ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জুমার বাংলা বয়ান বাদ দেয়ার আহ্বান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ২৬ মার্চ ২০২০

জুমার বাংলা বয়ান বাদ দেয়ার আহ্বান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসে নাজেহাল গোটা বিশ্ব, বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রায় দুই শতাধিক দেশকে আক্রমণ করেছে ভাইরাসটি। প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন হাজারো মানুষ। কারও যেন কিছুই করার নেই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনা। এহেন পরিস্থিতে জুমার নামাজের আগে ইমামদের বাংলা বয়ান বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আলেমরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে জুমার নামাজকে শুধু ফরজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা জানিয়ে বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশের মসজিদগুলো আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। মসজিদগুলো খোলাই থাকবে। জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজও চলবে। তবে করোনা সংক্রমণ থেকে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত না করে কেউ যেন মসজিদে না যান, সে ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদে নামাজের জামাতে মুসল্লি সীমিত রাখতে বলেছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জনসমাগম বা গণজমায়েত এড়িয়ে চলার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের দিকনির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিয়মিত সর্বোচ্চ গণজমায়েত হয় প্রতি সপ্তাহে জুমার নামাজে। মানুষের উপচে পড়া ভিড় হয় মসজিদগুলোতে। এ নিয়ে গতকাল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৪টি নির্দেশনা দেয়া হয়। এগুলো হলো- ১. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে এবং মানুষের ব্যাপক মৃত্যুঝুঁকি থেকে সুরক্ষার জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের জনসমাগম বন্ধের পাশাপাশি মসজিদগুলো জুমা ও জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত রাখতে হবে। ২. মসজিদ বন্ধ থাকবে না, তবে করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত না করে কেউ মসজিদে আসবেন না। ৩. সরকার ও বিশেষজ্ঞদের সর্তকতার জন্য যে সব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- তা মেনে চলার জন্য জনগণকে অনুরোধ করা হল। ৪. সবাই অপরাধমূলক কাজ-কর্ম থেকে বিরত হয়ে ব্যক্তিগতভাবে তওবা, ইস্তিগফার ও কুরআন তেলাওয়াত অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য, বিশ্বের ২ শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের আক্রমনে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ২৮৩ জন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি নতুন করে ৪৮ হাজার ৪৬১ জনকে সংক্রমিত করেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭১ হাজার ৩৫ জনে পৌঁছেছে। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ২১৮ জন।
×