ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিদ্ধিরগঞ্জে সাত ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত: ১২:১২, ২৬ মার্চ ২০২০

সিদ্ধিরগঞ্জে সাত ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিমপাড়ার বৃষ্টিধারা এলাকায় ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোর ৬টায় অগ্নিকা-ের এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ৭টি গোডাউনে প্রায় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ দাবি করেছে। আগুনের খবর পেয়ে আদমজী ইপিজেড, ফতুল্লা, হাজীগঞ্জ ও ম-লপাড়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট এসে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে সক্ষম হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার ভোরে জালকুড়ি এলাকায় ঝুটের একটি গোডাউনে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়। পরে অন্যান্য গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে আশপাশের লোকজন পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের আদমজী ইপিজেড, ম-লপাড়া, হাজীগঞ্জ ও ফতুল্লার ৪টি ইউনিটের কর্মীরা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকা-ে পুড়ে যাওয়া ঝুটের গোডাউনগুলো হলো- শাহ-আলম মালিকানাধীন গাজী ট্রেডার্স, কাজল বাহাদুর মালিকানাধীন ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, মোঃ রাজ্জাক ও সজিব মালিকানাধীন রিসাইকেল ‘র’ গোডাউন, মোঃ সেলিম মালিকানাধীন মায়ের দোয়া ট্রেডার্স, মোঃ মন্টুর মালিকানাধীন মামা ভাগিনা এন্টারপ্রাইজ, মোঃ রবিন মালিকানাধীন আল ফারাহ এন্টারপ্রাইজ ও মোঃ জাহাঙ্গীর মালিকানাধীন অনিক-অন্তর এন্টারপ্রাইজ। জালকুড়ি জুট ব্যবসায়ীদের মালিক সমিতির সভাপতি জুয়েল প্রধান জানান, আগুনের ৭টি ঝুটের গোডাউনের মালামাল পুড়ে গেছে। এতে মালিকদের প্রায় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বিকেল ৪টায় তিনি আরও জানান, এখনও ২টি ইউনিট ডাম্পিংয়ের কাজ করছে। তবে আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ শাহজাহান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। ফরিদপুরে ২১ দোকান নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, সদর উপজেলার কানাইপুর বাজারে ভয়াবহ আগুনে ২১টি দোকান পুড়ে গেছে। এর ফলে দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে ওই বাজারের জুতাপট্টিতে দেলোয়ারের জুতার দোকান থেকে এ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকান গুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। ফরিদপুর ও মধুখালী থেকে দমকল বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে ২১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। রক্ষা পায়নি জুতার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, ইলেকট্রনিক্সের দোকান, ওষুধের দোকান, চালের গোডাউনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি টাকার উপরে। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে আবীর ব্যাপারী, বক্কার ব্যাপারী, আবুল কাশেম, দেলোয়ার খান, ফরিদ ব্যাপারী, নাজিম ব্যাপারী, নূরু ব্যাপারী ও রহমত ব্যাপারীর জুতার দোকান। ফয়সাল ও উজ্জ্বলের কাপড়ের দোকান, রামু সাহা ও সমীর সিকদারের চালের আড়ত, নব দত্ত ও মামুনের ইলেকট্রনিক্সের দোকান, নিমাই সিকদারের পাটের দোকান, ডাঃ জ্ঞানেন্দ্র ও কিবরিয়ার ওষুধের দোকান, অটলের ব্যাগের দোকান ও একটি বিউটি পার্লার। নীলফামারীতে ৯ ঘর স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় অগ্নিকা-ে তিনটি পরিবারের নয়টি ঘরসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় শহরের কয়া গোলাহাট জেলে পাড়ার আলমের ছেলে সালামের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস জানান। জানা যায়, ওই এলাকার আলমের ছেলে সালামের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে আশপাশের ঘরে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ইতোমধ্যে সালামের ২টি ঘরসহ প্রতিবেশী গেল্লুর ছেলে দীনেশ ও বাবলুর আরও ৭টিসহ ৯টি ঘর পুড়ে যায়। কক্সবাজার স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার থেকে জানান, কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে অগ্নিকা-ে কাঠের তৈরি দুইতলা বিশিষ্ট বসতবাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। এতে গৃহবধূ ছমিরা খাতুন (৩০) অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাত ২টার দিকে পূর্বগোলারপাড়া হাজী শামসুল আলমের বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনাটি ঘটেছে। রান্নাঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।
×