ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে ইতালী ফেরত প্রবাসীসহ ৩ জনের নমুনা আইইডিসিআরে প্রেরণ

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৬ মার্চ ২০২০

শরীয়তপুরে ইতালী ফেরত প্রবাসীসহ ৩ জনের নমুনা আইইডিসিআরে প্রেরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর ॥ শরীয়তপুরের নড়িয়া ও সখিপুরে ইতালী ফেরত ১ প্রবাসীসহ ৩জনের জ¦র, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যাথা থাকার কারণে করোনা সন্দেহে তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব হাওলাদার ও একই উপজেলার চামটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন রাঢ়ি জানান, ১৩ মার্চ ইতালী থেকে বাড়ি আসেন চামটা ইউনিয়নের পুরানহাটখোলা গ্রামের ইতালী প্রবাসি ইলিয়াছ মাঝি (৪৫)। বাড়ি আসার পর তাকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ২২ মার্চ ইলিয়াছ মাঝি এবং তার স্ত্রী রোজী বেগম (৩২) জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যাথা অনুভব করেন। বাধ্য হয়ে অসুস্থ্য ইলিয়াছ মাঝি আইইডিসিআর নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। ঐ সময় আইইডিসিআর এর টীমের ডাঃ রাব্বানী মাদারীপুরের শিবচর আবস্থান করছিলেন। তিনি সেখান থেকে তার টিমের লোকজন নিয়ে ২৪মার্চ সকাল ১১টায় নড়িয়া উপজেলার চামটা পুরানহাটখোলা গ্রামে ছুটে যান। তিনি ইতালী প্রবাসী ইলিয়াছ মাঝি(৪৫) ও তার স্ত্রী রোজী বেগমের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা মহাখালী পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছেন। গতকাল থেকে দু’জনই ধীরে ধীরে সুস্থ্যতা অনুভব করছেন বলে ডা: জানান। এ ব্যপারে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন বলে জানা গেছে। এদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের মল্লিককান্দি গ্রামের শহিদুল্লাহ মানের ছেলে মনির হোসেন মান(৩০) জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যাথা অনুভব করায় তাকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। ২৪ মার্চ ঢাকা থেকে ডাক্তারদের একটি টীম এসে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করেছে। মনির হোসেন মান গরুর ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ্যতা অনুভব করছেন বলে জানা গেছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মনির হোসেন মানকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসীফ। সিভিল সার্জন ডাক্তার এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, এ বিষয়ে সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের লোক নিয়োজিত রয়েছে। আমরা সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছি। ২৪ মার্চ সকালে আইইডিসিআর থেকে বিশেষজ্ঞ টীম এসে নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে নিয়ে গেছে। রোগী আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ্যতা অনুভব করছেন। জেলায় এখনো কোন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
×