দলের সদস্যরা শেলকের কাছে কারফিউ ভঙ্গের কারণ জানতে চাইলে চন্দ্রপুরের এ বাসিন্দা তার দুর্দশার কথা জানান। বাড়ি ফিরতে তিনি যে দুইদিন ধরে খালি পেটে হাঁটছেন, বলেন তাও। শেলকেকে তাৎক্ষণিকভাবে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক বাড়ি থেকে তার (শেলকে) জন্য খাবারও নিয়ে আসেন। চিকিৎসকের অনুমতি পাওয়ার পর পুলিশ একটি গাড়ি করে শেলকেকে সিন্ধেওয়াহি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে জাম্ব গ্রামে দিয়ে আসে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ২৬ বছর বয়সী এ যুবককেও বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, বলেছেন রামতেকে। -এনডিটিভি করোনায় ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে গত ৩১ ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯৮ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থ হয়ে ওঠা ১২ জন রোগীর ফুসফুস সম্প্রতি পরীক্ষা করে তাদের দুই-তিনজনের ফুসফুসের কার্যকারিতা কমেছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন হংকংয়ের গবেষকরা। গবেষকরা বলেছেন, কম্পিউটার টোমোগ্রাফিতে তাদের ফুসফুসে তরল ও ময়লাভর্তি ঝিল্লি বা থলি পাওয়া গেছে। হংকংয়ের প্রিন্সেস মার্গারেট হাসপাতালের ইনফেকশাস ডিজিজেস সেন্টারের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডাঃ ওয়েন সাঙ তাক-ইন বলেছেন, রোগ সেরে গেলেও করোনার কারণে ফুসফুসের কার্যকারিতা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝংনাম হাসপাতালের বিজ্ঞানীরা ১৪০ জন রোগীর ফুসফুস পরীক্ষা করেছিলেন। প্রতিটি রোগীর দুটি ফুসফুসেই ‘গ্রাউন্ড গ্লাস অপাসিটি’র খোঁজ পেয়েছিলেন তারা। অর্থাৎ দুই গবেষণাতেই করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা কমার তথ্য মিলেছে। -ইয়াহু নিউজ
×