ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনা মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াচ্ছে রামেক হাসপাতাল

প্রকাশিত: ১২:০৯, ২৬ মার্চ ২০২০

করোনা মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াচ্ছে রামেক হাসপাতাল

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য সক্ষমতা বাড়াচ্ছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ভবনটি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে নিবিড় পরিচর্র্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এবং হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ)। আর নিচ তলায় রয়েছে বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি এবং নিউরোসার্জারি বিভাগ। এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে। দুই দিনের মধ্যে সেটি করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হবে। বুধবার সকালে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা এবং সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ওয়ার্ডটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, রামেকের অধ্যক্ষ ডাঃ নওশাদ আলী ও আইসিইউ-এর ইনচার্জ ডাঃ গোলাম মোস্তফাসহ অন্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সবাই মিলে নেমেছি। দেশ এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সঙ্কট মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের যে সামর্থ্য আছে সে অনুযায়ীই কাজ করতে হবে। কল্পনাপ্রসূত কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে লাভ নেই। বাস্তবতার ভিত্তিতে এগোতো হবে। এখন আমরা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাই। মন্ত্রণালয় কথা বলবে, কিন্তু তার বাস্তব প্রতিফলন থাকবে না এটা হবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কথা এবং কাজের সামঞ্জস্য রাখতে হবে। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের এই ভবনটিকে করোনাভাইরাসের রোগীদের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব। হাসপাতালের প্রধান ফটক ব্যবহার না করেই পেছনের গেট দিয়ে এখানে রোগীদের আনা-নেয়ার সুযোগ রয়েছে। মূল হাসপাতালের সঙ্গে এটার কোন সংযোগ থাকবে না। এখানে প্রায় ২০০ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে। আইসিইউ, এইচডিইউ রয়েছে। এখানে করোনা রোগীদের সর্বোচ্চ ভাল চিকিৎসা সম্ভব। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান জানান, এখন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ভবনটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয় অন্য ওয়ার্ডেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। কারণ, সব রোগীর আইসিইউ বা এইচডিইউ লাগবে না। সাধারণ রোগীও থাকবে। তিনি জানান, এখানে এখন ১০টি আইসিইউ এবং আটটি এইচডিইউ রয়েছে। এছাড়া সার্জারি রুমেও ছয়টি আইসিইউ বেড রয়েছে। রামেকের অধ্যক্ষ ডাঃ নওশাদ আলী জানান, চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে এখন প্রায় ২৫০ পিপিই মজুদ রয়েছে। আরও কিছু আসছে। আরও এক হাজার পিপিই জরুরী প্রয়োজন।
×